দাসপুর 12 আগস্ট : কোরোনা আবহেও বাজল স্কুলের ঘণ্টা । পিঠে বইয়ের ব্যাগ নিয়ে ছুটে এল ছাত্রছাত্রীরা । ক্লাস টেনের ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয়ে এল । পুরোনো ছন্দে শিক্ষকরাও পড়ালেন ।
দাসপুর 1 ব্লকের হাটসরবেড়িয়া বি সি রায় উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবকদের আবেদন জমা পড়েছিল। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বৃন্দাবন ঘটকের কাছে অভিভাবকরা আবেদন জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবার স্কুল খুলুন। সেই আবেদনের ভিত্তিতে বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত হয় কোভিড 19 সংক্রান্ত সমস্ত নিয়ম মেনে চালু হবে স্কুল । সেই মতো বুধবার, 12 আগস্ট ক্লাস টেনের ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয়ে এল এবং শিক্ষকরাও পাঠদানে অংশ নিল । পুরোনো ছন্দেই বাংলা-অঙ্ক-ইংরেজি পড়ালেন শিক্ষকরা । দিলেন বাড়ির কাজ। তবে স্কুলের প্রবেশ পথে থার্মাল স্ক্রিনিং, স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা ছিল। এছাড়া ছাত্র-শিক্ষক উভয়ের মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল । শ্রেণিকক্ষে মানা হল সামাজিক দূরত্বও ।
ফের পড়াশোনা চালু হওয়ায় খুশি ছাত্রছাত্রী থেকে অভিভাবকরা । তাঁরা জানান, কোরোনার জেরে স্কুল বন্ধ ছিল । বাড়িতে তেমন পড়াশোনা সম্ভব না। কিন্তু থমকে নেই সময়। তাই তাঁরা খুশি তাঁদের কথায় মান্যতা দিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্লাস চালু করায় । যদিও কোরোনা আবহে শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশে রাজ্যের সমস্ত বিদ্যালয়ে বন্ধ রয়েছে পঠনপাঠন । তারই মাঝে ব্যতিক্রমী কাণ্ড ঘটাল দাসপুরের স্কুল।
প্রধান শিক্ষকের সাফ কথা, "আমরা স্কুল খোলার জন্য অভিভাবকদের আবেদন পাচ্ছিলাম ৷ কোভিড 19 সংক্রমণ রুখতে সব ব্যবস্থা নিয়েই পরীক্ষামূলকভাবে পঠনপাঠন চালু করেছি। বুধবার থেকে শুধুমাত্র দশম শ্রেণির পঠনপাঠন চালু হল । সাফল্য পেলে আংশিকভাবে ছোটো ছোটো গ্রুপে অন্য ক্লাসও চালু হবে। তবে শিক্ষা দপ্তর এনিয়ে কোনও নির্দেশ দিলে ক্লাস নেওয়া বন্ধ করে দেব। তারপরও আমাদের শিক্ষক-শিক্ষিকারা বিদ্যালয়ের বাইরে কোনও খোলা জায়গায় ছাত্রছাত্রীদের পঠনপাঠন জারি রাখবেন।"