ETV Bharat / state

সাত বছরেও হয়নি চালু, বেহাল দশা মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্পের

Karmatirtha in Chandrakona: সাত বছরেও চালু করা সম্ভব হয়নি ৷ কয়েক লক্ষ টাকা দিয়ে গড়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের কর্মতীর্থের বেহাল অবস্থা ৷ রাতে সেখানে বসছে মদের আসর ৷ চলছে বিভিন্ন অসামাজিক কাজকর্ম ৷ প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিরোধীরা ৷

Karmatirtha
কর্মতীর্থ
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 1, 2024, 9:43 PM IST

বেহাল দশা মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের কর্মতীর্থের

চন্দ্রকোনা, 1 জানুয়ারি: 60 লক্ষ টাকা ব্যয়ে চন্দ্রকোনা ব্লক 2-তে গড়ে উঠেছিল কর্মতীর্থ ৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প এটি ৷ তবে তৈরির পর সাত বছর পেরোলেও সেই কর্মতীর্থ চালুই হয়নি এখনও ৷ দোতলা ভবনের বর্তমানে বেহাল দশা ৷ আগাছা থেকে ঝোপঝাড়ে ঢেকেছে চারিদিক। শুধু তাই নয়, কর্মতীর্থের ভিতর বর্তমানে পায়রাদের আশ্রয়স্থল ৷ একাধিক ঘরের সাটার দরজা ভাঙা, ভেঙে ফেলা হয়েছে বিদ্যুতের বাল্ব থেকে বিদ্যুৎ সংযোগের সামগ্রীও। কর্মতীর্থের চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে মদের বোতল ৷ রাতের অন্ধকারে বসছে নেশার আসর ৷ চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ। বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বনির্ভর করে তোলায় জন্য তৈরি এই কর্মতীর্থ বর্তমানে কেবল ধান ক্রয় কেন্দ্র হয়েই থেকে গিয়েছে ৷

এই পরিস্থিতি নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা ৷ তাদের অভিযোগ, কর্মতীর্থ গড়া মানে সরকারি টাকার অপব্যবহার ছাড়া কিছুই না ৷ কর্মসংস্থানের নামে মানুষকে ভাঁওতা দেওয়া হচ্ছে । যদিও বিরোধীদের তোলা এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে শাসকদল ৷ কর্মতীর্থ দ্রুত চালু করার আশ্বাস দিয়েছে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতি। এ বিষয়ে চন্দ্রকোনা-2 পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অলোক ঘোষ বলেন, "আমি সভাপতি হওয়ার পর বিষয়টি আমার নজরে এসেছে ৷ আগামিদিনে যাতে ওই প্রকল্পটি সফল করা যায় তার জন্য আমি বিডিও-সহ অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছি। বর্তমানে ওখানে কৃষকদের থেকে সরকারের ধান কেনা হয় ৷ তবে ওখানে ক্ষুদ্র শিল্পের একটা প্রোডাক্ট ইউনিট যাতে করা যায় তার আলোচনা চলছে।"

জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জয়ন্তীপুর এলাকায় চন্দ্রকোনা-2 ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে লক্ষাধিক টাকা ব্যায়ে গড়ে তোলা হয়েছিল ওই কর্মতীর্থ । 2016 সালে এই কর্মতীর্থের কাজ সম্পূর্ণ হলেও এই সাতবছরে তা চালুই হয়নি । বিগত দুই থেকে তিন বছর ধরে এই কর্মতীর্থ কৃষকদের থেকে সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করা হয় । দিনের বেলা দু'জন কর্মী একটি ঘরে কৃষকদের থেকে ধান কেনার কাজ করেন ৷ তবে কর্মতীর্থের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য সেখানে স্থায়ীভাবে কেউ থাকেন না । এমনটাই জানিয়েছেন ধান ক্রয় কেন্দ্রের ডিসবার্সমেন্ট অফিসার মহম্মদ তাহিরউদ্দিন ।

অন্যদিকে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি প্রসূন ঘোষ বলেন, "বিরোধীদের তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন ৷ তারা কারণে-অকারণে অভিযোগ করে থাকে । মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প কর্মতীর্থ ৷ সেখানে এখন সরকারিভাবে কৃষকদের সুবিধার্থে ধান কেনা চলছে। তবে কর্মতীর্থের বর্তমান অবস্থা নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব ৷"

আরও পড়ুন:

