ঘাটাল, 17 জুন : জামাইষষ্ঠীর দিন শ্বশুরবাড়িতে এসে জামাইয়ের রহস্যমৃত্য়ু ৷ পরদিন উদ্ধার ঝুলন্ত মৃতদেহ ৷ ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে ৷ মৃতের শ্বশুরবাড়িতে ভাঙচুর চালাল উত্তেজিত জনতা ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ঘাটাল থানার পুলিশ ৷ তাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে ৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল থানা এলাকার শ্রীপুরে শ্বশুরবাড়িতে এসেছিলেন নবগ্রামের বাসিন্দা শুকদেব কুইল্যা ৷ বছর সাতেক আগে এই শুকদেবের সঙ্গে বিয়ে হয় শ্রীপুরের বাসিন্দা পুণ্য দোলুইয়ের মেয়ের ৷ এই দম্পতির একটি সন্তানও রয়েছে ৷ কিন্তু জামাইষষ্ঠীর দিন শ্বশুরবাড়িতে এসে শুকদেব জানতে পারেন, তাঁর স্ত্রীর আবার অন্যত্র বিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷
আরও পড়ুন : গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ
এরপর ঠিক কী হয়েছিল, সেটা স্পষ্ট নয় ৷ কারণ, নানা জনে নানা কথা বলছেন ৷ তবে বৃহস্পতিবার একটি পরিত্যক্ত এলাকা থেকে শুকদেবের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ৷ ওই যুবককে খুনের অভিযোগ তুলে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে হামলা চালান মৃতের পরিজনেরা ৷
পাড়া, প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, গত প্রায় দু’মাস ধরে শুকদেবের স্ত্রী বাপের বাড়িতেই ছিলেন ৷ সঙ্গে ছিল তাঁদের বছর পাঁচেকের সন্তানও ৷ স্ত্রী-সন্তানকে দেখতেই বুধবার শ্বশুরবাড়িতে আসেন শুকদেব ৷ যদিও তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের দাবি, জামাইয়ের সঙ্গে গত কয়েক মাস ধরে তাঁদের তেমন কোনও যোগাযোগই ছিল না ৷ এমনকী, বুধবারও শুকদেব শ্বশুরবাড়িতে আসেননি বলে দাবি করেছেন তাঁরা ৷
আরও পড়ুন : রানিগঞ্জে 9 ঘণ্টা পর পুকুর থেকে উদ্ধার যুবকের মৃতদেহ
পুণ্য দোলুইয়ের পরিবারের এই দাবি মানতে নারাজ মৃতের পরিবারের সদস্যরা ৷ তাঁদের সাফ কথা, তাঁদের ছেলেকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই পিটিয়ে মেরেছে ৷ তারপর তাঁর দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ শুকদেবের আত্মীয়রা এই ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন ৷ তাঁদের তোলা খুনের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷ তদন্ত শুরু করেছে ঘাটাল থানার পুলিশ ৷