ETV Bharat / state

Student Scholarship: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের, স্কলারশিপের জন্য প্রধানের সার্টিফিকেট না পেয়ে বিডিও'কে চিঠি ছাত্রীর

TMC Factionalism: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে তৃণমূল প্রধানের কাছ থেকে মেলেনি স্কলারশিপের জন্য সার্টিফিকেট ৷ বিডিও'কে চিঠি লিখে অভিযোগ ছাত্রীর ৷

Student writes letter to BDO
প্রধানের শংসাপত্র পায়নি ছাত্রী
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 23, 2023, 12:54 PM IST

স্কলারশিপের জন্য প্রধানের সার্টিফিকেট না পেয়ে বিডিও'কে চিঠি ছাত্রীর

মেদিনীপুর, 23 অগস্ট: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের ৷ বাবা তৃণমূল কর্মী হওয়ার সত্ত্বেও স্কলারশিপের জন্য মিলছে না শাসকদলের প্রধানের শংসাপত্র ৷ এমনটাই অভিযোগ করেছে দশম শ্রেণির এক পড়ুয়া ৷ ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় 16 নম্বর হেমচন্দ্র অঞ্চলের । বারবার এই দরজা ওই দরজা ঘুরেও এই সমস্যার সুরাহা পায়নি সে ৷ অবশেষে বিডিওর দ্বারস্থ হল 17 বছরের কুহেলি আদক ৷ চিঠি লিখে সমস্ত বিষয়টি নারায়ণগড় বিডিও কৃশানু রায়কে জানিয়েছে ছাত্রী ৷ যদিও বিডিওর দাবি, তিনি এমন কোনও চিঠি বা অভিযোগ পাননি ৷

ছাত্রী কুহেলি আদক বলে, "প্রধানের শংসাপত্রের জন্য আটকে যাচ্ছে আমার স্কলারশিপের টাকা । একাধিকবার তাঁর কাছে গেলেও তিনি দেখা করছেন না । আমি ও আমার বাবা তাঁর কাছে গিয়েছিলাম ৷ এমনকী আমার দাদুও গিয়েছিল ৷ কিন্তু ওই পঞ্চায়েত প্রধান কার্যালয়ে থেকেও দিচ্ছেন না শংসাপত্র । বলছেন, শংসাপত্র এলেই পাওয়া যাবে না, অপেক্ষা করতে হবে ।"

এই বিষয়ে যদিও কুহেলি আদকের বাবা রাজকমলের বক্তব্য, নিজেও তিনি শাসকদলের কর্মী এবং যিনি প্রধান রয়েছেন তিনিও তৃণমূলেরই । কিন্তু এক্ষেত্রে তিনি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তত্ত্বকে খাড়া করেছেন । তিনি বলেন, "যেহেতু ওঁনারা অন্য গোষ্ঠী করে তাই আমার মেয়ের এই সার্টিফিকেট আটকে রেখেছে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান । সরাসরি তাই মুখেও বলে দিচ্ছেন না শংসাপত্র ৷ তিনি কেন দেবেন না সার্টিফিকেট? বরং সার্টিফিকেটের জন্য বারবার গেলে আমাকে নিতাই আদক নামে এক তৃণমূল নেতার সঙ্গে কথা বলতে বলা হয় ।"

যদিও এ বিষয়ে পঞ্চায়েত প্রধান সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে উনি ফোন ধরেননি ।

তবে নারায়ণগড়ের বিডিও কৃশানু রায় বলেন, "এই ধরনের অভিযোগ হয়েছে বলে আমার জানা নেই । তবে যদি হয়ে থাকে অবশ্যই খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব ।"

