শালবনি, 15 জুন: এবার পঞ্চায়েত ভোটের লড়াইয়ে নামতে চলেছে কুড়মিরা। তবে একমাত্র শাসকদলকে বর্জন করেই তারা এই ভোটের লড়াই করবে। বুধবার 35 জন পঞ্চায়েত সদস্য, 3 জন পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের 2 জনের মনোনয়ন দাখিল করেই এই বক্তব্য তুলে ধরেন এই শালবনি নেতা সুমন মাহাতো। মনোনয়নের শেষদিকে এদিন তারা শালবনিতে এই মনোনয়ন করেন। আর তা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা।যদিও বিষয়টিকে পাত্তা দিতে নারাজ শাসকদল।
প্রসঙ্গক্রমে বলা যায়, জঙ্গলমহল অধ্যুষিত পশ্চিম মেদিনীপুরের 15টি বিধানসভার মধ্যে যেগুলি আদিবাসী এবং অনগ্রসর সম্প্রদায় ও প্রাচীন সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত মানুষজনের মধ্যে এক অন্যতম হল কুড়মি সমাজ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলা ও মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় খোদ অভিষেক এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কুড়মিরা এই ঘটনায় জড়িত নয় বলেই ক্লিনচিট দেয়। তবু এই মামলায় নাম জড়িয়েছে কুড়মিদের। আর তাতেই জঙ্গলমহলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে কুড়মি সমাজ। তারা ঠিক করে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তারা ভোটে লড়বে।
কথামতো গতকাল তাদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার কথা ছিল ৷ কিন্তু হঠাৎই সোমবার রাতে পুরুলিয়ার এক কুড়মি নেতা অজিত মাহাতো ঘোষণা করেন রাজনৈতিকভাবে কোনওভাবেই তাঁরা অংশগ্রহণ করবে না ৷ তাদের আন্দোলন চলবে সামাজিকভাবে। সেই নির্দেশের প্রেক্ষিতে ফাঁপরে পড়ে কুড়মিরা। ফলে তারা মনোনয়ন জমা করবে করবে কিনা, তা নিয়েই চলছিল চাপানউতোর। যদিও সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে গতকাল বুধবার, শালবনিতে মনোনয়ন জমা দেন কুড়মি নেতা সুমন মাহাতোর হাত ধরে পঞ্চায়েতের 35 সদস্য ৷ জেলা পরিষদের 2 জন এবং পঞ্চায়েত সমিতির 3 জন সদস্য। যদিও তাদের প্রতীক এখনও ঘোষণা হয়নি ৷
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে 'নিজেদের গড়ে' প্রার্থীই পাচ্ছে না সিপিএম
আর তাতেই জঙ্গলমহলে ছড়িয়েছে নতুন করে জল্পনা। কারণ এই কুড়মিরা একটাই ডাক দিয়েছে 'নো ভোট টু টিএমসি'। তাই তাদের ভোট কোন রাজনৈতিক বাক্সে পড়বে সেটা এখন প্রশ্নের। যদিও এই নিয়ে সুমন মাহাতো বলেন, "তৃণমূল নেতৃত্ব তো বারবারই বলেছে যে তাদের ভোটের জয়ের ক্ষেত্রে কুড়মিদের কোনও অবদান নেই তাই এই সিদ্ধান্ত ৷" এ বিষয়ে তৃণমূল ব্লক সভাপতি নেপাল সিং বলেন, "কুড়মিরা ভোটে লড়ছে এরকম কোনও কথা আমার জানা নেই।"