ETV Bharat / state

রাজ্যে 356 ধারা লাগুর মতো পরিস্থিতি, স্বীকার করেছিলেন রাজ্যপাল : রাহুল - কেশরীনাথ ত্রিপাঠী

রাজ্যপাল ও রাজ্য সরকারের মধ্যে মতবিরোধের বিষয়টি এর আগেও সামনে এসেছে । 2014 সালে এরাজ্যের রাজ্যপাল হন কেশরীনাথ ত্রিপাঠী । তারপর থেকে একাধিকবার রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি ।

রাহুল সিনহা
author img

By

Published : Jul 28, 2019, 2:22 AM IST

Updated : Jul 28, 2019, 2:32 AM IST

বর্ধমান, 28 জুলাই : রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর মন্তব্য ইশুতে নয়া মোড় । রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন রাজ্যপাল । রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির মতো পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছিল । একাধিকবার তাঁর কাছে একথা স্বীকার করেছেন কেশরীনাথ ত্রিপাঠী । গতকাল একথা জানালেন BJP নেতা রাহুল সিনহা । রাজ্যপাল কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, গতকাল কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয় । সংবাদসংস্থা PTI-র খবর অনুযায়ী রাজ্যপাল বলেছেন, "মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোষণ রাজনীতি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিপরীতদিকে প্রভাবিত করছে ।" এই খবর সামনে আসতেই তৃণমূলের তরফে কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সমালোচনা করা হয় । এরপর মিডিয়ার ভূমিকার সমালোচনা করেন কেশরীনাথ ত্রিপাঠী । অহেতুক বিতর্ক তৈরি করতে তাঁর বক্তব্যের একটা অংশকে সামনে আনা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি । এরইমধ্যে সামনে আসে রাহুল সিনহার প্রতিক্রিয়া ।

কেশরীনাথ ত্রিপাঠী যে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে খুশি ছিলেন না তার স্বপক্ষে বসিরহাট ও আসানসোলে হিংসার প্রসঙ্গকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেছেন রাহুল সিনহা । বর্ধমানে দলীয় একটি বৈঠক থেকে সাংবাদিকদের সামনে এই BJP নেতা বলেন, "রাজ্যপাল সংগত মন্তব্যই করেছেন । রাজ্যের শাসকদলের বাস্তব চরিত্র তুলে ধরেছেন । এতদিন বিভিন্ন লোক রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছেন । রাজ্যপালের মুখে তারই প্রতিধ্বনি শোনা গেছে । বসিরহাটে হিংসার সময় রাজ্যপাল রাজ্য সরকারকে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন । এই হিংসার সময় রাজ্য সরকারের ভূমিকা একপেশে ছিল । তার প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি । প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, রাজ্য সরকারের সদর্থক ভূমিকা নেওয়া প্রয়োজন । কোনও একটি সম্প্রদায়ের উপর পুলিশের সাহায্যে হামলা চালানো হচ্ছে । এটা উচিত নয় । রাজ্যপাল একথা বলার পর তাঁর নিন্দা করা হয়েছিল তৃণমূলের তরফে । রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালকে অপমান করেছিলেন । আসানসোলে হিংসার সময়ও একই ঘটনা ঘটেছিল । রাজ্যপাল আসানসোলে যেতে চেয়েছিলেন । কিন্তু, রাজ্য সরকার যেতে দিতে রাজি হয়নি । শেষপর্যন্ত রাজ্যপাল সেখানে গেছিলেন । সবদিক দেখেশুনে তিনি রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছিলেন । পুলিশের ভূমিকা দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছিলেন । রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যখনই প্রশ্নের মুখে পড়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে রাজধর্ম পালনের বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্যপাল ।" এরপরই রাহুল সিনহার সংযোজন, "রাজ্যপালের সাথে আমার বহুবার কথা হয়েছে । তিনি স্বীকার করেছেন, 356 ধারা লাগু করার মতো সমস্ত পরিস্থিতি এরাজ্যে আছে ।"

keshrinath
রাজ্যপালের মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক

এই সংক্রান্ত খবর : PTI-কে সাক্ষাৎকার ; রাজ্যপালের কথায় তোষণের রাজনীতি, মমতা স্তুতিও