Student Scholarship
বিডিও'কে চিঠি ছাত্রীর

জানা গিয়েছে, বেলদা থানার নারায়ণগড়ের মহম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা রাজকমল আদক । তাঁর মেয়ে স্থানীয় কুশবাসান উচ্চ বিদ্যালয়ে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ে । ছাত্রীর স্কুলের স্কলারশিপ এর জন্য প্রয়োজন পঞ্চায়েত এবং প্রধানের সার্টিফিকেট । মূলত এক্ষেত্রে শংসাপত্র প্রদান করেন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান । কিন্তু কুহেলি ও তাঁর বাবার অভিযোগ, সেই শংসাপত্র দিচ্ছেন না 16 নম্বর হেমচন্দ্র অঞ্চলের পঞ্চায়েত প্রধান কাকলি গুছাইত । এক আধ বার নয়, বরং বারে বারে গিয়েও তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে । কখনও তিনি পঞ্চায়েত অঞ্চল অফিসে ডেকেও নীচে নামছেন না ৷ কখনও তাঁরা এলেই তিনি পালিয়ে যাচ্ছেন । বাড়িতে ডেকে বলছেন অঞ্চলে যেতে ৷ অঞ্চল থেকে বলছেন দোকানে যেতে ৷ এই ভাবেই দিনের পর দিন ঘুরিয়ে যাচ্ছেন প্রধান বলে অভিযোগ ।

আর শাংসাপত্র না মেলায় আটকে গিয়েছে দশম শ্রেণির পড়ুয়ার স্কলারশিপের টাকা ৷ যাতে বেজায় অসুবিধায় পড়েছে সে ৷ অবশেষে রাগ ও ক্ষোভে ছাত্রী অভিযোগ জানাল স্থানীয় বিডিও অফিসে । অভিযোগপত্রে কুহেলি আদক উল্লেখ করেছে, তাকে বারবার না ঘুরিয়ে অবিলম্বে সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক ।

আরও পড়ুন: করণদিঘিতে ফের সক্রিয় স্কলারশিপের টাকা হাতানোর চক্র, জেলাশাসকের দ্বারস্থ স্থানীয়রা

তাঁর বাবা বলেন, "গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানেরই একমাত্র এই সার্টিফিকেট দেওয়ার অধিকার আছে । তাই আমি অন্যকে বলতে যাব না । একটা শংসাপত্রের জন্য আমাদের দশ দিন ধরে ঘোরাচ্ছে পঞ্চায়েত প্রধান । আমরা নিজেরা শাসকদল করি ৷ উনিও শাসকদলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান । আমরা যেহেতু অন্য গোষ্ঠী করি তাই তিনি হয়তো এই সার্টিফিকেট আটকে রেখেছে ৷ কিন্তু আমি বিষয়টা নিয়ে জেলা সভাপতির সঙ্গে কথা বলেছিলাম ৷ উনি বলেছেন প্রধান সার্টিফিকেট দিচ্ছে না এই বিষয়ে কোন অভিযোগ আমার কাছে জানানো যাবে না ।"

স্কলারশিপের জন্য প্রধানের সার্টিফিকেট না পেয়ে বিডিও'কে চিঠি ছাত্রীর

মেদিনীপুর, 23 অগস্ট: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের ৷ বাবা তৃণমূল কর্মী হওয়ার সত্ত্বেও স্কলারশিপের জন্য মিলছে না শাসকদলের প্রধানের শংসাপত্র ৷ এমনটাই অভিযোগ করেছে দশম শ্রেণির এক পড়ুয়া ৷ ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় 16 নম্বর হেমচন্দ্র অঞ্চলের । বারবার এই দরজা ওই দরজা ঘুরেও এই সমস্যার সুরাহা পায়নি সে ৷ অবশেষে বিডিওর দ্বারস্থ হল 17 বছরের কুহেলি আদক ৷ চিঠি লিখে সমস্ত বিষয়টি নারায়ণগড় বিডিও কৃশানু রায়কে জানিয়েছে ছাত্রী ৷ যদিও বিডিওর দাবি, তিনি এমন কোনও চিঠি বা অভিযোগ পাননি ৷

ছাত্রী কুহেলি আদক বলে, "প্রধানের শংসাপত্রের জন্য আটকে যাচ্ছে আমার স্কলারশিপের টাকা । একাধিকবার তাঁর কাছে গেলেও তিনি দেখা করছেন না । আমি ও আমার বাবা তাঁর কাছে গিয়েছিলাম ৷ এমনকী আমার দাদুও গিয়েছিল ৷ কিন্তু ওই পঞ্চায়েত প্রধান কার্যালয়ে থেকেও দিচ্ছেন না শংসাপত্র । বলছেন, শংসাপত্র এলেই পাওয়া যাবে না, অপেক্ষা করতে হবে ।"

