মন্তেশ্বর, 30 অক্টোবর: রেশনবন্টন দুর্নীতি মামলায় মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হওয়ার পরেই চর্চায় উঠে এসেছে মন্তেশ্বর আইটিআই কলেজের নাম ৷ এই কলেজটি সরকারের অধীনে আছে বলে দাবি করছে কলেজ কর্তৃপক্ষ । যদিও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির দাবি রেশন দুর্নীতি মামলায় মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হওয়ার পরেই রাতারাতি কলেজের নাম মুছে ফেলা হয়েছিল ৷ এরপরেই কলেজটি সরকারি কলেজ বলে ঘোষণা করা হচ্ছে । কিন্তু কলেজের কোনও নাম লেখা নেই । অথচ এই কলেজ তৈরি করতে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আট থেকে দশ কোটি সরকারি টাকা ব্যবহার করেছেন বলে দাবি বিরোধীদের।
বেশ কয়েকবছর হয়ে গেলেও এই কলেজটি কেন সরকারকে হস্তান্তর করা হয়নি সেই প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছে বিরোধীরা ৷ মন্তেশ্বর বিধানসভার 1 নং মণ্ডলের বিজেপির সভাপতি ঝুলন হাজরা অভিযোগ করে বলেন, "মন্তেশ্বরের বামুনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক । মন্তেশ্বরে কিছুদিন আগে তিনি নিজের একটি আইটিআই কলেজ উদ্বোধন করেছিলেন। যে কলেজ তৈরি করতে খরচ হয়েছিল 7 থেকে 8 কোটি টাকা । তিনি কোথা থেকে সেই টাকা পেয়েছিলেন সেটা ভাববার বিষয় । এদিকে ইডি-সিবিআই তদন্ত করতে পারে একথা বুঝতে পেরে তড়িঘড়ি সেই কলেজের নাম মুছে দেওয়া হয়েছে । কলেজটি আবার সরকারি কবে হল জানি না।"
সিপিএমের মন্তেশ্বর এরিয়া কমিটির সম্পাদক ওসমন আলি সরকার বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতা আসার পর থেকে শুধু নেতা মন্ত্রী কেন, গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য, প্রধান-উপপ্রধান প্রত্যেকের সম্পত্তির পরিমাণ বহু গুণ বেড়ে গিয়েছে । এটাতো অস্বীকার করার কিছু নেই যে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সম্পত্তির পরিমাণ অনেক গুণ বেড়ে গিয়েছে । তিনি মন্ত্রী হওয়ার আগে তার যা সম্পত্তি ছিল তার তুলনায় অনেক গুণ বেড়েছে ৷ গ্রামে একটা আইটিআই কলেজ ছিল সেই কলেজের নাম ভয়ে তড়িঘড়ি মুছে দেওয়া হয়েছে । কিন্তু কলেজটি দীর্ঘদিন ধরে হস্তান্তর করা হয়নি। তদন্তে সবই প্রকাশ্যে আসবে। তাই মনে হয় এখন সেটিকে সরকারি কলেজ বলে দাবি করা হচ্ছে ৷"
আরও পড়ুন: হাসপাতালে থাকার আর প্রয়োজন নেই জ্যোতিপ্রিয়র, জানালেন চিকিৎসকরা
এই বিতর্ক প্রসঙ্গে কলেজটির প্রিন্সিপাল শুভেন্দু চট্টোপাধ্য়ায় জানান, প্রায় একশো পঞ্চাশ জন ছাত্র আছে এখানে । কলেজে রঙের অবস্থা খারাপ ছিল। তাই ভিতরে বাইরে নতুন করে রঙ করা হয়েছে । কলেজটা রাজ্য সরকারের অধীনেই আছে ।