ETV Bharat / state

জোট নয়, আসন সমঝোতা চেয়েছিলাম : বিমান

গতকাল শালবনি শহরে ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের বামফ্রন্ট প্রার্থী দেবলীনা হেমব্রমের নির্বচনী প্রচারে গিয়ে জোট প্রসঙ্গে মুখ খুললেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু।

biman
author img

By

Published : Mar 29, 2019, 11:54 AM IST

Updated : Mar 29, 2019, 12:01 PM IST

শালবনি, 29 মার্চ : "জোট আমরা করিনি, জোট মিডিয়া করেছে। আমাদের জোট করার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না। " গতকাল শালবনি শহরে ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের বামফ্রন্ট প্রার্থী দেবলীনা হেমব্রমের নির্বচনী প্রচারে গিয়ে জোট প্রসঙ্গে একথা বলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু।

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

তিনি বলেন, " আমরা কোনও জোট করিনি। আমাদের জোট করার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না। আপনারা জোট করেছেন। মিডিয়ার জোটের উত্তর আমি দেব না। আপনারা জোটের ব্যাপার নিয়ে ভাবুন। আমরা সিট শেয়ারিং করতে চেয়েছিলাম। সিট শেয়ারিং ও জোট এক জিনিস নয়। আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল দেশকে বাঁচাতে BJP-কে হটাতে হবে। আর রাজ্যকে বাঁচাতে TMC-কে হটাতে হবে। তাই BJP এবং TMC বিরোধী ভোট এক জায়গায় নিয়ে আসা। তার জন্যেই আমরা চেয়েছিলাম একটা সিট শেয়ারিং হোক। এবং এই সিট শেয়ারিংয়ে প্রথম শর্ত ছিল বামেদের জেতা দুটো আসন এবং কংগ্রেসের জেতা চারটে আসনে বাম, কংগ্রেস কেউ কোনও প্রার্থী দেবে না। যখন আমরা প্রথম লিস্ট ঘোষণা করলাম, কংগ্রেসের জেতা চারটে আসনে প্রার্থী ঘোষণা করিনি। আমাদের দুটি জেতা আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছিলাম। তারপরে হঠাৎ একদিন আমাদের দুটো জেতা আসনে কংগ্রেস প্রার্থী ঘোষণা করে। সেদিনই আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিই যে, আমরাও কংগ্রেসের জেতা দুটি আসনে প্রার্থী দেব। আমরা দিয়ে দিই।"

গতকাল শালবনির হাটতলা থেকে প্রচার শুরু হয়। বিমান বসু ছাড়াও প্রচারে ছিলেন CPI(M)-র জেলা সম্পাদক তরুণ রায়।

শালবনি, 29 মার্চ : "জোট আমরা করিনি, জোট মিডিয়া করেছে। আমাদের জোট করার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না। " গতকাল শালবনি শহরে ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের বামফ্রন্ট প্রার্থী দেবলীনা হেমব্রমের নির্বচনী প্রচারে গিয়ে জোট প্রসঙ্গে একথা বলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু।

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

তিনি বলেন, " আমরা কোনও জোট করিনি। আমাদের জোট করার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না। আপনারা জোট করেছেন। মিডিয়ার জোটের উত্তর আমি দেব না। আপনারা জোটের ব্যাপার নিয়ে ভাবুন। আমরা সিট শেয়ারিং করতে চেয়েছিলাম। সিট শেয়ারিং ও জোট এক জিনিস নয়। আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল দেশকে বাঁচাতে BJP-কে হটাতে হবে। আর রাজ্যকে বাঁচাতে TMC-কে হটাতে হবে। তাই BJP এবং TMC বিরোধী ভোট এক জায়গায় নিয়ে আসা। তার জন্যেই আমরা চেয়েছিলাম একটা সিট শেয়ারিং হোক। এবং এই সিট শেয়ারিংয়ে প্রথম শর্ত ছিল বামেদের জেতা দুটো আসন এবং কংগ্রেসের জেতা চারটে আসনে বাম, কংগ্রেস কেউ কোনও প্রার্থী দেবে না। যখন আমরা প্রথম লিস্ট ঘোষণা করলাম, কংগ্রেসের জেতা চারটে আসনে প্রার্থী ঘোষণা করিনি। আমাদের দুটি জেতা আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছিলাম। তারপরে হঠাৎ একদিন আমাদের দুটো জেতা আসনে কংগ্রেস প্রার্থী ঘোষণা করে। সেদিনই আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিই যে, আমরাও কংগ্রেসের জেতা দুটি আসনে প্রার্থী দেব। আমরা দিয়ে দিই।"

গতকাল শালবনির হাটতলা থেকে প্রচার শুরু হয়। বিমান বসু ছাড়াও প্রচারে ছিলেন CPI(M)-র জেলা সম্পাদক তরুণ রায়।

Intro:ট্রেড ফেয়ার 2018 এসে শিল্প নষ্টের কারণ বামদের আন্দোলন কেই দায়ী করলেন পরিবহন মন্ত্রী ।


