ETV Bharat / state

Daspur Woman Murder Case : সোনার গয়নাই হল কাল, মহিলার গলাকেটে খুনে গ্রেফতার 3

সোনা চুরি করতেই দাসপুরে মহিলাকে খুন ৷ খুনের ঘটনায় গ্রেফতার 3 (Three Persons Arrested in Daspur Woman Murder Case) ৷ উদ্ধার হল অস্ত্র ৷ এই ঘটনায় স্বস্তির ছায়া পুলিশ মহলে । অফিসারদের পুরস্কৃত করার ভাবনা পুলিশ সুপারের ।

Murder in Daspur
Murder in Daspur
author img

By

Published : Mar 12, 2022, 7:06 PM IST

দাসপুর, 12 মার্চ : অবশেষে দাসপুরে নৃশংসভাবে গলাকেটে খুন হওয়া মহিলার তদন্তে নেমে পুলিশ তিনজন অপরাধীকে গ্রেফতার করেল (Three Persons Arrested in Daspur Woman Murder Case) পুলিশ ৷ তাদের কাছে উদ্ধার হয়েছে ধারালো অস্ত্র ও চুরি যাওয়া সোনার গয়না ।

দাসপুরে নদী থেকে পাথর চাপা মহিলার গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তদন্তে নেমে মোবাইলের সূত্র ধরে মূল পান্ডা 3 জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ ৷ গত বুধবার বাড়ি থেকে প্রায় 15 কিমি দূরে কাঁসাই নদী থেকে উদ্ধার হয় মহিলার গলাকাটা মৃতদেহ । পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ছিল, অতিরিক্ত সোনার গয়নাই মহিলার মৃত্যুর মূল কারণ। ঘটনার পর পরিবারের সদস্যরা মৃতদেহ দেখে শনাক্ত করে মহিলাকে ।

ওই মৃত মহিলার নাম উর্মিলা দাস ৷ বয়স প্রায় ৫৮ বছর ৷ দাসপুর থানার নবীনমানুয়া সিতাপুর এলাকার বাসিন্দা । উর্মিলাদেবীর এক ছেলে ও দুই মেয়ে । ছেলে সোনার কাজ করেন ৷ বৌকে নিয়ে থাকেন ভিনরাজ্যে । বাড়িতে থাকতেন উর্মিলাদেবী ও স্বামী চিত্তরঞ্জন দাস ।

আরও পড়ুন : Malda Murder Case : সাংসারিক অশান্তির জের, স্ত্রীকে কুপিয়ে খুনে করে পলাতক স্বামী

দাসপুর পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনার আগের দিন অর্থাৎ 8 মার্চ মঙ্গলবার বিকেল প্রায় 5 টা নাগাদ উর্মিলাদেবী বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। সেই থেকে আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। বেশ কিছুদিন ধরেই উর্মিলাদেবীর নাতনির বিয়ের সম্বন্ধ বিষয়ে পরিচয় হয়েছিল এক ফেরিওয়ালার সঙ্গে ।

স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সোমনাথ ভৌমিক বলেন, "উর্মিলাদেবী গয়না পরতে ভালোবাসতেন । বাড়িতে ও বাড়ির বাইরে গা ভর্তি গয়না পরেই থাকতেন ।" তিনি মেয়ের বাড়ির এক নাতনির বিয়ের বিষয়ে এক ফেরিওয়ালার সঙ্গে পাত্রের খোঁজে গিয়েছিলেন বলে । তারপরই বুধবার সকালে দাসপুর থানার কলোড়া গ্রামে কাঁসাই নদীর জলে তাঁর গলা কাটা দেহ উদ্ধার করে দাসপুর পুলিশ । প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করেছিল এই গয়না ছিনতাই করতে গিয়েই উর্মিলাদেবীকে নৃশংসভাবে খুন করা হয় । এরপর ওই অজ্ঞাতপরিচয় ফেরিওয়ালার খোঁজে তদন্তে নামে পুলিশ ।

দাসপুর পুলিশের একটি তদন্তকারী টিম তদন্ত শুরু করে । তারা গোপন সূত্র ধরে অভিযান চালায় । বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে মোবাইল নাম্বার ট্রেস করে অবশেষে সাগর খান,মহিবুল ইসলাম ও শেখ শামিম নামে তিনজন অভিযুক্তকে গতকাল রাতে গ্রেফতার করা হয় । এই তিনজনকে জেরা করলে তারা দোষ স্বীকার করে এবং তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় চুরি হয়ে যাওয়া গয়না ও একটি ধারালো অস্ত্র ।

আরও পড়ুন : Allegations of Irregularities in Central Project : জলপাইগুড়িতে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের স্থানে রাজ্যের নাম, পরিদর্শনে দিল্লির প্রতিনিধি

