ETV Bharat / state

লকডাউনে মাস্ক পরে বিয়ে, অনুষ্ঠানের টাকা গেল দুস্থদের সাহায্য়ে

author img

By

Published : Apr 17, 2020, 2:38 PM IST

মাস্ক পরে, সামাজিক দূরত্ব মেনে বিয়ে করলেন সৌরভ, সাথী । অনুষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ 31 হাজার টাকা তুলে দিল স্থানীয় ক্লাবে ।

মাস্ক পরে বিয়ে
মাস্ক পরে বিয়ে

খড়্গপুর,17 এপ্রিল : কথা ছিল বিয়ে হবে । লোকজন আসবে । সাজবে দু'জন মন ভরে । ছবির ক্লিকে স্মরণীয় হয়ে থাকবে সময় । সকলকে নিমন্ত্রণ করে নতুন জীবনের জন্য চাওয়া হবে আশীর্বাদ । কিন্তু বিয়ে যে মাস্ক পরে হবে এবং এভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে তা জানতেন না সৌরভ ও সাথী । ফোনের বাক্যালাপে এমন স্বপ্নের ভিত তাঁরা বোনেননি । এমন বিয়ে বাড়িও চাননি । কোরোনা বদলে দিল সবটা । সৌরভ-সাথীর বিয়ে হল মাস্ক পরে । বরের বাড়ি কনেই এলেন বিয়ে করতে ৷ অনুষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ টাকা দান করা হল দুস্থদের সাহায্যে ।

খড়্গপুরের বাসিন্দা সৌরভ কর্মকার । এলাকায় খাবার দোকান রয়েছে তার । অন্যদিকে ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা সাথী পাত্র । কথা ছিল দু'জনের বিয়ে হবে 13 মার্চ । কিন্তু সেই সময় সৌরভের বৌদি ও মা অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় বিয়ে পিছিয়ে যায় । বিয়ের দিন ঠিক হয় তার কিছুটা পরে । হঠাৎ লকডাউন ঘোষণার পর বন্ধ হয়ে যায় বিয়ে । ফের বৈশাখ মাসে শুরু হয় দিন খোঁজা । কিন্তু লকডাউনের সময়সীমা বাড়লে ফের বন্ধ হয় বিয়ে । এরপর তারা দু' জনে বিনা অনুষ্ঠানেই বিয়ে করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ।

সেই মতো খড়গপুরের তালবাগিচায় আসেন সাথী । 14 দিন কোয়ারান্টাইনে থাকতে হবে বলে তাঁর সঙ্গে পরিবারের কেউ ছিলেন না । বিয়ে করতে একাই আসেন । এরপর ছেলের বাড়ির মাত্র দু'জন পুরোহিত ও মেয়ের কন্যা সম্প্রদানের জন্য স্থানীয় কাউন্সিলর উপস্থিত হন । এই ক'জনের সামনেই বিয়ে হয় সৌরভ-সাথীর । কন্যা সম্প্রদান করেন খড়গপুর 35 নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহর পাল ।

জমানো 31 হাজার টাকা এলাকার দুস্থদের সাহায্যার্থে স্থানীয় ক্লাবের হাতে তুলে দেন সৌরভ-সাথী । এবিষয়ে অসিত দাস নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, এই দীর্ঘ লকডাউনের জেরে বন্ধ হয়ে যাওয়া বিয়ে অনুষ্ঠিত হল । সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছে । মাস্ক পরেই মন্ত্রোচ্চারণ করেছেন ওঁরা ।

স্থানীয় কাউন্সিলর জহর পাল জানান, এই অসময়ের মধ্যে চারহাত একসঙ্গে করে দেওয়ায় আমরা যথেষ্ট খুশি । মেয়ের বাড়ির লোক না থাকায় আমি পাত্রীপক্ষের কর্তা হিসেবে পাত্রী সম্প্রদান করেছি । ওরা সুখী হোক এটাই কামনা করি ।

খড়্গপুর,17 এপ্রিল : কথা ছিল বিয়ে হবে । লোকজন আসবে । সাজবে দু'জন মন ভরে । ছবির ক্লিকে স্মরণীয় হয়ে থাকবে সময় । সকলকে নিমন্ত্রণ করে নতুন জীবনের জন্য চাওয়া হবে আশীর্বাদ । কিন্তু বিয়ে যে মাস্ক পরে হবে এবং এভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে তা জানতেন না সৌরভ ও সাথী । ফোনের বাক্যালাপে এমন স্বপ্নের ভিত তাঁরা বোনেননি । এমন বিয়ে বাড়িও চাননি । কোরোনা বদলে দিল সবটা । সৌরভ-সাথীর বিয়ে হল মাস্ক পরে । বরের বাড়ি কনেই এলেন বিয়ে করতে ৷ অনুষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ টাকা দান করা হল দুস্থদের সাহায্যে ।

খড়্গপুরের বাসিন্দা সৌরভ কর্মকার । এলাকায় খাবার দোকান রয়েছে তার । অন্যদিকে ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা সাথী পাত্র । কথা ছিল দু'জনের বিয়ে হবে 13 মার্চ । কিন্তু সেই সময় সৌরভের বৌদি ও মা অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় বিয়ে পিছিয়ে যায় । বিয়ের দিন ঠিক হয় তার কিছুটা পরে । হঠাৎ লকডাউন ঘোষণার পর বন্ধ হয়ে যায় বিয়ে । ফের বৈশাখ মাসে শুরু হয় দিন খোঁজা । কিন্তু লকডাউনের সময়সীমা বাড়লে ফের বন্ধ হয় বিয়ে । এরপর তারা দু' জনে বিনা অনুষ্ঠানেই বিয়ে করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ।

সেই মতো খড়গপুরের তালবাগিচায় আসেন সাথী । 14 দিন কোয়ারান্টাইনে থাকতে হবে বলে তাঁর সঙ্গে পরিবারের কেউ ছিলেন না । বিয়ে করতে একাই আসেন । এরপর ছেলের বাড়ির মাত্র দু'জন পুরোহিত ও মেয়ের কন্যা সম্প্রদানের জন্য স্থানীয় কাউন্সিলর উপস্থিত হন । এই ক'জনের সামনেই বিয়ে হয় সৌরভ-সাথীর । কন্যা সম্প্রদান করেন খড়গপুর 35 নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহর পাল ।

জমানো 31 হাজার টাকা এলাকার দুস্থদের সাহায্যার্থে স্থানীয় ক্লাবের হাতে তুলে দেন সৌরভ-সাথী । এবিষয়ে অসিত দাস নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, এই দীর্ঘ লকডাউনের জেরে বন্ধ হয়ে যাওয়া বিয়ে অনুষ্ঠিত হল । সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছে । মাস্ক পরেই মন্ত্রোচ্চারণ করেছেন ওঁরা ।

স্থানীয় কাউন্সিলর জহর পাল জানান, এই অসময়ের মধ্যে চারহাত একসঙ্গে করে দেওয়ায় আমরা যথেষ্ট খুশি । মেয়ের বাড়ির লোক না থাকায় আমি পাত্রীপক্ষের কর্তা হিসেবে পাত্রী সম্প্রদান করেছি । ওরা সুখী হোক এটাই কামনা করি ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.