রাহুল সিনহা রাজ্যপালের মন্তব্যকে হাতিয়ার করে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করলেও কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর গলায় শোনা গেছে অন্য সুর । সংবাদসংস্থা PTI রাজ্যপালের রাজ্যসরকার বিরোধী মন্তব্য সামনে আনার পর ফের আসরে নামের কেশরীনাথ ত্রিপাঠী । এবার তিনি বলেন, "সংবাদমাধ্যম পুরোটা বলেনি । অহেতুক বিতর্ক তৈরির জন্য একটা অংশ বলেছে । আমি তাঁর (মুখ্যমন্ত্রীর) প্রশংসাও করেছি । আমি বলেছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নতি করছেন । তাঁর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষমতা আছে । সেই অংশটা রিপোর্ট করা হয়নি । এর মধ্যে কোনও বিতর্ক নেই ।"

এই সংক্রান্ত খবর : BJP-র কাছে পয়েন্ট বাড়াতে মন্তব্য করেছেন রাজ্যপাল : পার্থ

যদিও রাজ্যপাল ও রাজ্য সরকারের মধ্যে মতবিরোধের বিষয়টি এর আগেও সামনে এসেছে । 2014 সালে এরাজ্যের রাজ্যপাল হন কেশরীনাথ ত্রিপাঠী । তারপর থেকে একাধিকবার রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি ।

বর্ধমান, 28 জুলাই : রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর মন্তব্য ইশুতে নয়া মোড় । রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন রাজ্যপাল । রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির মতো পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছিল । একাধিকবার তাঁর কাছে একথা স্বীকার করেছেন কেশরীনাথ ত্রিপাঠী । গতকাল একথা জানালেন BJP নেতা রাহুল সিনহা । রাজ্যপাল কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, গতকাল কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয় । সংবাদসংস্থা PTI-র খবর অনুযায়ী রাজ্যপাল বলেছেন, "মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোষণ রাজনীতি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিপরীতদিকে প্রভাবিত করছে ।" এই খবর সামনে আসতেই তৃণমূলের তরফে কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সমালোচনা করা হয় । এরপর মিডিয়ার ভূমিকার সমালোচনা করেন কেশরীনাথ ত্রিপাঠী । অহেতুক বিতর্ক তৈরি করতে তাঁর বক্তব্যের একটা অংশকে সামনে আনা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি । এরইমধ্যে সামনে আসে রাহুল সিনহার প্রতিক্রিয়া ।

কেশরীনাথ ত্রিপাঠী যে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে খুশি ছিলেন না তার স্বপক্ষে বসিরহাট ও আসানসোলে হিংসার প্রসঙ্গকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেছেন রাহুল সিনহা । বর্ধমানে দলীয় একটি বৈঠক থেকে সাংবাদিকদের সামনে এই BJP নেতা বলেন, "রাজ্যপাল সংগত মন্তব্যই করেছেন । রাজ্যের শাসকদলের বাস্তব চরিত্র তুলে ধরেছেন । এতদিন বিভিন্ন লোক রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছেন । রাজ্যপালের মুখে তারই প্রতিধ্বনি শোনা গেছে । বসিরহাটে হিংসার সময় রাজ্যপাল রাজ্য সরকারকে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন । এই হিংসার সময় রাজ্য সরকারের ভূমিকা একপেশে ছিল । তার প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি । প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, রাজ্য সরকারের সদর্থক ভূমিকা নেওয়া প্রয়োজন । কোনও একটি সম্প্রদায়ের উপর পুলিশের সাহায্যে হামলা চালানো হচ্ছে । এটা উচিত নয় । রাজ্যপাল একথা বলার পর তাঁর নিন্দা করা হয়েছিল তৃণমূলের তরফে । রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালকে অপমান করেছিলেন । আসানসোলে হিংসার সময়ও একই ঘটনা ঘটেছিল । রাজ্যপাল আসানসোলে যেতে চেয়েছিলেন । কিন্তু, রাজ্য সরকার যেতে দিতে রাজি হয়নি । শেষপর্যন্ত রাজ্যপাল সেখানে গেছিলেন । সবদিক দেখেশুনে তিনি রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছিলেন । পুলিশের ভূমিকা দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছিলেন । রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যখনই প্রশ্নের মুখে পড়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে রাজধর্ম পালনের বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্যপাল ।" এরপরই রাহুল সিনহার সংযোজন, "রাজ্যপালের সাথে আমার বহুবার কথা হয়েছে । তিনি স্বীকার করেছেন, 356 ধারা লাগু করার মতো সমস্ত পরিস্থিতি এরাজ্যে আছে ।"