  1. এক বছর পরও চালু হয়নি বারাসতের কর্মতীর্থ, উদাসীনতার অভিযোগ অস্বীকার প্রশাসনের
  2. উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, কেশিয়াড়ির 'কর্মতীর্থ' এখন ভূতুড়ে বাড়ি
  3. কর্মতীর্থ প্রকল্পে স্বজনপোষণের অভিযোগ, উত্তপ্ত চাকলা

বেহাল দশা মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের কর্মতীর্থের

চন্দ্রকোনা, 1 জানুয়ারি: 60 লক্ষ টাকা ব্যয়ে চন্দ্রকোনা ব্লক 2-তে গড়ে উঠেছিল কর্মতীর্থ ৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প এটি ৷ তবে তৈরির পর সাত বছর পেরোলেও সেই কর্মতীর্থ চালুই হয়নি এখনও ৷ দোতলা ভবনের বর্তমানে বেহাল দশা ৷ আগাছা থেকে ঝোপঝাড়ে ঢেকেছে চারিদিক। শুধু তাই নয়, কর্মতীর্থের ভিতর বর্তমানে পায়রাদের আশ্রয়স্থল ৷ একাধিক ঘরের সাটার দরজা ভাঙা, ভেঙে ফেলা হয়েছে বিদ্যুতের বাল্ব থেকে বিদ্যুৎ সংযোগের সামগ্রীও। কর্মতীর্থের চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে মদের বোতল ৷ রাতের অন্ধকারে বসছে নেশার আসর ৷ চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ। বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বনির্ভর করে তোলায় জন্য তৈরি এই কর্মতীর্থ বর্তমানে কেবল ধান ক্রয় কেন্দ্র হয়েই থেকে গিয়েছে ৷

এই পরিস্থিতি নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা ৷ তাদের অভিযোগ, কর্মতীর্থ গড়া মানে সরকারি টাকার অপব্যবহার ছাড়া কিছুই না ৷ কর্মসংস্থানের নামে মানুষকে ভাঁওতা দেওয়া হচ্ছে । যদিও বিরোধীদের তোলা এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে শাসকদল ৷ কর্মতীর্থ দ্রুত চালু করার আশ্বাস দিয়েছে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতি। এ বিষয়ে চন্দ্রকোনা-2 পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অলোক ঘোষ বলেন, "আমি সভাপতি হওয়ার পর বিষয়টি আমার নজরে এসেছে ৷ আগামিদিনে যাতে ওই প্রকল্পটি সফল করা যায় তার জন্য আমি বিডিও-সহ অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছি। বর্তমানে ওখানে কৃষকদের থেকে সরকারের ধান কেনা হয় ৷ তবে ওখানে ক্ষুদ্র শিল্পের একটা প্রোডাক্ট ইউনিট যাতে করা যায় তার আলোচনা চলছে।"

জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জয়ন্তীপুর এলাকায় চন্দ্রকোনা-2 ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে লক্ষাধিক টাকা ব্যায়ে গড়ে তোলা হয়েছিল ওই কর্মতীর্থ । 2016 সালে এই কর্মতীর্থের কাজ সম্পূর্ণ হলেও এই সাতবছরে তা চালুই হয়নি । বিগত দুই থেকে তিন বছর ধরে এই কর্মতীর্থ কৃষকদের থেকে সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করা হয় । দিনের বেলা দু'জন কর্মী একটি ঘরে কৃষকদের থেকে ধান কেনার কাজ করেন ৷ তবে কর্মতীর্থের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য সেখানে স্থায়ীভাবে কেউ থাকেন না । এমনটাই জানিয়েছেন ধান ক্রয় কেন্দ্রের ডিসবার্সমেন্ট অফিসার মহম্মদ তাহিরউদ্দিন ।

অন্যদিকে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি প্রসূন ঘোষ বলেন, "বিরোধীদের তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন ৷ তারা কারণে-অকারণে অভিযোগ করে থাকে । মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প কর্মতীর্থ ৷ সেখানে এখন সরকারিভাবে কৃষকদের সুবিধার্থে ধান কেনা চলছে। তবে কর্মতীর্থের বর্তমান অবস্থা নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব ৷"

আরও পড়ুন:

  1. এক বছর পরও চালু হয়নি বারাসতের কর্মতীর্থ, উদাসীনতার অভিযোগ অস্বীকার প্রশাসনের
  2. উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, কেশিয়াড়ির 'কর্মতীর্থ' এখন ভূতুড়ে বাড়ি
  3. কর্মতীর্থ প্রকল্পে স্বজনপোষণের অভিযোগ, উত্তপ্ত চাকলা
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.