ETV Bharat / state

তন্ত্রসাধনার জন্য নাবালককে খুনে অভিযুক্ত কিশোর

author img

By

Published : Sep 22, 2019, 1:58 PM IST

Updated : Sep 22, 2019, 3:41 PM IST

নাবালককে খুনের অভিযোগ কিশোরের বিরুদ্ধে ৷ তন্ত্রসাধনার জন্য অভিযুক্ত কিশোর খুন করেছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ৷ পুলিশের বক্তব্য, মৃত নাবালকের মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে ৷ অনুমান, কোনও শক্ত জিনিস দিয়ে তার মাথায় আঘাত করা হয়েছে ৷ তদন্ত চলছে ৷

আটক কিশোর

খড়গপুর, 22 সেপ্টেম্বর : তন্ত্রসাধনার জন্য নাবালককে খুনের অভিযোগ কিশোরের বিরুদ্ধে ৷ পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরের ঘটনা ৷ আটক তন্ত্রসাধকসহ তার পরিবারের আরও 8 সদস্য ৷

অভিযুক্ত কিশোর ক্লাস সেভেনের ছাত্র ৷ বাড়ি খড়গপুরের 6 নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন নিরঞ্জনবাড় এলাকায় ৷ স্থানীয়দের বক্তব্য, কারও বাড়িতে আগুন লাগলে বা কোনও কিছু চুরি গেলে সে মুহূর্তের মধ্যে গণনা করে বলে দিত পারত কে বা কারা আগুন লাগিয়েছে ৷ বা কে চুরি করেছে ৷ অনেক সময় দেবদেবীরাও তার উপর ভর করত ৷ তাই কোনও বিপদে পড়লেই স্থানীয়রা তার কাছে যেত ৷ এলাকায় তন্ত্রসাধক হিসেবেই পরিচিত ছিল সে ৷

গতকাল এলাকারই এক নাবালক রুদ্র নায়েক (7) সকালে বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় ৷ রুদ্রর বাবা-মা তার খোঁজ শুরু করেন ৷ অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও রুদ্রকে না পেয়ে তার বন্ধুবান্ধবদের জিজ্ঞাসা করেন ৷ জানতে পারেন রুদ্রকে শেষবার ওই কিশোর তন্ত্রসাধকের বাড়িতে দেখা গেছিল ৷ সেখানে প্রসাদ খেতে গেছিল রুদ্র৷ এরপরই তার বাবা-মা ওই কিশোরের বাড়ি যান ৷ সেখানে গিয়ে ছেলের খোঁজ করেন ৷ ওই কিশোর তাঁদের জানায়, রুদ্রকে দু'জন ব্যক্তি তুলে নিয়ে অনেক দূরে চলে গেছে ৷ তাকে আর পাওয়া যাবে না ৷ এই কথা শোনার পর তাঁরা বলেন, ছেলেকে না পেলে পুলিশে খবর দেবেন ৷ এরপরই ওই কিশোর ভয় পেয়ে যায় ৷ এবং জানায় পাশের বাড়িতে রয়েছে রুদ্র ৷ পাশের বাড়ি গিয়ে ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখেন তাঁরা ৷ সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যান ৷ কিন্তু সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ চিকিৎসকরা জানান, প্রায় 3 ঘণ্টা আগেই মৃত্যু হয়েছে রুদ্রর ৷ এই খবর জানাজানি হতেই এলাকায় শুরু হয় গন্ডগোল ৷ স্থানীয়রা ওই কিশোরের বাড়ি ঘিরে ফেলে ৷ পুলিশে খবর দেওয়া হয় ৷

দেখুন ভিডিয়ো...

পুলিশ ওই কিশোরের বাড়ি পৌঁছালে ভিতর থেকে ওই কিশোর জানায়, সে তন্ত্রসাধক ৷ তাকে কেউ কিছু করতে পারবে না ৷ বরং ধরতে গেলে সে সবাইকে মেরে ফেলবে ৷ অবশেষে রাত 10 টা নাগাদ ওই কিশোর ও তার পরিবারের 8 জনকে আটক করে খড়গপুর থানার পুলিশ ৷

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, লোকের বাড়িতে ঢিল মারা, আগুন ধরিয়ে দেওয়া এসব কাজ ওই কিশোর ও তার পরিবারের সদস্যরাই পরিকল্পনামাফিক করত ৷ পুলিশের বক্তব্য, রুদ্রর মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে ৷ অনুমান, কোনও শক্ত জিনিস দিয়ে তার মাথায় আঘাত করা হয়েছে ৷ তদন্ত চলছে ৷ আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ৷

খড়গপুর, 22 সেপ্টেম্বর : তন্ত্রসাধনার জন্য নাবালককে খুনের অভিযোগ কিশোরের বিরুদ্ধে ৷ পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরের ঘটনা ৷ আটক তন্ত্রসাধকসহ তার পরিবারের আরও 8 সদস্য ৷

