ঝাড়গ্রাম,7 জুলাই : বেতন বৃদ্ধির দাবিতে প্রতিবাদ বিক্ষোভ ঝাড়গ্রাম পৌরসভার অস্থায়ী সাফাই কর্মীদের ৷ আজ সকালে কাজ বন্ধ করে পৌরসভার সামনে বিক্ষোভ দেখায় তারা ৷ ঝাড়গ্রাম পৌরসভা কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, আলোচনা চলছে ৷ তাদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে ৷
অস্থায়ী সাফাই কর্মীদের দাবি, কোরোনার মত পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করছে তারা ৷ এই অবস্থায় তাদের যে পরিমাণ বেতন দেওয়া হয় তা দিয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে সংসার চালানো দায় হয়ে উঠেছে ৷ তাদের অভিযোগ, পৌর প্রশাসনকে বেতন বৃদ্ধির জন্য বারবার লিখিত আবেদন দিয়েও কোনও লাভ হয়নি ৷ তাই আজ হঠাৎ করেই কাজ বন্ধ করে দেয় তারা ৷
পৌরসভা সূত্রে খবর, ঝাড়গ্রাম পৌরসভায় মোট 18 জন অস্থায়ী সাফাই কর্মী আছে ৷ তারা শহরের বিভিন্ন এলাকার নোংরা আবর্জনা ভ্যাট থেকে তুলে পৌরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে এনে ফেলে ৷ এছাড়াও শহরের কোথাও কুকুর বিড়াল মরে পড়ে থাকলে তাও পরিষ্কার করতে হয় ৷ পাশাপাশি, প্রতিনিয়ত ড্রেন পরিষ্কার করতে হয় তাদের ৷ কিছু এমনও কর্মী রয়েছে যাদের পৌরসভার নির্দেশমতো পৌর এলাকার অন্তর্গত যে কোনও বাড়ির শৌচাগারও পরিষ্কার করতে হয় ৷
অস্থায়ী সাফাই কর্মীরা জানান, এই কাজের জন্য তাদের প্রতি মাসে কাউকে 4 হাজার বা কাউকে 5200 টাকা বেতন দেওয়া হয় ৷ তাদের অভিযোগ, শহরকে পরিষ্কার রাখতে দিনরাত এক করে কাজ করতে হয় ৷ অথচ বাড়ির কেউ অসুস্থ হলে বা নিজে অসুস্থ হয়ে কাজে না যোগ দিতে পারলে তার বিনিময়ে বেতন কেটে নেওয়া হয় ৷ এই 18 জন অস্থায়ী সাফাই কর্মীরা 30 জুন বেতন বৃদ্ধি ও তাদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে PF কাটার আবেদন করে একটি দরখাস্ত জমা দিয়েছিলেন ঝাড়গ্রাম পৌরসভার এগজ়িকিউটিভ অফিসার তুষারকান্তি সৎপতির কাছে ৷ তাদের ন্যূনতম 12 হাজার টাকা বেতন দেওয়া হোক ও প্রতিমাসে PD কাটা হোক ৷ এছাড়াও তাদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দিতে হবে ৷
ঝাড়গ্রাম পৌরসভার অস্থায়ী সাফাই কর্মীরা বলেন, দিনরাত এক করে আমরা কাজ করে চলেছি ৷ অথচ দিনের পর দিন বঞ্চনার শিকার হচ্ছি ৷ পৌরসভা থেকে আমাদের যে বেতন দেওয়া হয় তা দিয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে সংসার চালানো অসম্ভব ৷ অসুস্থ হয়ে পড়লে কাজে যোগ দিতে না পারলে সেজন্য বেতন কাটা হয় ৷ আমাদের 12 হাজার টাকা বেতন দিতে হবে ও আমাদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে PF কাটতে হবে ৷ তবেই আমরা আবার কাজে যোগ দেব ৷
এই বিষয়ে, ঝাড়গ্রাম পৌরসভার এগজ়িকিউটিভ অফিসার তুষারকান্তি সৎপতি বলেন, আমরা তো অনুরোধ জানিয়েছি কাজ চালিয়ে যাক ৷ এদের এই সমস্যাগুলো নিয়ে পৌরসভার পৌর প্রশাসন ও মেম্বার বোর্ড রয়েছে ৷ সকলের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা হবে ৷ বর্তমানে তাদের কাজ চালিয়ে রাখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি ৷