keshrinath
রাজ্যপালের মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক

এই সংক্রান্ত খবর : PTI-কে সাক্ষাৎকার ; রাজ্যপালের কথায় তোষণের রাজনীতি, মমতা স্তুতিও

রাহুল সিনহা রাজ্যপালের মন্তব্যকে হাতিয়ার করে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করলেও কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর গলায় শোনা গেছে অন্য সুর । সংবাদসংস্থা PTI রাজ্যপালের রাজ্যসরকার বিরোধী মন্তব্য সামনে আনার পর ফের আসরে নামের কেশরীনাথ ত্রিপাঠী । এবার তিনি বলেন, "সংবাদমাধ্যম পুরোটা বলেনি । অহেতুক বিতর্ক তৈরির জন্য একটা অংশ বলেছে । আমি তাঁর (মুখ্যমন্ত্রীর) প্রশংসাও করেছি । আমি বলেছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নতি করছেন । তাঁর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষমতা আছে । সেই অংশটা রিপোর্ট করা হয়নি । এর মধ্যে কোনও বিতর্ক নেই ।"

এই সংক্রান্ত খবর : BJP-র কাছে পয়েন্ট বাড়াতে মন্তব্য করেছেন রাজ্যপাল : পার্থ

যদিও রাজ্যপাল ও রাজ্য সরকারের মধ্যে মতবিরোধের বিষয়টি এর আগেও সামনে এসেছে । 2014 সালে এরাজ্যের রাজ্যপাল হন কেশরীনাথ ত্রিপাঠী । তারপর থেকে একাধিকবার রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি ।

Intro:রাজ্যপাল ঠিক বলেছেন রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের পরিবেশ তৈরি হয়েছে

সন্তোষ দাস

রাজ্যপাল যথার্থই মন্তব্য করেছেন রাজ্যে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের পরিস্থিতি আছে।
এতদিন রাজ্যের বিভিন্ন মানুষেরা বলতো আজ বিদায়ী রাজ্যপালের মুখে তার প্রতিধ্বনি শোনা গেছে। সত্য কথা বললেই রাজ্যে এই তৃণমূল কংগ্রেসের গাত্রদাহ তৈরি হয়। সেটা আজ আমরা আবার প্রত্যক্ষ করলাম। আমি মনে করিয়ে দিতে চাই যখন বসিরহাটে গন্ডগোল হচ্ছে তখন রাজ্যপাল রাজ্য সরকারকে মোকাবিলা করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিলেন। এতদিন বসিরহাটে খবর প্রকাশ্যে আসেনি। এমনকি আসানসোলের খবরও প্রকাশ্যে আসেনি।দুটি গোষ্ঠী নয় দুই ধর্মীয় দলের মধ্যেই গন্ডগোল চলছে।রাজ্যপাল আসানসোল পরিদর্শনে যেতে চাইলে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য কিন্তু রাজ্য সরকার কোনভাবেই রাজ্যপাল কে যেতে দিতে রাজি ছিল না। রাজ্যপালের মন্তব্য থেকেই পরিস্কার রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।Body:রাজ্যে Conclusion:রাষ্ট্রপতি শাসন
Last Updated : Jul 28, 2019, 2:32 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.