অভিযুক্ত কিশোর ক্লাস সেভেনের ছাত্র ৷ বাড়ি খড়গপুরের 6 নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন নিরঞ্জনবাড় এলাকায় ৷ স্থানীয়দের বক্তব্য, কারও বাড়িতে আগুন লাগলে বা কোনও কিছু চুরি গেলে সে মুহূর্তের মধ্যে গণনা করে বলে দিত পারত কে বা কারা আগুন লাগিয়েছে ৷ বা কে চুরি করেছে ৷ অনেক সময় দেবদেবীরাও তার উপর ভর করত ৷ তাই কোনও বিপদে পড়লেই স্থানীয়রা তার কাছে যেত ৷ এলাকায় তন্ত্রসাধক হিসেবেই পরিচিত ছিল সে ৷

গতকাল এলাকারই এক নাবালক রুদ্র নায়েক (7) সকালে বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় ৷ রুদ্রর বাবা-মা তার খোঁজ শুরু করেন ৷ অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও রুদ্রকে না পেয়ে তার বন্ধুবান্ধবদের জিজ্ঞাসা করেন ৷ জানতে পারেন রুদ্রকে শেষবার ওই কিশোর তন্ত্রসাধকের বাড়িতে দেখা গেছিল ৷ সেখানে প্রসাদ খেতে গেছিল রুদ্র৷ এরপরই তার বাবা-মা ওই কিশোরের বাড়ি যান ৷ সেখানে গিয়ে ছেলের খোঁজ করেন ৷ ওই কিশোর তাঁদের জানায়, রুদ্রকে দু'জন ব্যক্তি তুলে নিয়ে অনেক দূরে চলে গেছে ৷ তাকে আর পাওয়া যাবে না ৷ এই কথা শোনার পর তাঁরা বলেন, ছেলেকে না পেলে পুলিশে খবর দেবেন ৷ এরপরই ওই কিশোর ভয় পেয়ে যায় ৷ এবং জানায় পাশের বাড়িতে রয়েছে রুদ্র ৷ পাশের বাড়ি গিয়ে ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখেন তাঁরা ৷ সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যান ৷ কিন্তু সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ চিকিৎসকরা জানান, প্রায় 3 ঘণ্টা আগেই মৃত্যু হয়েছে রুদ্রর ৷ এই খবর জানাজানি হতেই এলাকায় শুরু হয় গন্ডগোল ৷ স্থানীয়রা ওই কিশোরের বাড়ি ঘিরে ফেলে ৷ পুলিশে খবর দেওয়া হয় ৷

দেখুন ভিডিয়ো...

পুলিশ ওই কিশোরের বাড়ি পৌঁছালে ভিতর থেকে ওই কিশোর জানায়, সে তন্ত্রসাধক ৷ তাকে কেউ কিছু করতে পারবে না ৷ বরং ধরতে গেলে সে সবাইকে মেরে ফেলবে ৷ অবশেষে রাত 10 টা নাগাদ ওই কিশোর ও তার পরিবারের 8 জনকে আটক করে খড়গপুর থানার পুলিশ ৷

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, লোকের বাড়িতে ঢিল মারা, আগুন ধরিয়ে দেওয়া এসব কাজ ওই কিশোর ও তার পরিবারের সদস্যরাই পরিকল্পনামাফিক করত ৷ পুলিশের বক্তব্য, রুদ্রর মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে ৷ অনুমান, কোনও শক্ত জিনিস দিয়ে তার মাথায় আঘাত করা হয়েছে ৷ তদন্ত চলছে ৷ আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ৷

Intro:নাবালক তন্ত্রসাধক এর হাতে খুন নাবালক এক কিশোর, ঘটনাটি খড়গপুর লোকাল থানা নিরঞ্জন বাড় এলাকায়, এই ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্তদের পরিবারসহ 8 সদস্যকে আটক করেছে, এলাকায় উত্তেজনা l
Body:নাবালক তন্ত্রসাধক এর হাতে খুন নাবালক এক কিশোর, ঘটনাটি খড়গপুর লোকাল থানা নিরঞ্জন বাড় এলাকায়, এই ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্তদের পরিবারসহ 8 সদস্যকে আটক করেছে, এলাকায় উত্তেজনা l



