বর্ধমান, 26 জুলাই: মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শেষ পর্যন্ত হার মানলেন অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূ বীথিকা গড়াই (48)। মঙ্গলবার বর্ধমান হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। গত শনিবার মঙ্গলকোটের কুরম্বো গ্রামের মাঝেরপাড়ায় সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে বীথিকা গড়াই নামে ওই গৃহবধূকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর ভাসুর ও তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে ।
গ্রামবাসীরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় ৷ তাঁদের অভিযোগ, হাত পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় বীথিকা গড়াইয়ের ভাসুর সুবলচন্দ্র গড়াই এবং তার দুই ছেলে আশুতোষ গড়াই ও পূর্ণচন্দ্র গড়াই। পরে সুবলকে পুলিশ ছেড়ে দেয় । তবে তার দুই ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে সুবলের সঙ্গে তার ভাই নবকুমারের জমি সংক্রান্ত ঝামেলা চলছিল ।
এই বিবাদের জেরেই নবকুমারের স্ত্রী বীথিকাকে নিশানা করা হয় বলে স্থানীয়দের দাবি। ঘটনার পর বীথিকার আর্তনাদে আশেপাশের মানুষজন ছুটে আসে । তারা সকলে মিলে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় । খবর পেয়ে পুলিশ এসে আশুতোষ ও তার ছেলেকে আটক করে নিয়ে যায়। এই বিষয়ে মৃতার আত্মীয় জগন্নাথ গড়াই বলেন, "বীথিকা সম্পর্কে আমার মাসি। ঘটনার দিন তিনি যখন বাড়িতে কাজ করছিলেন সেই সময় তাঁকে পিছন দিক থেকে ধরে মুখে গামছা বেঁধে তুলে নিয়ে যায় আশুতোষ ও তার ছেলে পূর্ণচন্দ্র । তাঁর গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় ।"
মৃতার আরেক আত্মীয় জানান, "বর্ধমান হাসপাতালে এসে দেখি তার গোটা শরীর পুড়ে গিয়েছে । তাঁকে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারি ভোরের দিকে তিনি যখন কাজ করছিলেন সেই সময় মুখে কাপড় বেঁধে তাঁকে টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে দেওয়া হয় । গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয় । কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হল না ৷ দোষীদের চরম শাস্তি হওয়া উচিত ।"
আরও পড়ুন : গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ, আটক ভাসুর ও ভাসুরপো