মেদিনীপুর, 15 মে : কবিতাবিতান জন্য সাহিত্য আকাদেমির পুরস্কার পেয়েছেন লেখিকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ কিন্তু, তাঁর সেই বইয়ের চাহিদা প্রায় নেই জঙ্গলমহলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় (There is less demand for books written by CM Mamata Banerjee in JangalMahal) ৷ এমনটাই জানাচ্ছেন সেখানকার নাম বই বিক্রেতারা ৷ পুরনো এবং বর্তমানের লেখক-লেখিকাদের বইয়ে খোঁজ পাঠকরা করলেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতাবিতানের খোঁজ কেউ করেননি বলে দাবি বই বিক্রেতাদের ৷
কিন্তু, জঙ্গলমহলের মতো জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী বইয়ের চাহিদা নেই কেন ? দোকানদাররা জানাচ্ছেন, মেদিনীপুর শহরে যে সকল পাঠক রয়েছেন, তাঁরা মূলত আধুনিক কাব্য ও প্রবন্ধের খোঁজ করেন ৷ আর পুরনো দিনের বাছাই করা কিছু বইয়ের চাহিদা থাকে ৷ আবার জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেকে আবার কবিতাবিতানের নামই শোনেননি ৷ ফলে বইয়ের চাহিদা সেভাবে নেই ৷ তবে, কেউ খোঁজ করলে অবশ্যই এনে দেওয়া হবে বলে জানান বই বিক্রেতারা ৷
প্রসঙ্গত, কবিতাবিতানের জন্য গত 9 মে বাংলা সাহিত্য আকাদেমির পুরস্কার পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ যা নিয়ে বহু বিতর্ক তৈরি হয়েছে ৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় এর জন্য যেমন সমালোচনা হয়েছে ৷ তেমনই রত্না রশীদ বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির তরফে দেওয়া অন্নদাশঙ্কর রায় স্মারক সম্মান ফিরিয়ে দিয়েছেন ৷ এমন বহু বিতর্ক তৈরি হয়েছে এনিয়ে ৷ কিন্তু, যে জঙ্গলমহলের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমতায় আসার যাত্রা শুরু হয়েছিল ৷ সেখানেই তাঁর বইয়ের চাহিদা নেই বলে জানাচ্ছেন বই বিক্রেতারা ৷
মেদিনীপুর শহরে একটি বইয়ের দোকান তাঁতিগেড়িয়া ভূর্জপত্র ৷ যার মালিক গৌতম সরকার জানান, অনেক পুরনো লেখক এবং মেদিনীপুরের নতুন কয়েকজন লেখকের ছড়া ও কবিতার বই রয়েছে তাঁর দোকানে ৷ সেগুলির চাহিদাও রয়েছে ৷ কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বইয়ের খোঁজ কেউ করেনি বলে দাবি তাঁর ৷ বছর দু’য়েক আগে একটি ইনস্টিটিউটের তরফে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিছু বইয়ের বরাত এসেছিল ৷ সেই সময় কিছু বই তিনি বিক্রি করেছিলেন ৷ তবে, ওই শেষবার ৷ আবার, কিশোর মল্লিক নামে এক ব্যবসায়ী জানান, ব্যবসার খাতিরে দোকানে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা বই রেখেছেন ৷ তবে, কেউ আজ পর্যন্ত সেই বইয়ের খোঁজ করেনি ৷