ক'দিন ধরে এক নাবালকের তন্ত্রসাধনার এবং চমৎকার এ মজে উঠেছিল খড়গপুরে l কখনো কালি তো কখনো শীতলা আবার কখনো মা দুর্গার তার মধ্যে ভর করে বলে জানায় তাঁর পরিবার l নাবালক স্বপন নায়েক (13 ) ক্লাস সেভেনের ছাত্রকে নিজেকে ছতন্ত্র সাধনা এবং ভগবান বলে মনে করত l এই ভগবানের লীলাখেলা গত তিন মাস ধরে মেতে উঠেছিল খড়্গপুরের লোকাল থানা এরিয়া l কারো বাড়ির কোন জিনিস চুরি গেলে তৎক্ষণাৎ গণনা করে বলে দিতে পারতো এই তন্ত্রসাধক নাবালক l এই নাবালক কারো বাড়িতে আগুন লাগলে বা কোন কিছু চুরি হয়ে গেলে সেকেন্ডের মধ্যেই তা বলে দিত এই নাবালক কিন্তু বাঁধ সাধলো আরেক নাবালক কে বাড়িতে ডেকে এনে খুন করার ঘটনায় l এই তন্ত্রসাধক নাবালকের নাম স্বপন নায়েক বয়স 13 বছর ক্লাস সেভেনের ছাত্র এলাকায় ভগবান হিসেবেই পরিচিতি লাভ করেছিল l সবকিছুতেই অদ্ভুতভাবে বলে দিতে পারতো l কিভাবে কারো বাড়িতে কি চুরি হয়েছে এবং সে চুরির জিনিস কোথায় রাখা আছে l কিছুদিন আগে সে বলে বসে পাশের নাবালক বালকের মারাত্মক ক্ষতি হতে চলেছে তাই তাকে যথাসাধ্য পুজো অর্চনা করে এবং দান ধ্যান করে সেই বিপদ দূর করাতে হবে l খরগোপুর শহরের মালঞ্চ উত্তর বালাজি মন্দির 6 নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন নিরঞ্জন বাড় যা খড়গপুর লোকাল থানার অন্তর্গত l সেখানেই শনিবার বন্ধুদের সঙ্গে খেলার সময়ে নিখোঁজ হয়ে যায় সাত বছরের নাবালক রুদ্র নায়েক l এর পর সকাল থেকে বিকেল গড়ালেও বাবা-মা খোঁজ শুরু করে তার ছেলের l চারিদিকে খোঁজাখুঁজির পর তারা কোথাও রুদ্রর হদিস পায় না l এরপর রুদ্রর বন্ধু-বান্ধবদের জিজ্ঞাসা করা হলে তারা জানায় রুদ্রকে শেষবারের মতো দেখেছে তাদের পাশের বাড়ির বন্ধু স্বপন নায়েকের বাড়িতে প্রসাদ খেতে গিয়েছিল l এরপর রুদ্রর বাবা-মা স্বপন নায়েকের বাড়িতে যায় ,যেহেতু সে ভবিষ্যৎ এবং সমস্ত কিছু বলে দিতে পারে তাই তাকে জিজ্ঞাসা করে রুদ্রর ব্যাপারে l তখন স্বপন নায়েক জানায় রুদ্রকে দুজন ব্যক্তি তুলে নিয়ে অনেক দূর চলে গেছে, তাকে আর পাওয়া যাবে না l তখন রুদ্রর বাবা-মা স্বপন নায়েক কে জানায় যে তারা যদি বাচ্চাকে এবার না পায় তাহলে তারা পুলিশকে জানাবে l সেই কথা শোনামাত্র রুদ্রর ভর কেটে যায় এবং জানায় পাশের বাড়িতে রয়েছে রুদ্র l এরপর রুদ্রর বাবা-মা পাশের বাড়িতে রুদ্রকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান l সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করে এবং বলে 3 ঘণ্টা আগেই রুদ্রর মৃত্যু হয়েছে l এই খবর চাওয়র হওয়া মাত্রা এলাকার গণ্ডগোল শুরু হয়ে যায় l সবাই স্বপন নায়েক ও তাঁর পরিবার কে ঘিরে ফেলে মারতে যায় l পুলিশ গিয়ে স্বপন নায়েকের বাড়ি ঘিরে ফেলে কিন্তু ভেতর থেকে স্বপন নায়েক জানায় সে তন্ত্রসাধনার তাকে কেউ কিছু করতে পারবে না বরং ধরতে গেলে সে সবাইকে মেরে দেবে l এর পর গন্ডগোল আরো বাড়ে অবশেষে রাত্রি দশটা নাগাদ আটক করা হয় স্বপন নায়েক ও তার পরিবার এবং তার কাকাসহ বাড়ির আট সদস্যকে l এলাকায় এলাকাবাসী অভিযুক্তদের নিজেদের হাতে দেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে দাবি করে l পুলিশের সূত্র অনুযায়ী লোকের বাড়িতে ঢিল মারা আগুন ধরানো এসব স্বপন নায়েক ও তার পরিবারবর্গ পরিকল্পনামাফিক করাতো এবং লোককে বলতো যে সেই দোষী ব্যক্তিকে খুঁজে দিয়েছে l এদিন রুদ্রর মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে পুলিশের অনুমান শক্ত কোন জিনিস দিয়ে তার মাথায় আঘাত করেই তাকে মারা হয়েছে l Conclusion:নাবালক তন্ত্রসাধক এর হাতে খুন নাবালক এক কিশোর, ঘটনাটি খড়গপুর লোকাল থানা নিরঞ্জন বাড় এলাকায়, এই ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্তদের পরিবারসহ 8 সদস্যকে আটক করেছে, এলাকায় উত্তেজনা l
Last Updated : Sep 22, 2019, 3:41 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.