ETV Bharat / state

মেদিনীপুরে রাম মন্দির উদ্বোধনে জুন, বারাণসীর পুরোহিত এনে সন্ধ্যা আরতি গান্ধিঘাটে - June Malia

Ram temple in Midnapore: মেদিনীপুরের রাম মন্দির উদ্বোধনের পর গান্ধিঘাটে সন্ধ্যা আরতি দেখে আপ্লুত স্থানীয় মানুষজন ৷ উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক জুন মালিয়া ৷ বারাণসীর পুরোহিত এনে সন্ধ্যা আরতি করা হয় গান্ধিঘাটে ৷

ETV BHARAT
ETV BHARAT
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 16, 2024, 7:33 PM IST

বারাণসীর পুরোহিত এনে সন্ধ্যা আরতি মেদিনীপুরের গান্ধিঘাটে

মেদিনীপুর, 16 জানুয়ারি: দেখে মনে হবে যেন বারাণসীতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ৷ সেখানকারই আদলে সন্ধ্যা আরতি শুরু হল মেদিনীপুর শহরের গান্ধিঘাটে । এই অপরূপ দৃশ্য দেখতে ভিড় জমান মেদিনীপুর শহর ও জেলার বহু মানুষ । উল্লেখ্য, সোমবার সকালে ধূমধাম করে রাম মন্দিরের উদ্বোধন করেন মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিয়া । সেই মন্দিরের অনুষ্ঠানের আরেক পর্ব ছিল সন্ধ্যা আরতি । গান্ধিঘাটে সার বেঁধে সন্ধ্যা আরতি সারলেন বারাণসীর পুরোহিতরা ।

পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রামের মতোই জঙ্গলমহল অধ্যুষিত মেদিনীপুর মানেই শাল পিয়ালের বাগান ও নানা ঐতিহাসিক স্থান । এ বার সেখানকার আরও এক আকর্ষণ হয়ে উঠল রাম মন্দির ৷ তবে শুধু এটাই নয়, বারাণসীর আদলে গঙ্গা আরতিও শুরু হল এখানে । সোমবার সন্ধে থেকে রাত - এক অন্য রকম আবহের সাক্ষী থাকলেন স্থানীয় মানুষ ৷

প্রসঙ্গত, মেদিনীপুর পৌরসভার উদ্যোগে এবং মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় মেদিনীপুর শহরের শেষ প্রান্ত গান্ধিঘাট এলাকায় একটি রাম মন্দির গড়ে তোলা হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে । সেই রাম-সীতা মন্দিরের উদ্বোধনের সঙ্গে আয়োজন করা হয়েছিল সন্ধ্যা আরতির ৷ যার নাম দেওয়া হয়েছে গঙ্গা আরতি । আর এই গঙ্গা আরতির প্রাক্কালে শহরজুড়ে প্রচার যেমন হয়েছে, তেমনই সবাইকে পাঠানো হয়েছে মেসেজ ।

নির্ঘণ্ট অনুযায়ী দিনের বেলা থেকে শুরু হয় পুজো পার্বণ ৷ মন্দিরের উদ্বোধন করেন মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিয়া । সারাদিন পুজো চলার পর সন্ধ্যায় শুরু হয় গঙ্গা আরতি । ঠিক যেমন বারাণসীতে সন্ধেয় সার বেঁধে গঙ্গা আরতি হয়, ঠিক সেই আদলেই মেদিনীপুরে পালিত হল গঙ্গা আরতির অনুষ্ঠান । আর সে জন্য বারাণসী থেকে নিয়ে আসা হয় 10 জন বিশেষ পুরোহিতকে । রীতিমতো ঢাক ঢোল বাদ্যি সহকারে গঙ্গা আরতি চলে সন্ধ্যা ও রাত জুড়ে ।

