মেদিনীপুর, 29 এপ্রিল: মেয়ে নাবালিকা ৷ তাই মেয়ের প্রেম নেমে নিতে পারেননি মা ৷ কিন্তু প্রেমে বাধা দেওয়া মেনে নিতে পারেনি নাবালিকা কন্যা ৷ তাই নববর্ষে মা-কে বিষ মেশানো কোল্ডড্রিংকস খাইয়ে খুনের অভিযোগ নাবলিকার বিরুদ্ধে ৷ কাজ শেষে প্রেমিককে কাঁটা সরানোর খবর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে দেয় সে ৷ অবশেষে সেই তথ্য ফাঁস হল মোবাইল চ্যাট-এর মাধ্যমে। ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুর কোতোয়ালী থানার অন্তর্গত পাটনা বাজার এলাকায় (Minor Daughter killed Mother)।
প্রেমিকার সঙ্গে পরিকল্পনা করে প্রেমিকার মাকে খুন করার অভিযোগে গ্রেফতার প্রেমিক ও তার বাবা-মা । গ্রেফতার করা হয়েছে নাবালিকা প্রেমিকাকেও ।
আরও পড়ুন: প্রেমের মরশুমে মাধ্যমিক, উচ্চমধ্যমিকই 'কাঁটা' গোলাপ চাষিদের
পুলিশ সূত্রে খবর, গত 15 ই এপ্রিল নববর্ষের দিন মেদিনীপুরের পাটনা বাজারের বাসিন্দা অংশুজিৎ দত্তের নাবালিকা মেয়ে তার মা অনিতা দত্তকে কোল্ড ড্রিঙ্কস খাওয়ানোর পর পরই অনিতাদেবী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অচৈতন্য হয়ে পড়ে। এরপর পরিবার পরিজনেরা অনিতা দত্তকে তড়িঘড়ি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে, চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। অনিতা দেবীর স্বামী-সহ পরিবার পরিজনেরা বুঝে উঠতে পারছিলেন না কীভাবে ঘটনাটি ঘটল । কারণ তখন পর্যন্ত অনিতাদেবীর পরিবারের কেউই টের পাননি নাবালিকা মেয়ে ও তার প্রেমিকের এই পরিকল্পনার বিষয়ে।
কয়েকদিন আগে নাবালিকা মেয়ের মোবাইল চ্যাট দেখে নাবালিকার বাবা-সহ পরিবার পরিজনরা জানতে পারে, তাদের নাবালিকা মেয়ে ও তার প্রেমিক জিৎ আঢ্য প্ররোচনা করে অনিতা দত্তকে কোল্ডড্রিঙ্কসের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে খাইয়ে দেয়। এরপরই অনিতা দত্তের পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয় নাবালিকা মেয়ে ও তার প্রেমিক এবং প্রেমিকের বাবা মায়ের বিরুদ্ধে । অভিযোগের ভিত্তিতে মেদিনীপুর কোতয়ালী পুলিশ 4 অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ৷ শুক্রবার নাবালিকা মেয়েকে জুভেনাইল কোর্টে তোলা হয় ৷ বাকি 3 অভিযুক্তকে মেদিনীপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক 1 জনকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজত ও বাকিদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
মেদিনীপুর পুলিশ সুপার দিনেশ কুমার বলেন,'' এই ঘটনাটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। তবে আমরা ওদের পুলিশের হেফাজতে নিয়ে পুরো বিষয়টা তদন্ত শুরু করেছি।যদিও এই বিষ কীভাবে এল সে বিষয়ে খোলাসা করেননি পুলিশ সুপার দিনেশ কুমার।''