বর্ধমান, 21 জুন: এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে কোনওদিনই সুষ্ঠুভাবে ভোট হতে পারে না। আজকে নবজোয়ারে যুবরাজকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য দু'হাজার রাজ্য পুলিশ দেওয়া হয়েছে। আর সারা রাজ্যের মানুষের নিরাপত্তার জন্য গণতন্ত্রকে বাঁচানোর জন্য 2 হাজার 200 সেন্ট্রাল ফোর্স। ছেলেখেলা হচ্ছে? আসলে রাজীবা সিনহা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন করে রা-ম জুটি হয়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে মানুষকে খুন করার খেলায় নেমেছে। বর্ধমানে জেলা বিজেপি কার্যালয়ে রাঢ়বঙ্গের দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে এসে এইভাবেই শাসকদলকে একহাত নিলেন আসানসোলের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল।
নির্বাচন কমিশন ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, "মানুষের জীবন নিয়ে ছেলেখেলা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজীবা সিনহা। আমাদের বাংলায় খেলার অনেক জুটি ছিল। এখন নতুন একটা জুটি হয়েছে রাজীবা সিনহা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জুটি, রাম জুটি! গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য নতুন জুটি বাজারে নেমেছে। তারা মানুষকে খুন করার খেলায় নেমেছে। সন্ত্রাস করে মানুষকে ভয় দেখানোর খেলা এই খেলার বিরুদ্ধে বাংলার মানুষ নেমেছে।"
সরাসরি রাজীবা সিনহাকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, "আজ রাজীবা সিনহা সরকারের চটি চাটতে তাঁর জিভ খুলে বেরিয়ে আসছে। অথচ চাটার জন্য দলে অনেক লোক আছে। তাঁর উচিত শিড়দাঁড়া সোজা করে নির্বাচন করানো। এটা তো মানুষের জীবন নিয়ে খেলা হচ্ছে ৷ পঞ্চায়েত ভোটের নামে প্রহসন চলছে। রাজ্যে 22 কোম্পানি অর্থাৎ 2 হাজার সিআরপিএফ। কী হবে এত কম সংখ্যাক কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে। রক্তগঙ্গা বইবে। মনোনয়ন জমা দেওয়া থেকেই রাজ্যে সাত জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। যদিও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী না-আসে তাহলে 8/11-র পরে আরও রক্তগঙ্গা বইবে।"
আরও পড়ুন: নিশীথের গড়ে তৃণমূল কর্মীকে অপহরণ, মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে রাতভর হুমকি ! পথ অবরোধ শাসকদলের
হুগলির তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "তৃণমূলে এখন সুপার সিএম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো সিএম। তাই হুগলির বলাগড়ের বিধায়ক যে সম্মান পাবে না সেটা জানাই কথা। তৃণমূল কংগ্রেসের বড় বড় নেতারাই সম্মান পাচ্ছেন না। কারও সম্মান বলে যে কিছু আছে সেটা এই দল মনে করে না।"