মেদিনীপুর, 16 জানুয়ারি: দেখে মনে হবে যেন বারাণসীতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ৷ সেখানকারই আদলে সন্ধ্যা আরতি শুরু হল মেদিনীপুর শহরের গান্ধিঘাটে । এই অপরূপ দৃশ্য দেখতে ভিড় জমান মেদিনীপুর শহর ও জেলার বহু মানুষ । উল্লেখ্য, সোমবার সকালে ধূমধাম করে রাম মন্দিরের উদ্বোধন করেন মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিয়া । সেই মন্দিরের অনুষ্ঠানের আরেক পর্ব ছিল সন্ধ্যা আরতি । গান্ধিঘাটে সার বেঁধে সন্ধ্যা আরতি সারলেন বারাণসীর পুরোহিতরা ।
পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রামের মতোই জঙ্গলমহল অধ্যুষিত মেদিনীপুর মানেই শাল পিয়ালের বাগান ও নানা ঐতিহাসিক স্থান । এ বার সেখানকার আরও এক আকর্ষণ হয়ে উঠল রাম মন্দির ৷ তবে শুধু এটাই নয়, বারাণসীর আদলে গঙ্গা আরতিও শুরু হল এখানে । সোমবার সন্ধে থেকে রাত - এক অন্য রকম আবহের সাক্ষী থাকলেন স্থানীয় মানুষ ৷
প্রসঙ্গত, মেদিনীপুর পৌরসভার উদ্যোগে এবং মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় মেদিনীপুর শহরের শেষ প্রান্ত গান্ধিঘাট এলাকায় একটি রাম মন্দির গড়ে তোলা হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে । সেই রাম-সীতা মন্দিরের উদ্বোধনের সঙ্গে আয়োজন করা হয়েছিল সন্ধ্যা আরতির ৷ যার নাম দেওয়া হয়েছে গঙ্গা আরতি । আর এই গঙ্গা আরতির প্রাক্কালে শহরজুড়ে প্রচার যেমন হয়েছে, তেমনই সবাইকে পাঠানো হয়েছে মেসেজ ।
নির্ঘণ্ট অনুযায়ী দিনের বেলা থেকে শুরু হয় পুজো পার্বণ ৷ মন্দিরের উদ্বোধন করেন মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিয়া । সারাদিন পুজো চলার পর সন্ধ্যায় শুরু হয় গঙ্গা আরতি । ঠিক যেমন বারাণসীতে সন্ধেয় সার বেঁধে গঙ্গা আরতি হয়, ঠিক সেই আদলেই মেদিনীপুরে পালিত হল গঙ্গা আরতির অনুষ্ঠান । আর সে জন্য বারাণসী থেকে নিয়ে আসা হয় 10 জন বিশেষ পুরোহিতকে । রীতিমতো ঢাক ঢোল বাদ্যি সহকারে গঙ্গা আরতি চলে সন্ধ্যা ও রাত জুড়ে ।
এরই সঙ্গে এই অনুষ্ঠানকে আরও জমকালো করতে আতশবাজির প্রদর্শনী এবং নৌকাবিহারের ব্যবস্থা করে মেদিনীপুর পৌরসভা । আর তা দেখতে ভিড় জমান জেলার অসংখ্য মানুষজন । দেখা যায় সেলফি তোলার হিড়িক ৷ এই আরতির সূচনা করে মেদিনীপুরবাসীকে ধন্যবাদ জানান জুন মালিয়া ।
তিনি বলেন, "মূলত মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় মেদিনীপুর শহরকে সাজানোর উদ্দেশ্যেই এই উদ্যোগ । এ বিষয়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে মেদিনীপুর পৌরসভা । আমরা চাই মেদিনীপুরের সৌন্দর্য্য যেমন বৃদ্ধি করব, সেই সঙ্গে সুস্থ স্বাভাবিক এবং আরও সুন্দর করে কীভাবে সবকিছু গড়ে তোলা যায় তার চেষ্টা করব । আমরা মেদিনীপুরের মানুষের পাশে রয়েছি ৷"
উল্লেখ্য, গান্ধিঘাটে পর্যটকদের জন্য বিশেষ নৌকা বিহারেরও ব্যবস্থা করতে চলেছে মেদিনীপুর পৌরসভা । কাশ্মীরের হাউজবোটের আদলে নৌকা তৈরি করে সেখানে ডিজে সাউন্ড সিস্টেম রাখা হবে ৷ তার জন্য কয়েক লক্ষ টাকা বাজেট ধরা হয়েছে ৷ যাতে পৌরসভার আয় বৃদ্ধি হয় । আর এই সবকিছুই হচ্ছে মূলত অম্রুত প্রকল্পের সৌজন্যে । যে প্রকল্প হয়ে গেলে আগামী দিনে মেদিনীপুরবাসীর আর জলের সমস্যা থাকবে না ।
আরও পড়ুন: