শালবনী, 1 জুলাই : ক্য়াম্পেই উদ্ধার হল এক জওয়ানের ঝুলন্ত মৃতদেহ ৷ বুধবার রাতের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীর কোবরা ক্য়াম্পে ৷ বাহিনী সূত্রে খবর, মৃত জওয়ানের নাম শিবকান্ত প্রসাদ ৷ বয়স আনুমানিক 38 বছর ৷ প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন ৷ কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷
সূত্রের খবর, সম্প্রতি ছুটি নিয়ে বাড়ি গিয়েছিলেন শিবকান্ত ৷ তাঁর বাড়ি উত্তরপ্রদেশের বলিয়া জেলায় ৷ গত 27 জুন ক্যাম্পে ফিরে আসেন তিনি ৷ এরপর নিয়ম মাফিক কোয়ারান্টিনে থাকছিলেন তিনি ৷ ক্য়াম্পেরই তিনতলার 21 নম্বর ঘরে একা থাকছিলেন শিবকান্ত ৷ তাঁর সহকর্মীদের দাবি, বুধবার সন্ধ্যা থেকেই সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না শিবকান্তর ৷ এরপরই তাঁর ঘরে উঁকি মারেন ক্য়াম্পের বাকি জওয়ানরা ৷ তখনই ঘরের ভিতর ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তাঁরা ৷
আরও পড়ুন : সিআইএসএফ জওয়ানের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
খবর পেয়ে শালবনী থানার পুলিশ কোবরা ক্যাম্পে এসে পৌঁছয় ৷ তারা মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় ৷ ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় ৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মানসিক অবসাদেই আত্মঘাতী হয়েছেন ওই জওয়ান ৷ মৃতের পরিবারকে ইতিমধ্যেই তাঁর মৃত্যুর খবর পাঠানো হয়েছে ৷
তবে হঠাৎ কী কারণ এমন ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ সম্প্রতি বাড়ি থেকে ফিরেছিলেন শিবকান্ত ৷ তাই পারিবারিক কোনও কারণে তিনি অবসাদগ্রস্ত ছিলেন কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷ এছাড়া, ক্য়াম্পে সহকর্মীদের সঙ্গে তাঁর কেমন সম্পর্ক ছিল, সে বিষয়েও খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে ৷ পাশাপাশি, কোয়ারান্টিনে একা ঘরবন্দি থাকতে গিয়ে তিনি অবসাদের শিকার হয়েছিলেন কিনা, সেটাও ভাবাচ্ছে পুলিশকে ৷ তাদের প্রাথমিক অনুমান, গলায় ফাঁস আটকে শ্বাসরুদ্ধ হয়েই প্রাণ গিয়েছে শিবকান্তর ৷ তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই মৃত্য়ুর কারণ নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব হবে ৷
আরও পড়ুন : কসবায় বাড়িতে জওয়ানের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
প্রসঙ্গত, মাস কয়েক আগে দুই জওয়ানের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল এই শালবনী ক্যাম্পে ৷ দিনের বেলায় এক মহিলা ও এক পুরুষ জওয়ানের দেহ উদ্ধার হয়েছিল ক্যাম্প থেকে ৷ সেই ঘটনার পর তদন্তও শুরু হয় ৷ সেই তদন্তের কাজ এখনও চলছে ৷ এরই মধ্যে শিবকান্তর মৃত্য়ুতে উদ্বিগ্ন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ৷ ঘটনায় শোকস্তব্ধ মৃতের সহকর্মীরাও ৷ পর পর এমন ঘটনায় বাকি জওয়ানদের উপর মানসিক চাপ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা কর্তৃপক্ষের ৷