বর্ধমান, 27 ফেব্রুয়ারি: তিন বিজেপি কর্মীকে সাসপেন্ড করল দল ৷ তাঁদের বিরুদ্ধে বিজেপিরই কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে ৷ তাঁদের প্রত্য়েককেই এক বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে।
বিজেপি সূত্রে খবর, কিছুদিন আগে বিজেপির নবনির্মিত দলীয় কার্যালয়ে আদি বিজেপি বনাম নব্য বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ঘটনার জেরে দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর, গাড়িতে আগুন ধরানোর ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় বিজেপির সদর জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী-সহ 14 জনকে শোকজ করে দলীয় নেতৃত্ব ৷ এরপরই উত্তম চৌধুরি, স্মৃতিকান্ত মণ্ডল ও সাগ্নিক শিকদারকে এক বছরের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করা হয় ৷
প্রসঙ্গত, শুক্রবারই বিজেপির সদর জেলা সভাপতি পদ থেকে সন্দীপ নন্দীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন অভিজিৎ তা ৷ যা নিয়ে বিজেপির অন্দরেই শুরু হয়েছে গুঞ্জন ৷ এমন একটা প্রেক্ষাপটেই সাসপেন্ড করা হল তিন বিজেপি কর্মীকে ৷ যাঁরা আদি বিজেপি কর্মী হিসাবে পরিচিত। সূত্রের খবর, এর ফলে আদি বিজেপি কর্মীদের মনোবলে চিড় ধরতে শুরু করেছে। ভোট মরশুমে যা ভালো খবর নয় বিজেপির জন্য ৷
আরও পড়ুন: বুদবুদে দেওয়াল দখলে মরিয়া ক্ষুব্ধ ‘আদি বিজেপি’
বেশ কিছুদিন ধরে সদ্য প্রাক্তন বিজেপি জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছিলেন আদি বিজেপি কর্মীরা ৷ তাঁদের অভিযোগ ছিল, দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা বিজেপির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, তাঁদের সমস্যার কথা না শুনে তৃণমূল থেকে আসা কর্মীদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছিলেন সন্দীপ ৷ উপরন্তু, তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া কর্মীরা আদি বিজেপি কর্মীদের লাগাতার অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছেন ৷ অভিযোগ, এ নিয়ে সন্দীপ নন্দীকে বারবার অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি ৷ এর জেরেই গত 21 জানুয়ারি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে ৷ তা ঘিরে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বর্ধমান শহর ৷
সেই ঘটনার জেরে বিজেপির জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী-সহ 14 জন বিজেপি কর্মীকে শোকজ করা হয় ৷ শনিবার তাঁদের মধ্যেই তিনজনকে এক বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে।