দাসপুর, 10 নভেম্বর: কয়েক মাস আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিধবা মহিলার বেহাল বাড়ির ছবি দেখে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিলেন ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে অভিনেতা দেব। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরের সোনামুই এলাকার শিখা চক্রবর্তী ৷ এলাকার মানুষের কাছে তিনি পান্তি পিসি হিসেবে পরিচিত। তাঁর বাড়ির দুরবস্থার খবর পাওয়ার পর দেবের নির্দেশে তাঁর প্রতিনিধি রামপদ মান্না ছুটে যান দাসপুরের শিখা চক্রবর্তীর ভাঙা বাড়িতে। সরেজমিনে খতিয়ে দেখে ওই মহিলাকে তিনি জানান সাংসদ তাঁর বাড়ি তৈরির সমস্ত ব্যয় ভার বহন করবেন বলে জানিয়েছেন।
এরপরই সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলা হয় ওই মহিলার বাড়িটি। তারপরেই শুরু হয় নতুন বাড়ি তৈরির কাজও ৷ কিন্তু বেশ কয়েক মাস আগে অর্থের অভাবে মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায় বাড়ি তৈরীর কাজ। ইতিমধ্যে ঠান্ডা জাঁকিয়ে পড়তে শুরু করেছে তাই শীতের দিনে গৃহহীন হয়ে একাকী বিধবা মহিলাকে দিন কাটাতে হচ্ছে স্কুল বাড়িতে। এলাকার পাড়া-প্রতিবেশীরাও চাইছেন যাতে দ্রুত ওই মহিলার বাড়ি তৈরীর কাজ শুরু হয়। তবে শত কষ্টের মাঝেও আশা ছাড়ছেন না পান্তি পিসি । তাঁর আশা, ঘাটালের সাংসদ দেবের কাছে খবরটি পৌঁছালে তিনি দ্রুত তার বাড়ি তৈরির ব্যবস্থা করে দেবেন।
আরও পড়ুন : সংঘাতের ইতিহাস দীর্ঘ, রাজ্যপাল পদ কি সত্যিই বিলোপ করা উচিত ?
যদিও দেবের প্রতিনিধি রামপদ মান্না জানিয়েছেন, কিছু সমস্যা হয়েছিল, তবে তা মিটিয়ে খুব দ্রুতই ওই মহিলার বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। তাই এখন ফের একবার দেবের মুখ চেয়ে রয়েছেন দাসপুরে হতদরিদ্র এই পান্তি পিসি ওরফে শিখা চক্রবর্তী। তিনি বলেন," দীর্ঘ জল-ঝড়ে আমার বাড়ি ভেঙে গিয়েছিল ৷ সেই খবর পৌঁছে গিয়েছিল সাংসদ তথা অভিনেতা দেবের কাছে এবং সে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল পাকাপোক্ত কংক্রিট ঢালাই এর বাড়ি তৈরি করে দেবে ৷ সেইমতো আমার ত্রিপলের দেওয়া ছাউনি খুলে ফেলতে বললে আমি তা খুলে ফেলি। তাঁরা আমাকে কিছু টাকা দিয়ে চলে যায় এরপর আমি বাকি টাকা না পেয়ে আবার ত্রিপলের ছাউনিতে থাকতে শুরু করলে পুনরায় তাঁরা এসে আমাকে ছাউনি ভাঙতে বলে এবং 50 হাজার টাকা দিয়ে যায় । তারপর থেকে আবার দেখা নেই, অর্ধেক হয়ে পড়ে আছে বাড়ি ৷ না থাকতে পারছি না ছাড়তে পারছি। এখন এই ঠান্ডায় আমি যাব কোথায়? তাই সাংসদের কাছে আবেদন হয় আমার ঘর করে দিন, নয় আমার পুরনো অবস্থায় ফিরিয়ে দিন।"
16 তারিখ থেকে স্কুল খুলে গেলে তিনি কোথায় থাকবেন তাও ভাবাচ্ছে পান্তি পিসিকে ৷ যদিও দেবের প্রতিনিধি রামপদ মান্না জানিয়েছেন, বাড়ির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। তবে মাঝখানে পুজো থাকায় কাজ সেভাবে করে তোলা হয়নি। তারপর বালির সমস্যা রয়েছে। যেহেতু বন্যার জলে প্লাবিত ঘাটাল সহ জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকা, তাই বালি উঠতে শুরু করলে 15 দিনের মধ্যেই শেষ করে দেওয়া হবে পান্তি পিসির বাড়ির কাজ।