চন্দ্রকোনা, 30 জুন: বাড়ির বৈঠকখানায় বসে নিজের নিজের কাজে ব্যস্ত ছিলেন পরিবারের সদস্যরা ৷ হঠাৎই গৃহকর্ত্রীর নজর যায় বেসিনের নীচে ৷ সেখানে কালচে মতো কী যেন একটা পড়ে ছিল ! কয়েক মুহূর্ত পরই নড়েচড়ে উঠল সেটি ৷ চোখের নিমেষে দিল গা-ঢাকা ! সঙ্গে সঙ্গে 'সাপ, সাপ' বলে চেঁচিয়ে ওঠেন ওই মহিলা ! তাঁর চিৎকার শুনে তখন থরহরিকম্প বাকিরা ৷ ছুটে আসেন প্রতিবেশীরাও ৷ তাঁদেরই একজন সাপটিকে দেখতে পান ৷ তাঁর দাবি ছিল, যে 'অতিথি' সকলের অলক্ষ্যে বাড়ির অন্দরমহলে সেঁধিয়েছে, সেটি আদতে গোখরো ! এরপরই শুরু হয় উৎকণ্ঠা ৷ সাপ ধরতে খবর পাঠানো হয় বন দফতরে ৷ ভিড় জমে যায় পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) চন্দ্রকোনার (Chandrakona) পালৌধি পরিবারের বাড়ির বাইরে ৷
গৃহকর্তা উৎপল পালৌধি জানিয়েছেন, তাঁদের বাড়িটি একেবারে রাস্তার পাশেই ৷ সাপটি কখন বাইরের সিঁড়ি বেয়ে খোলা দরজা দিয়ে ভিতরে ঢুকে বসার ঘর পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে, তা তাঁরা কেউই দেখেননি ৷ সেটি আদতে গোখরো না অন্য কোনও প্রজাতির সাপ, তাও তাঁর জানা নেই ৷ তবে, সাপটির ফণা রয়েছে ৷ তা দেখেই উৎপলের অনুমান, সেটি বিষধর সাপ ৷ যদিও উৎপলের এক বন্ধু তথা প্রতিবেশীর দাবি, সেটি গোখরোই ৷ তবে, বন দফতরের কর্মী ও আধিকারিকরা এ নিয়ে কিছু বলেননি ৷
আরও পড়ুন: Snake : ছুঁচো খেয়ে পেট মোটা, দেওয়াল ভেঙে সাপ উদ্ধার বনকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান চন্দ্রকোনার ধামকুড়িয়ার বিট অফিসার অসিত মণ্ডল ৷ সঙ্গে ছিলেন দু'জন বনকর্মী ৷ তাঁরা প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার চেষ্টায় সাপটিকে বাগে আনেন ৷ রীতিমতো নাকানিচোবানি খাওয়ার পর সেটিকে পাকড়াও করে ঝোলায় পোরা হয় (Snake Rescued) ৷ সাপটি 5 থেকে 6 ফুট দীর্ঘ ৷ আপাতত সেটিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে ৷ সাপটির মধ্যে শারীরিক কোনও সমস্যা না থাকলে দ্রুত সেটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে ৷ এ দিকে, বর্ষার শুরুতেই এমন ঘটনা ঘটায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী ৷ তাঁদের আশঙ্কা, বসত এলাকায় যদি আবারও এমন ঘটনা ঘটে, তাহলে যেকোনও সময় বড় কোনও অঘটন ঘটে যেতে পারে ৷