ETV Bharat / state

হালখাতা নয়, নববর্ষে দোকান বন্ধ করে লকডাউনে সম্মতি ব্যবসায়ীদের - কোরোনা আক্রান্ত

এবছর লকডাউনের কারণে হালখাতার অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন ব্যবসায়ীরা ৷ তাই আজ কোথাও কোনও দোকান খোলেননি কেউ ৷

নববর্ষে দোকান বন্ধ করে লকডাউনে সম্মতি ব্যবসায়ীদের
নববর্ষে দোকান বন্ধ করে লকডাউনে সম্মতি ব্যবসায়ীদের
author img

By

Published : Apr 14, 2020, 6:59 PM IST

বড়বাজার (মেদিনীপুর), 14 এপ্রিল : প্রতি বছর নববর্ষ মানেই দোকানে দোকানে গ্রাহকদের ভিড় ৷ সাড়ম্বরে গ্রাহকদের মিষ্টির প্যাকেট, বিভিন্ন উপহার ও নতুন বছরের ক্যালেন্ডার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয় ৷ কিন্তু এবছরের ছবিটা একদমই আলাদা ৷ কোনও মতে ছোটো করে পুজো করে কয়েকটি দোকানে হালখাতা সারা হলেও বহু দোকানে পালন করা হয়নি তা ৷ কোরোনার ফলে এভাবে হালখাতা বন্ধ একটা বড় ধাক্কা বলেই জানালেন ব্যবসায়ীরা ৷

লকডাউনের ফলে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে জঙ্গলমহল অধ্যুষিত পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা । এর মধ্যে আজ বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন । ব্যবসায়ীদের কাছে যা নববর্ষের হালখাতা হিসেবে পরিচিত । বছরের প্রথম দিনে ব্যবসায়ীরা এই হালখাতার মাধ্যমে গ্রাহকদের মিষ্টি মুখ করান । এই রীতি বহু বছর ধরে চলে আসছে । কিন্তু কোরোনা সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের ফলে সব কিছুই বাদ পড়ল এবার । এমন কী, জেলার 90 শতাংশ দোকান খোলাও হয়নি । পুজো হয়নি হালখাতার । যে 10 শতাংশ দোকান খোলা হয়েছে তাও নাম মাত্র । বন্ধ দরজার পিছনেই পুরোহিত ডেকে পুজো করা হয়েছে শুধু । কারণ কোরোনা আটকানোর একটাই পথ, বাড়িতে থাকা, ভিড় এড়িয়ে চলা । রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সেই নির্দেশকে মান্যতা দিয়েছে ব্যবসায়ীরা । দোকান খুললে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়বে । তাই দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন ব্যবসায়ীরা ।

পশ্চিম মেদিনীপুরের ও মেদিনীপুর শহরের সবচেয়ে বেশি ব্যবসা চলে বড়বাজার, ছোটোবাজার ও রাজাবাজারে । সেখানকার সমস্ত দোকানপাট লকডাউনে বন্ধ । জামাকাপড়ের দোকান থেকে শুরু করে সোনা দোকান, লকডাউনে বন্ধ রয়েছে সবই । কয়েকটি দোকান নামমাত্র হালখাতা সেরেই বন্ধ করে দিয়েছে । এ বিষয়ে পোশাক বিক্রেতা শ্যামল জানা বলেন, "প্রতি বছর লাখ লাখ টাকার ব্যবসা হয় । আমাদের এই হালখাতার দিনে গ্রাহকদের মিষ্টিমুখ করায় ৷ নতুন বছরের ক্যালেন্ডার সঙ্গে বিভিন্ন উপহারও তুলে দিই ৷ কিন্তু এবছর কোরোনার জন্য সব পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে ।"

