ঘাটাল, 14 নভেম্বর : ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকানে অমিল ওষুধ ৷ সরকারি চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন হাতে নিয়ে দোকানে গেলে ওষুধের বদলে মিলছে স্ট্যাম্প লাগানো স্লিপ ৷ সেই স্লিপ হাতে নিয়েই বাইরের দোকান থেকে চড়া দামে ওষুধ কিনতে বাধ্য হচ্ছেন রোগীর আত্মীয়রা ৷ যাঁদের সেই ক্ষমতা হচ্ছে না, তাঁদের ওষুধ না খেয়েই থাকতে হচ্ছে ৷ এই ছবি ধরা পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ৷
আরও পড়ুন : Allegation Against Doctor : সিজার করানোর জন্য চাপ চিকিৎসকের, না মানায় গর্ভবতীকে চড় মারার অভিযোগ
আমজনতাকে, বিশেষ করে নিম্নবিত্তদের স্বস্তি দিতেই সরকারি হাসপাতালে ন্যায্যমূল্যে ওষুধের দোকান চালু করেছে রাজ্য প্রশাসন ৷ ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালেও এমন দোকান রয়েছে ৷ কিন্তু, তাতে কোনও লাভ হচ্ছে না প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকা থেকে আসা রোগীদের ৷ তাঁদের অভিযোগ, হাসপাতালের ওই দোকানে বেশিরভাগ ওষুধই মিলছে না ৷ এমনকী, দোকানে ওষুধ কিনতে গেলে ভাল করে কথাও বলছেন না কর্তব্যরত ফার্মাসিস্টরা ৷ শুধু বুঝিয়ে দিচ্ছেন, ওষুধ নেই ৷ তাই দেওয়া যাবে না ৷ যা লাগবে তার বেশিরভাগটাই কিনে নিতে হবে বাইরের দোকান থেকে ৷
ঘটনায় ক্ষুব্ধ রোগীর আত্মীয়রা ৷ তাঁদের বক্তব্য, যে হাসপাতালে ওষুধ পর্যন্ত পাওয়া যায় না, সে আবার কেমন সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ! তাছাড়া, যাঁরা এই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসেন, তাঁদের অধিকাংশই নিম্নবিত্ত ৷ তাঁদের পক্ষে হাজার হাজার টাকার ওষুধ কেনা কার্যত অসম্ভব ৷ রোগী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের এই সমস্যা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষেরও অজানা নয় ৷ কিন্তু তারা এই বিষয়ে রা কাড়তে নারাজ ৷
আরও পড়ুন : Uluberia Hospital: রোগীকে ভুল ইনজেকশন দেওয়ার হুমকির অভিযোগ নার্সের বিরুদ্ধে
ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে চাননি হাসপাতালের সুপার সম্রাট রায়চৌধুরীও ৷ তবে ওষুধ যে অমিল, তা মেনে নিয়েছেন তিনি ৷ সুপারের বক্তব্য, যে ঠিকাদার সংস্থাকে হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহের বরাত দেওয়া হয়েছে, নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও তারা ওষুধ দেয়নি ৷ তাহলে কেন সেই ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না ? কেনই ঠিকাদার বদল করা হচ্ছে না ? এইসব প্রশ্নের কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি ৷