চন্দ্রকোনা, 18 এপ্রিল : একদিকে যখন করোনার সংখা বাড়তে থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ প্রশাসনে রাস্তায় নামছে, তখন অন্য়চিত্র চন্দ্রকোণায় ৷ এক টোটো চালকের স্ত্রী করোনা পজিটিভ হওয়া সত্ত্বেও টোটোতে করে যাত্রী বহন করছেন ওই টোটো চালক ৷ নেই কোনও ব্যবস্থা, নেই কোনও করোনা বিধি।
স্ত্রী করোনা আক্রান্ত, স্বামী বাইরে বেরিয়ে টোটো চালিয়ে যাত্রী বইছেন । ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা 2 ব্লকের চন্দ্রকোণা পৌরসভার 12 নম্বর ওয়ার্ডের মল্লেশ্বরপুর এলাকার। গত 13 এপ্রিল জেলা স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী মল্লেশ্বরপুর এলাকার বাসিন্দা 55 বছরের এক মহিলার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ওই মহিলার স্বামী পেশায় একজন টোটো চালক ৷ মৃদু উপসর্গ নিয়ে ওই মহিলা বাড়িতেই হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। কিন্তু তাঁর স্বামী বাইরে বেরিয়ে টোটো চালিয়ে দেদার যাত্রী বহন করে চলেছেন বলে অভিযোগ। আজও তাঁকে যাত্রী বহন করতে দেখা যায় ৷
এ নিয়ে আক্রান্ত মহিলার স্বামীকে প্রশ্ন করা হলে বলেন, "স্ত্রী আক্রান্ত হওয়ার পর একই বাড়ির আলাদা ঘরে রয়েছে এবং আমরা আলাদা রয়েছি। স্ত্রী আক্রান্ত হওয়ার পর আমার পরীক্ষা করা হয় ৷ ভ্যাকসিনও নিয়েছি ৷ " তাঁর দাবি তাঁকে বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়নি ৷
আরও পড়ুন-ফের বেলাগাম মমতা-বাণী! এবার অভিমুখ বিজেপির ‘বজ্জাতরা’
জানা গেছে, ওই মহিলা 13 তারিখই গোয়ালতোড়ে বাপের বাড়ি থেকে ফিরেছিলেন ৷ তারপর জ্বর আসায় তাঁকে চন্দ্রকোণা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এবং করোনা টেস্ট করা হলে তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে ৷ বর্তমানে তাঁকে বাড়িতে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৷
এ বিষয়ে চন্দ্রকোণা 2 নম্বর ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক তথা চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমওএইচ গৌতম প্রতিহারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "সরকারি ভাবে তাদের কাছে কঠোর কোনও গাইড লাইন না থাকায় আগের মতো আক্রান্তের বাড়ি ঘিরে ব্যারিকেড করে কনটেইনমেন্ট জোন করা, পুলিশ প্রশাসনকে দিয়ে নজরদারি করা এবার হচ্ছে না। কারণ সরকারিভাবে সে রকম কোনও গাইড লাইন আসেনি ৷’’
এদিকে জানা গেছে , ওই ব্য়ক্তির করোনা টেস্টের জন্য় লালারস নেওয়া হলেও টেস্ট হয়নি ৷ কারণ ওই নমুনায় লিকেজ ছিল ৷ এই ঘটনায় চিকিৎসক গৌতম প্রতিহার স্বীকার করে নিয়ে বলেন, ‘‘ওই মহিলার স্বামীকে বারবার বলা সত্বেও পরীক্ষা করাতে আসেননি ৷ তাঁকে বারবার বোঝানো হয়েছে ৷’’