চন্দ্রকোনা, 4 জুন: ভিডিয়ো দেখলে চমকে উঠতে বাধ্য সকলেই ৷ একেবারে শিউরে ওঠার মতো ঘটনা ৷ নির্মমভাবে মারধর করা হচ্ছে এক স্কুলশিক্ষককে। তাতেও রেহাই নেই, মাথা ফেটে ঝরছে রক্ত, মোটা দড়ি গিয়ে গাছের সঙ্গে বাঁধা হাত-পা। কোনওরকম প্রতিবাদ ছাড়া মারের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করছেন অনেকেই ৷ মারতে মারতে একেবারে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি শিক্ষককে ৷ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা 2 নম্বর ব্লকের এই ঘটনার ভিডিয়ো এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে আন্তর্জালে।
ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে প্রচুর মানুষের জমায়েত ৷ কিন্তু কেউ এগিয়ে আসছেন না। প্রশাসনের কাছেও খবর পৌঁছয়নি। মারের এই ভিডিয়ো অনেকের মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি হয়ে ঘোরাঘুরি করছে। তারপরেও নিশ্চুপ প্রশাসন ৷ তাঁদের কাছে খবর নেই এমনই জানাচ্ছেন তাঁরা। ঘটনাক্রমে জানা যায়, চন্দ্রকোনা 2 নম্বর ব্লকের এক কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে কেশপুর থানার অন্তর্গত এক স্কুলশিক্ষক প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। ওই শিক্ষক অবশ্য বিবাহিত বলে জানা গিয়েছে।
কয়েকদিন আগে ওই শিক্ষক, কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসেন ৷ তখনই শিক্ষককে ধরে ফেলেন মেয়ের বাড়ির সদস্যরা। তারপরই চলে নৃশংস মারধর। বসে সালিশি সভা ৷ সালিশি সভাতে নিদান দেওয়া হয় 8 লক্ষ টাকা দিতে হবে ওই শিক্ষককে ৷ তারপরেও চলে মারধর। যে ছবি দেখলে চমকে উঠবেন সকলেই। সমস্ত ঘটনার ভিডিয়ো মোবাইলে রেকর্ডিং করেছেন উপস্থিত লোকজনরা ৷ যা এখন ভাইরাল। এই ঘটনায় আহত হয়ে প্রেমিক তথা শিক্ষক আশঙ্কাজনক অবস্থায় পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: বান্ধবীর ঘনিষ্ঠ হওয়ায় বন্ধুকে খুনের অভিযোগ যুবকের বিরুদ্ধে
এ বিষয়ে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসা করা হলে মুখ খুলতে চাইছেন না কেউই। কিন্তু কীসের ভয়! অনেকেই বলছেন, এই ঘটনা সঙ্গে জড়িত রয়েছে শাসকদলের স্থানীয় কিছু নেতা ও গ্রামের বেশ কিছু মাতব্বর। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনে কিছু করছে না কেন? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। যদিও চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও কেউ লিখিত অভিযোগই দায়ের করেনি এই ঘটনায়।