এরই সঙ্গে এই অনুষ্ঠানকে আরও জমকালো করতে আতশবাজির প্রদর্শনী এবং নৌকাবিহারের ব্যবস্থা করে মেদিনীপুর পৌরসভা । আর তা দেখতে ভিড় জমান জেলার অসংখ্য মানুষজন । দেখা যায় সেলফি তোলার হিড়িক ৷ এই আরতির সূচনা করে মেদিনীপুরবাসীকে ধন্যবাদ জানান জুন মালিয়া ।

তিনি বলেন, "মূলত মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় মেদিনীপুর শহরকে সাজানোর উদ্দেশ্যেই এই উদ্যোগ । এ বিষয়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে মেদিনীপুর পৌরসভা । আমরা চাই মেদিনীপুরের সৌন্দর্য্য যেমন বৃদ্ধি করব, সেই সঙ্গে সুস্থ স্বাভাবিক এবং আরও সুন্দর করে কীভাবে সবকিছু গড়ে তোলা যায় তার চেষ্টা করব । আমরা মেদিনীপুরের মানুষের পাশে রয়েছি ৷"

উল্লেখ্য, গান্ধিঘাটে পর্যটকদের জন্য বিশেষ নৌকা বিহারেরও ব্যবস্থা করতে চলেছে মেদিনীপুর পৌরসভা । কাশ্মীরের হাউজবোটের আদলে নৌকা তৈরি করে সেখানে ডিজে সাউন্ড সিস্টেম রাখা হবে ৷ তার জন্য কয়েক লক্ষ টাকা বাজেট ধরা হয়েছে ৷ যাতে পৌরসভার আয় বৃদ্ধি হয় । আর এই সবকিছুই হচ্ছে মূলত অম্রুত প্রকল্পের সৌজন্যে । যে প্রকল্প হয়ে গেলে আগামী দিনে মেদিনীপুরবাসীর আর জলের সমস্যা থাকবে না ।

আরও পড়ুন:

  1. বছর ঘোরার আগেই জনপ্রিয়তা তুঙ্গে, বদলাতে চলেছে কলকাতার গঙ্গা আরতির স্থান
  2. গঙ্গার টানে নদী বক্ষে আরতি দেখবেন মার্কিন বরযাত্রীরা, বিশেষ ব্যবস্থা কলকাতা পৌরনিগমের
  3. বারাণসীর ধাঁচে বাবুঘাটে গঙ্গারতি, ক্যামেরাবন্দি বেশ কিছু মুহূর্ত

বারাণসীর পুরোহিত এনে সন্ধ্যা আরতি মেদিনীপুরের গান্ধিঘাটে

মেদিনীপুর, 16 জানুয়ারি: দেখে মনে হবে যেন বারাণসীতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ৷ সেখানকারই আদলে সন্ধ্যা আরতি শুরু হল মেদিনীপুর শহরের গান্ধিঘাটে । এই অপরূপ দৃশ্য দেখতে ভিড় জমান মেদিনীপুর শহর ও জেলার বহু মানুষ । উল্লেখ্য, সোমবার সকালে ধূমধাম করে রাম মন্দিরের উদ্বোধন করেন মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিয়া । সেই মন্দিরের অনুষ্ঠানের আরেক পর্ব ছিল সন্ধ্যা আরতি । গান্ধিঘাটে সার বেঁধে সন্ধ্যা আরতি সারলেন বারাণসীর পুরোহিতরা ।

পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রামের মতোই জঙ্গলমহল অধ্যুষিত মেদিনীপুর মানেই শাল পিয়ালের বাগান ও নানা ঐতিহাসিক স্থান । এ বার সেখানকার আরও এক আকর্ষণ হয়ে উঠল রাম মন্দির ৷ তবে শুধু এটাই নয়, বারাণসীর আদলে গঙ্গা আরতিও শুরু হল এখানে । সোমবার সন্ধে থেকে রাত - এক অন্য রকম আবহের সাক্ষী থাকলেন স্থানীয় মানুষ ৷

