বর্ধমান, 19 সেপ্টেম্বর : এক রোগীর আত্মীয়কে মারধরের অভিযোগ উঠল বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে । অভিযোগ হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে। লাঠি দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ । এই বিষয়ে হাসপাতাল সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ।
ঘটনার সুত্রপাত আজ দুপুরে । আউটডোর বিভাগের পাঁচ তলায় অপারেশন থিয়েটারে আজ প্যাঙ্কাইটিস অপারেশন ছিল পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদের বাসিন্দা হিরালাল মিদ্যার । সকাল দশটা নাগাদ তাঁর অপারেশন শুরু হয় । বাইরে তাঁর তিনজন আত্মীয় ছিল । দুপুরে নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের একজনকে থাকতে বলে বাকিদের নিচে নেমে যাওয়ার কথা বলেন । সেই নিয়েই শুরু হয় বচসা । আত্মীদের মধ্যে একজনের মুখে মাস্কও ছিল না বলেও নিরাপত্তারক্ষীদের দাবি । এইসব নিয়ে বচসার সময় হঠাৎ শেখ কওসর আলি নামে একজনের মাথায় এক নিরাপত্তারক্ষী লাঠির বাড়ি মারে বলে অভিযোগ । সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মাথা ফেটে রক্ত বের হতে শুরু করে ।
অভিযোগকারীদের দাবি, এই ঘটনার পরেও তাঁদের টেনে হিঁচড়ে নিচে নামিয়ে দেয় নিরাপত্তারক্ষীরা । ঘটনার পর সুপারের অফিসে এসে লিখিত অভিযোগ করেন শেখ কওসর আলি । তিনি বলেন, "রোগীর রক্তের দরকার হতে পারে তাই আমাদের ওখানে থাকতে বলা হয়েছিল । সকালের দিকে সমস্যা না হলেও কিন্তু দুপুরের নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের অশ্লীল গালাগাল দিয়ে ধাক্কা দিয়ে নিচে নামাতে থাকে । প্রতিবাদ করলে পিছন থেকে হঠাৎ কেউ লাঠি দিয়ে আঘাত করে । মাটিতে লুটিয়ে পড়লেও ওরা গলা ধরে সিঁড়ি দিয়ে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে দেয় ।" অপর এক আত্মীয় নজর আলি বলেন, "পাঁচ-ছয় জন নিরাপত্তারক্ষী তাঁদের উপর চড়াও হয়ে এই কাণ্ড ঘটায় । এইভাবে সরকারি হাসপাতালে যদি তাঁরা আক্রান্ত হন, তাহলে তাঁরা কোথায় যাবেন ।"
ঘটনার পর নিরাপত্তারক্ষীদের একাংশ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পে গিয়ে পালটা রোগীর আত্মীয়দের নামে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ করেন । সেখানে অভিযোগকারীদের ডেকে এনে আলোচনা হয় । যদিও হাসপাতালের দাবি, একটি সমস্যা হয়েছিল। কিন্তু লাঠি দিয়ে মারা হয়েছে এটা সত্য নয় । হাসপাতালের সুপার প্রবীর সেনগুপ্ত আজ ছিলেন না । ফোনে তিনি জানান, সোমবার সকল নিরাপত্তারক্ষীদের ডাকা হয়েছে । লাঠি ছাড়া কাজ করার জন্য নিরাপত্তারক্ষীদের বলা হবে । রোগীর আত্মীদের অভিযোগ থাকলে ওইদিন দেখা হবে বলেও তাঁর আশ্বাস ।