মেদিনীপুর, 13 ফেব্রুয়ারি : 100 কোটির টয় পার্ক গড়ে উঠতে চলেছে জঙ্গলমহলে । আর তা নিয়ে খুশি জঙ্গলমহলবাসী । খুশি হয়েছে ছোটো বড় ব্যবসায়ীরা ৷ আশা করা যাচ্ছে প্রচুর পরিমাণে কর্মসংস্থানের সুযোগ ঘটবে এই টয় পার্কে । সেই দিকে তাকিয়ে গোটা মেদিনীপুর ৷
এবার আর চিনা প্রযুক্তির খেলনা না, এবার বিশ্বকে পথ দেখাবে বাংলার খেলনা ৷ তাও আবার কম দামে । টয় পার্কের শিল্যানাস হলো জঙ্গলমহল এলাকার খাস জঙ্গলের ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের আট একর জায়গায় । সেই খেলনা শুধু জেলা বা রাজ্যে না গোটা বিশ্বজুড়ে রপ্তানি করা হবে । মোট 21 জন উদ্যোগপতি নিয়ে এই ব্যবসা শুরু হবে । মোট 3টি কোম্পানি এই খেলনা তৈরিতে লগ্নি করবে ৷ সঙ্গে রপ্তানিরও পুরো দায়িত্ব নেবেন তাঁরা। এর সঙ্গে জঙ্গল মহল মেদিনীপুরে প্রায় 6000 হাজার কর্মসংস্থান হওয়ার সম্ভাবনা ।
বর্তমানে ভারতের বাজারে কম দামে উন্নত প্রযুক্তির খেলনার 90 শতাংশ দখল করে আছে চিন । বাচ্চা থেকে বড় সবাই এই খেলনায় আসক্ত । অন্নপ্রাসন,বিয়েবাড়ি সহ যাবতীয় অনুষ্ঠানে গিফট দেওয়ার ক্ষেত্রে চিনা খেলনা অপরিহার্য । ছোটো বড় বাচ্চাদের খেলার প্রধান সামগ্রী হলো খেলনা । তবে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে খেলনার চরিত্র বদল হয়েছে । এখন সেই জগতে দখল নিয়েছে রিমোট ও সেন্সার খেলনা ।
খাস জঙ্গলের ব্যবসায়ী সঞ্জীব দাস,মৃনাল কান্তি বারিকরা বলেন, বর্তমানে চায়নার বাজার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভারত এবং জঙ্গলমহলের কাছে এটা একটা বিরাট সুযোগ । সবচেয়ে বড় ব্যাপার এখানে 6 হাজার কর্মসংস্থান হতে চলেছে । দেড়শ কোটি টাকার লগ্নি করতে চলেছে বড় বড় কোম্পানিগুলো । এইখানে বিভিন্ন ধরনের উন্নত মানের কম দামের খেলনা তৈরি হবে যা চিনের থেকেও ভালো ।
ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার ও কমার্স পূর্ব ও পশ্চিমের সাধারণ সম্পাদক চন্দন বসু বলেন, ‘‘এখানে 12 একর জায়গার মধ্যে 8 একর জায়গা জুড়ে এই পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে । চিনা পণ্য বয়কট করার পর স্বদেশী খেলনা তৈরির উদ্দ্যোগ অব্যশই গুরুত্বপূর্ণ । ইতিমধ্যে জেলার কেশপুরে সফট-টয় তৈরি হয় । এখানে এই ধরণের খেলনা তৈরি হলে খেলনার বাজার আরও খুলে যাবে । চিনের ওপর নির্ভরশীলতাও কমবে ।’’
মেদিনীপুরের জেলাশাসক রেশমি কমল বলেন, ‘‘চিনের খেলনার থেকে স্বদেশীয় খেলনা উপর ভারতীয়দের নির্ভরশীলতা বেশি । মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রজেক্ট এই টয় পার্ক । প্রায় 100 কোটি টাকা লগ্নি করা হচ্ছে এই পার্কে । কর্মসংস্থান হবে প্রায় ছয় হাজার । ’’