ভাতার (পূর্ব বর্ধমান), 13 ডিসেম্বর : এক যুবতিকে ধর্ষণের অপরাধে যুবকের ১২ বছরের কারাদণ্ডের রায় দিলেন বর্ধমানের দ্বিতীয় ফাস্ট-ট্র্যাক কোর্টের বিচারক অর্জুন মুখোপাধ্যায়। অপরাধীর নাম নাম শেখ সাবিরউদ্দিন । ভাতার থানার মাহাতা গ্রামের বাসিন্দা অপরাধী । আজ তার সাজা ঘোষণা হয় ।
মামলার সরকারি আইনজীবী হরিদাস মুখোপাধ্যায় বলেন, "ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে । বিচারক ১২ বছরের সাজা দিয়েছেন ।" যদিও এদিন নিজেকে নির্দোষ বলে বিচারকের কাছে দাবি জানিয়েছে সাবিরউদ্দিন। অভিযুক্তের আইনজীবী মুক্তিপদ রায় বলেন, "এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে তারা আপিল করবেন ।"
সরকারি আইনজীবী হরিদাস মুখোপাধ্যায় বলেন, '' গত বছর সেপ্টেম্বর মাসের ঘটনা । ওই যুবতির মামার বাড়ি ভাতারের একটি গ্রামে । মামাবাড়িতে মেঝেতে ঘুমাচ্ছিলেন যুবতি। দরজা বন্ধ না থাকার সুযোগ নেয় সাবিরুদ্দিন । গভীর রাতে ঘরে ঢুকে যুবতির মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে । পরে যুবতির চিৎকারে বাড়ির লোকজন উঠে পড়ে । পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে সাবিরউদ্দিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ । এরপর মেডিকেল টেস্টে ধর্ষণের প্রমাণ মেলে । নেওয়া হয় যুবতির গোপন জবানবন্দি ।" মেডিকেল পরীক্ষা করা বর্ধমান মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক স্টেট মেডিসিন বিভাগের দুই চিকিৎসক আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে ধর্ষণের প্রমাণের কথা জানিয়েছেন । এরপরেই সাবিরউদ্দিনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।