ব্যবসায়ী অসিত দাসের বক্তব্য, "প্রতি বছর আমরা এই দিনটার জন্য অপেক্ষা করে থাকি । কারণ সারা বছর গ্রাহকরা যে পরিমাণ কেনাকাটা করে তাদের উপর ভিত্তি করে আমাদের দোকান এবং আমাদের কর্মচারীদের বেতন আমরা দিতে পারি ৷ কিন্তু আজকের এই দিনটিতে বন্ধ মানে ব্যবসার ক্ষেত্রে চরম ক্ষতি ।"

বড়বাজার (মেদিনীপুর), 14 এপ্রিল : প্রতি বছর নববর্ষ মানেই দোকানে দোকানে গ্রাহকদের ভিড় ৷ সাড়ম্বরে গ্রাহকদের মিষ্টির প্যাকেট, বিভিন্ন উপহার ও নতুন বছরের ক্যালেন্ডার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয় ৷ কিন্তু এবছরের ছবিটা একদমই আলাদা ৷ কোনও মতে ছোটো করে পুজো করে কয়েকটি দোকানে হালখাতা সারা হলেও বহু দোকানে পালন করা হয়নি তা ৷ কোরোনার ফলে এভাবে হালখাতা বন্ধ একটা বড় ধাক্কা বলেই জানালেন ব্যবসায়ীরা ৷

লকডাউনের ফলে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে জঙ্গলমহল অধ্যুষিত পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা । এর মধ্যে আজ বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন । ব্যবসায়ীদের কাছে যা নববর্ষের হালখাতা হিসেবে পরিচিত । বছরের প্রথম দিনে ব্যবসায়ীরা এই হালখাতার মাধ্যমে গ্রাহকদের মিষ্টি মুখ করান । এই রীতি বহু বছর ধরে চলে আসছে । কিন্তু কোরোনা সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের ফলে সব কিছুই বাদ পড়ল এবার । এমন কী, জেলার 90 শতাংশ দোকান খোলাও হয়নি । পুজো হয়নি হালখাতার । যে 10 শতাংশ দোকান খোলা হয়েছে তাও নাম মাত্র । বন্ধ দরজার পিছনেই পুরোহিত ডেকে পুজো করা হয়েছে শুধু । কারণ কোরোনা আটকানোর একটাই পথ, বাড়িতে থাকা, ভিড় এড়িয়ে চলা । রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সেই নির্দেশকে মান্যতা দিয়েছে ব্যবসায়ীরা । দোকান খুললে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়বে । তাই দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন ব্যবসায়ীরা ।

পশ্চিম মেদিনীপুরের ও মেদিনীপুর শহরের সবচেয়ে বেশি ব্যবসা চলে বড়বাজার, ছোটোবাজার ও রাজাবাজারে । সেখানকার সমস্ত দোকানপাট লকডাউনে বন্ধ । জামাকাপড়ের দোকান থেকে শুরু করে সোনা দোকান, লকডাউনে বন্ধ রয়েছে সবই । কয়েকটি দোকান নামমাত্র হালখাতা সেরেই বন্ধ করে দিয়েছে । এ বিষয়ে পোশাক বিক্রেতা শ্যামল জানা বলেন, "প্রতি বছর লাখ লাখ টাকার ব্যবসা হয় । আমাদের এই হালখাতার দিনে গ্রাহকদের মিষ্টিমুখ করায় ৷ নতুন বছরের ক্যালেন্ডার সঙ্গে বিভিন্ন উপহারও তুলে দিই ৷ কিন্তু এবছর কোরোনার জন্য সব পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে ।"

ব্যবসায়ী অসিত দাসের বক্তব্য, "প্রতি বছর আমরা এই দিনটার জন্য অপেক্ষা করে থাকি । কারণ সারা বছর গ্রাহকরা যে পরিমাণ কেনাকাটা করে তাদের উপর ভিত্তি করে আমাদের দোকান এবং আমাদের কর্মচারীদের বেতন আমরা দিতে পারি ৷ কিন্তু আজকের এই দিনটিতে বন্ধ মানে ব্যবসার ক্ষেত্রে চরম ক্ষতি ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.