ETV Bharat / state

Post Poll Violence : বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে বর্ধমানে সিবিআই - CBI

গত 18 এপ্রিল কাঞ্চননগর এলাকা বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের সংঘর্ষ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে । সেই ঘটনায় তৃণমূল কর্মীরা নারায়ণ দে-কে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ । পুলিশ নারায়ণ দে সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে । তিনদিন পর জামিন পান তিনি । তার পর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন৷ সেখানেই মারা যান ৷

cbi-team-reached-burdwan-to-investigate-a-bjp-worker-murder-case
Post Poll Violence : বিজেপির কর্মীর মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে বর্ধমানে সিবিআই
author img

By

Published : Sep 22, 2021, 8:21 PM IST

বর্ধমান, 22 সেপ্টেম্বর : বিধানসভা নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বর্ধমানের কাঞ্চননগর । সেই সংঘর্ষে আহত হন বিজেপি কর্মী নারায়ণ দে । পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয় । এরপর মৃতের স্ত্রী পূর্ণিমা দে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন । সেই ঘটনার তদন্তে বুধবার সিবিআইয়ের চার সদস্যের একটি দল বিজেপি কর্মী নারায়ণ দের বাড়িতে যায় ।

স্থানীয় ও বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, নারায়ণ দে ছিলেন টোটো চালক। তিনি সক্রিয়ভাবে বিজেপির কর্মী ছিলেন। গত 18 এপ্রিল কাঞ্চননগর এলাকা বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের সংঘর্ষ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে । সেই ঘটনায় তৃণমূল কর্মীরা নারায়ণ দে-কে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ ।

আরও পড়ুন : Mamata Banerjee : আমি না জিতলে অন্য কেউ মুখ্যমন্ত্রী হয়ে যেতে পারে, ভোটপ্রচারে বললেন মমতা

এরপর সেই ঘটনায় পুলিশ নারায়ণ দে সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে । তিনদিন পর জামিন পান তিনি । এদিকে তিনি বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়ায় বাড়ির লোক বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করেন । সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে খোসবাগানে একটা নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় । এরপর তিনি মারা যান । স্বামীর মৃত্যুর ঘটনায় তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা দে ।

বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি । ইতিমধ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয় ৷ সেই মামলায় হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় ৷ হাইকোর্টের নির্দেশের কথা উল্লেখ করে জেলার পুলিশ সুপারকে চিঠি দেওয়া হয় । সেই চিঠি পাওয়ার পরে এই কেসের তদন্তকারী অফিসার তদন্তের যাবতীয় কাগজপত্র সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার জন্য আবেদন করেন । এরপর সিবিআই খুনের মামলা রুজু করে ।

আরও পড়ুন : TMC-BJP : নিজের এলাকার জমা জল নামানোর ব্যবস্থা আগে করুন সৌগত, কটাক্ষ সুকান্তর

আজ, বুধবার সিবিআইয়ের চার আধিকারিক কাঞ্চননগর এলাকায় নারায়ণ দের বাড়িতে যান । সেখানে গিয়ে বাড়ির লোকের কাছ থেকে তাঁরা ঘটনার বিবরণ শোনেন এবং সেখান থেকে বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করেন । নারায়ণ দে-র আত্মীয় দোলন মণ্ডল জানান, কাকা টোটো চালাতেন । নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক সংঘর্ষে তিনি আহত হন । হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল । ভোটের ফল বেরোনোর পরে তিনি মারা যান । এদিন সিবিআই অফিসারেরা তাঁদের বাড়িতে এসেছিলেন ।

বর্ধমান, 22 সেপ্টেম্বর : বিধানসভা নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বর্ধমানের কাঞ্চননগর । সেই সংঘর্ষে আহত হন বিজেপি কর্মী নারায়ণ দে । পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয় । এরপর মৃতের স্ত্রী পূর্ণিমা দে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন । সেই ঘটনার তদন্তে বুধবার সিবিআইয়ের চার সদস্যের একটি দল বিজেপি কর্মী নারায়ণ দের বাড়িতে যায় ।

স্থানীয় ও বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, নারায়ণ দে ছিলেন টোটো চালক। তিনি সক্রিয়ভাবে বিজেপির কর্মী ছিলেন। গত 18 এপ্রিল কাঞ্চননগর এলাকা বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের সংঘর্ষ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে । সেই ঘটনায় তৃণমূল কর্মীরা নারায়ণ দে-কে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ ।

আরও পড়ুন : Mamata Banerjee : আমি না জিতলে অন্য কেউ মুখ্যমন্ত্রী হয়ে যেতে পারে, ভোটপ্রচারে বললেন মমতা

এরপর সেই ঘটনায় পুলিশ নারায়ণ দে সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে । তিনদিন পর জামিন পান তিনি । এদিকে তিনি বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়ায় বাড়ির লোক বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করেন । সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে খোসবাগানে একটা নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় । এরপর তিনি মারা যান । স্বামীর মৃত্যুর ঘটনায় তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা দে ।

বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি । ইতিমধ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয় ৷ সেই মামলায় হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় ৷ হাইকোর্টের নির্দেশের কথা উল্লেখ করে জেলার পুলিশ সুপারকে চিঠি দেওয়া হয় । সেই চিঠি পাওয়ার পরে এই কেসের তদন্তকারী অফিসার তদন্তের যাবতীয় কাগজপত্র সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার জন্য আবেদন করেন । এরপর সিবিআই খুনের মামলা রুজু করে ।

আরও পড়ুন : TMC-BJP : নিজের এলাকার জমা জল নামানোর ব্যবস্থা আগে করুন সৌগত, কটাক্ষ সুকান্তর

আজ, বুধবার সিবিআইয়ের চার আধিকারিক কাঞ্চননগর এলাকায় নারায়ণ দের বাড়িতে যান । সেখানে গিয়ে বাড়ির লোকের কাছ থেকে তাঁরা ঘটনার বিবরণ শোনেন এবং সেখান থেকে বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করেন । নারায়ণ দে-র আত্মীয় দোলন মণ্ডল জানান, কাকা টোটো চালাতেন । নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক সংঘর্ষে তিনি আহত হন । হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল । ভোটের ফল বেরোনোর পরে তিনি মারা যান । এদিন সিবিআই অফিসারেরা তাঁদের বাড়িতে এসেছিলেন ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.