Body:আগে একটা বাৎসরিক বনধ হতো আর সেই বনধের দিনে তাস খেলে , হইহুল্লোড় করে , পিকনিক করে একটা কর্মদিবস নষ্ট করে দিত তৎকালীন বাম সরকার সহ তাবড় তাবড় নেতারা । আমরা এসে শিল্পের পরিবেশ তৈরি করেছি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বনধ কড়া হাতে দমন করে আজ শিল্পকে একটা নতুন দিশা দেখিয়েছেন এরকমই মন্তব্য করলেন পরিবহন মন্ত্রী তথা সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী । এদিন তিনি মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দির প্রাঙ্গনের এসেছিলেন ন্যাশনাল লেভেল ভেন্ডার ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম কাম এম এস এম ই ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফেয়ার 2018 উদ্বোধন অনুষ্ঠানে । এই মেলার আয়োজক কনফেডারেশন অফ পূর্ব এন্ড পশ্চিম মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি , এই মেলা চলবে আগামী কয়েকদিন । এ বছরে মেলা দ্বিতীয় বর্ষে পদার্পণ করল, মূলত কৃষি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প কে উৎসাহ দিতেই এ মেলার আয়োজন । এখানে 25 টি প্যাভেলিয়ন সহ মোট 65 টি স্টল রয়েছে , এই স্টলে উৎসাহী যুবক-যুবতীরা যারা পড়াশোনা করে কোন চাকরি পায়নি তারা নিজেদের কর্মদক্ষতা ও কৌশল কে কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন হস্তশিল্প ও কর্ম শিল্পের নিপুন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে তাদের ছোট ছোট ব্যবসা পত্রের জিনিস স্টলে রেখেছেন যা নজর কাড়ছে । সেই মেলায় উদ্বোধনে এসে পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন বিগত 2-3 বছর আগে বাম সরকার একটা বাৎসরিক বনধ ডাকত , যে বনধ কর্মনাশা বনধ এবং হৈ-হুল্লোড় তাস খেলে তারা একটি দিন কাটিয়ে দিত । সেইটা মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে বন্ধ করা গেছে , তাছাড়া বিগত বাম সরকারের আমলে বনধ এর জন্য বহু কোম্পানি এই রাজ্য ছেড়ে এবং জেলা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে । তাই মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোগী হয়েছেন বনধ কোনোভাবেই করা যাবে না । আগে বিদ্যাসাগর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক ছিল ধু ধু মাঠ সেই মাঠ এখন শিল্পের জন্য উপযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে এবং সেখানে গড়ে উঠেছে বিদ্যাসাগর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক । যেকোনো তাবড় তাবড় নেতারা এই বনধ ডেকে দিত এবং গল্প-গুজব পিকনিকের মাধ্যমে বনধ কে তারা উপভোগ করত কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সেই সব বনধে আমাদের রাজ্য সচল করে রেখেছেন , তাই একটা নেগেটিভ জায়গা থেকে বেরিয়ে এসেছে আমাদের এই রাজ্য তথা জেলা যার অনুপ্রেরণা সম্পূর্ণ মুখ্যমন্ত্রী নিজেই । আমরা বেরিয়ে এসেছি ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও পুড়িয়ে দাও রাজনীতি থেকে , যা তৎকালীন বামফ্রন্টের সরকার এগুলি করত এবং শ্রমিক সংকট এবং শ্রমিকদের প্রতি হুলিয়া জারি করে এই ধরনের বনধ করতো যাতে করে বহু শিল্পউদ্যোগী পালাতে বাধ্য হয়েছেন । আজ একটা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফ্রেন্ডলি এনভারমেন্ট তৈরি হয়েছে যা মুখ্যমন্ত্রী হাত ধরেই , তাছাড়া তিনি বলেন বর্তমানে কেন্দ্র সরকার যে ধরনের জি এস টি ও নোট বন্দি করেছেন তাতে অনেকাংশে ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রভূত ক্ষতি হয়েছে এ ক্ষেত্রে অনেকটাই ধাক্কা খেয়েছে এম এস এম ই । তবে তা তারা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে আমরাও অনেক ভাবে হেল্প করেছি আগামী দিনে আরো ভালোভাবে গড়ে উঠবে শিল্পাঞ্চল । এভাবে বক্তব্য রাখলেন শুভেন্দু অধিকারী বলা বাহুল্য এই দিন শুভেন্দু অধিকারীর ছবি তুলতে গিয়ে শুভেন্দু বাবুর দেহরক্ষীর হাতে কিছুটা হেনস্থার শিকার হলেন সাংবাদিকরা । এদিন শুভেন্দু বাবু যখন মঞ্চে বক্তব্য রাখছিলেন তখন সাংবাদিকদের ছবি তুলতে বাধা দেওয়া হয় । বাধার পাশাপাশি কে কতটা ছবি তুলবে সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে বসেন সাংবাদিকদের শুভেন্দু বাবুর দেহরক্ষীরা , টিভিতে এতটা দেখাবেন না তো তুলছেন কেন । এই ঘটনায় কিছুটা ক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা শুভেন্দু বাবুর মঞ্চ ছাড়েন ।


Conclusion:শিল্প না আসার কারণ বিরোধীদের বনধ কেই দায়ী করলেন শুভেন্দু
Last Updated : Mar 29, 2019, 12:01 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.