এই ঘটনায় স্বস্তি নেমে এসেছে পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে । এই ঘটনার জেরে পুলিশের সাহসিকতা ও তৎপরতার জন্য তাদের পুরস্কারের ঘোষণা করেছেন জেলা পুলিশ সুপার দিনেশ কুমার । এদিন জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার বলেন, "দাসপুর থানার পুলিশের তৎপরতা এবং দক্ষতার জন্যই খুব দ্রুত এই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা গেছে ।"

দাসপুর, 12 মার্চ : অবশেষে দাসপুরে নৃশংসভাবে গলাকেটে খুন হওয়া মহিলার তদন্তে নেমে পুলিশ তিনজন অপরাধীকে গ্রেফতার করেল (Three Persons Arrested in Daspur Woman Murder Case) পুলিশ ৷ তাদের কাছে উদ্ধার হয়েছে ধারালো অস্ত্র ও চুরি যাওয়া সোনার গয়না ।

দাসপুরে নদী থেকে পাথর চাপা মহিলার গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তদন্তে নেমে মোবাইলের সূত্র ধরে মূল পান্ডা 3 জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ ৷ গত বুধবার বাড়ি থেকে প্রায় 15 কিমি দূরে কাঁসাই নদী থেকে উদ্ধার হয় মহিলার গলাকাটা মৃতদেহ । পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ছিল, অতিরিক্ত সোনার গয়নাই মহিলার মৃত্যুর মূল কারণ। ঘটনার পর পরিবারের সদস্যরা মৃতদেহ দেখে শনাক্ত করে মহিলাকে ।

ওই মৃত মহিলার নাম উর্মিলা দাস ৷ বয়স প্রায় ৫৮ বছর ৷ দাসপুর থানার নবীনমানুয়া সিতাপুর এলাকার বাসিন্দা । উর্মিলাদেবীর এক ছেলে ও দুই মেয়ে । ছেলে সোনার কাজ করেন ৷ বৌকে নিয়ে থাকেন ভিনরাজ্যে । বাড়িতে থাকতেন উর্মিলাদেবী ও স্বামী চিত্তরঞ্জন দাস ।

আরও পড়ুন : Malda Murder Case : সাংসারিক অশান্তির জের, স্ত্রীকে কুপিয়ে খুনে করে পলাতক স্বামী

দাসপুর পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনার আগের দিন অর্থাৎ 8 মার্চ মঙ্গলবার বিকেল প্রায় 5 টা নাগাদ উর্মিলাদেবী বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। সেই থেকে আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। বেশ কিছুদিন ধরেই উর্মিলাদেবীর নাতনির বিয়ের সম্বন্ধ বিষয়ে পরিচয় হয়েছিল এক ফেরিওয়ালার সঙ্গে ।

স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সোমনাথ ভৌমিক বলেন, "উর্মিলাদেবী গয়না পরতে ভালোবাসতেন । বাড়িতে ও বাড়ির বাইরে গা ভর্তি গয়না পরেই থাকতেন ।" তিনি মেয়ের বাড়ির এক নাতনির বিয়ের বিষয়ে এক ফেরিওয়ালার সঙ্গে পাত্রের খোঁজে গিয়েছিলেন বলে । তারপরই বুধবার সকালে দাসপুর থানার কলোড়া গ্রামে কাঁসাই নদীর জলে তাঁর গলা কাটা দেহ উদ্ধার করে দাসপুর পুলিশ । প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করেছিল এই গয়না ছিনতাই করতে গিয়েই উর্মিলাদেবীকে নৃশংসভাবে খুন করা হয় । এরপর ওই অজ্ঞাতপরিচয় ফেরিওয়ালার খোঁজে তদন্তে নামে পুলিশ ।

দাসপুর পুলিশের একটি তদন্তকারী টিম তদন্ত শুরু করে । তারা গোপন সূত্র ধরে অভিযান চালায় । বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে মোবাইল নাম্বার ট্রেস করে অবশেষে সাগর খান,মহিবুল ইসলাম ও শেখ শামিম নামে তিনজন অভিযুক্তকে গতকাল রাতে গ্রেফতার করা হয় । এই তিনজনকে জেরা করলে তারা দোষ স্বীকার করে এবং তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় চুরি হয়ে যাওয়া গয়না ও একটি ধারালো অস্ত্র ।

আরও পড়ুন : Allegations of Irregularities in Central Project : জলপাইগুড়িতে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের স্থানে রাজ্যের নাম, পরিদর্শনে দিল্লির প্রতিনিধি

এই ঘটনায় স্বস্তি নেমে এসেছে পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে । এই ঘটনার জেরে পুলিশের সাহসিকতা ও তৎপরতার জন্য তাদের পুরস্কারের ঘোষণা করেছেন জেলা পুলিশ সুপার দিনেশ কুমার । এদিন জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার বলেন, "দাসপুর থানার পুলিশের তৎপরতা এবং দক্ষতার জন্যই খুব দ্রুত এই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা গেছে ।"

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.