প্রসঙ্গত, মেদিনীপুর পৌরসভার উদ্যোগে এবং মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় মেদিনীপুর শহরের শেষ প্রান্ত গান্ধিঘাট এলাকায় একটি রাম মন্দির গড়ে তোলা হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে । সেই রাম-সীতা মন্দিরের উদ্বোধনের সঙ্গে আয়োজন করা হয়েছিল সন্ধ্যা আরতির ৷ যার নাম দেওয়া হয়েছে গঙ্গা আরতি । আর এই গঙ্গা আরতির প্রাক্কালে শহরজুড়ে প্রচার যেমন হয়েছে, তেমনই সবাইকে পাঠানো হয়েছে মেসেজ ।

নির্ঘণ্ট অনুযায়ী দিনের বেলা থেকে শুরু হয় পুজো পার্বণ ৷ মন্দিরের উদ্বোধন করেন মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিয়া । সারাদিন পুজো চলার পর সন্ধ্যায় শুরু হয় গঙ্গা আরতি । ঠিক যেমন বারাণসীতে সন্ধেয় সার বেঁধে গঙ্গা আরতি হয়, ঠিক সেই আদলেই মেদিনীপুরে পালিত হল গঙ্গা আরতির অনুষ্ঠান । আর সে জন্য বারাণসী থেকে নিয়ে আসা হয় 10 জন বিশেষ পুরোহিতকে । রীতিমতো ঢাক ঢোল বাদ্যি সহকারে গঙ্গা আরতি চলে সন্ধ্যা ও রাত জুড়ে ।

এরই সঙ্গে এই অনুষ্ঠানকে আরও জমকালো করতে আতশবাজির প্রদর্শনী এবং নৌকাবিহারের ব্যবস্থা করে মেদিনীপুর পৌরসভা । আর তা দেখতে ভিড় জমান জেলার অসংখ্য মানুষজন । দেখা যায় সেলফি তোলার হিড়িক ৷ এই আরতির সূচনা করে মেদিনীপুরবাসীকে ধন্যবাদ জানান জুন মালিয়া ।

তিনি বলেন, "মূলত মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় মেদিনীপুর শহরকে সাজানোর উদ্দেশ্যেই এই উদ্যোগ । এ বিষয়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে মেদিনীপুর পৌরসভা । আমরা চাই মেদিনীপুরের সৌন্দর্য্য যেমন বৃদ্ধি করব, সেই সঙ্গে সুস্থ স্বাভাবিক এবং আরও সুন্দর করে কীভাবে সবকিছু গড়ে তোলা যায় তার চেষ্টা করব । আমরা মেদিনীপুরের মানুষের পাশে রয়েছি ৷"

উল্লেখ্য, গান্ধিঘাটে পর্যটকদের জন্য বিশেষ নৌকা বিহারেরও ব্যবস্থা করতে চলেছে মেদিনীপুর পৌরসভা । কাশ্মীরের হাউজবোটের আদলে নৌকা তৈরি করে সেখানে ডিজে সাউন্ড সিস্টেম রাখা হবে ৷ তার জন্য কয়েক লক্ষ টাকা বাজেট ধরা হয়েছে ৷ যাতে পৌরসভার আয় বৃদ্ধি হয় । আর এই সবকিছুই হচ্ছে মূলত অম্রুত প্রকল্পের সৌজন্যে । যে প্রকল্প হয়ে গেলে আগামী দিনে মেদিনীপুরবাসীর আর জলের সমস্যা থাকবে না ।

আরও পড়ুন:

  1. বছর ঘোরার আগেই জনপ্রিয়তা তুঙ্গে, বদলাতে চলেছে কলকাতার গঙ্গা আরতির স্থান
  2. গঙ্গার টানে নদী বক্ষে আরতি দেখবেন মার্কিন বরযাত্রীরা, বিশেষ ব্যবস্থা কলকাতা পৌরনিগমের
  3. বারাণসীর ধাঁচে বাবুঘাটে গঙ্গারতি, ক্যামেরাবন্দি বেশ কিছু মুহূর্ত
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.