এই বিষয়ে যদিও কুহেলি আদকের বাবা রাজকমলের বক্তব্য, নিজেও তিনি শাসকদলের কর্মী এবং যিনি প্রধান রয়েছেন তিনিও তৃণমূলেরই । কিন্তু এক্ষেত্রে তিনি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তত্ত্বকে খাড়া করেছেন । তিনি বলেন, "যেহেতু ওঁনারা অন্য গোষ্ঠী করে তাই আমার মেয়ের এই সার্টিফিকেট আটকে রেখেছে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান । সরাসরি তাই মুখেও বলে দিচ্ছেন না শংসাপত্র ৷ তিনি কেন দেবেন না সার্টিফিকেট? বরং সার্টিফিকেটের জন্য বারবার গেলে আমাকে নিতাই আদক নামে এক তৃণমূল নেতার সঙ্গে কথা বলতে বলা হয় ।"

যদিও এ বিষয়ে পঞ্চায়েত প্রধান সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে উনি ফোন ধরেননি ।

তবে নারায়ণগড়ের বিডিও কৃশানু রায় বলেন, "এই ধরনের অভিযোগ হয়েছে বলে আমার জানা নেই । তবে যদি হয়ে থাকে অবশ্যই খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব ।"

Student Scholarship
বিডিও'কে চিঠি ছাত্রীর

জানা গিয়েছে, বেলদা থানার নারায়ণগড়ের মহম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা রাজকমল আদক । তাঁর মেয়ে স্থানীয় কুশবাসান উচ্চ বিদ্যালয়ে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ে । ছাত্রীর স্কুলের স্কলারশিপ এর জন্য প্রয়োজন পঞ্চায়েত এবং প্রধানের সার্টিফিকেট । মূলত এক্ষেত্রে শংসাপত্র প্রদান করেন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান । কিন্তু কুহেলি ও তাঁর বাবার অভিযোগ, সেই শংসাপত্র দিচ্ছেন না 16 নম্বর হেমচন্দ্র অঞ্চলের পঞ্চায়েত প্রধান কাকলি গুছাইত । এক আধ বার নয়, বরং বারে বারে গিয়েও তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে । কখনও তিনি পঞ্চায়েত অঞ্চল অফিসে ডেকেও নীচে নামছেন না ৷ কখনও তাঁরা এলেই তিনি পালিয়ে যাচ্ছেন । বাড়িতে ডেকে বলছেন অঞ্চলে যেতে ৷ অঞ্চল থেকে বলছেন দোকানে যেতে ৷ এই ভাবেই দিনের পর দিন ঘুরিয়ে যাচ্ছেন প্রধান বলে অভিযোগ ।

আর শাংসাপত্র না মেলায় আটকে গিয়েছে দশম শ্রেণির পড়ুয়ার স্কলারশিপের টাকা ৷ যাতে বেজায় অসুবিধায় পড়েছে সে ৷ অবশেষে রাগ ও ক্ষোভে ছাত্রী অভিযোগ জানাল স্থানীয় বিডিও অফিসে । অভিযোগপত্রে কুহেলি আদক উল্লেখ করেছে, তাকে বারবার না ঘুরিয়ে অবিলম্বে সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক ।

আরও পড়ুন: করণদিঘিতে ফের সক্রিয় স্কলারশিপের টাকা হাতানোর চক্র, জেলাশাসকের দ্বারস্থ স্থানীয়রা

তাঁর বাবা বলেন, "গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানেরই একমাত্র এই সার্টিফিকেট দেওয়ার অধিকার আছে । তাই আমি অন্যকে বলতে যাব না । একটা শংসাপত্রের জন্য আমাদের দশ দিন ধরে ঘোরাচ্ছে পঞ্চায়েত প্রধান । আমরা নিজেরা শাসকদল করি ৷ উনিও শাসকদলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান । আমরা যেহেতু অন্য গোষ্ঠী করি তাই তিনি হয়তো এই সার্টিফিকেট আটকে রেখেছে ৷ কিন্তু আমি বিষয়টা নিয়ে জেলা সভাপতির সঙ্গে কথা বলেছিলাম ৷ উনি বলেছেন প্রধান সার্টিফিকেট দিচ্ছে না এই বিষয়ে কোন অভিযোগ আমার কাছে জানানো যাবে না ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.