খড়গপুর, 11 ডিসেম্বর : খড়গপুরে গৃহ সম্পর্ক অভিযানে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রমণ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ । বললেন,"তৃণমূলের নেতারা যারা বোমা বন্দুকের কারখানা তৈরি করেছেন তাঁরা বন্ধ করে ফেলুন নইলে ক্ষমতায় এলে জেলের ভাত খাওয়াব ।"
আজ খড়গপুরে দলীয় কার্যালয় উদ্বোধনের আগে দিলীপ ঘোষকে সংবর্ধনা জানান দলের কর্মী-সমর্থকরা । মিছিল করে এসে দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন করেন তিনি । এরপর তিনি বলেন,"রাজ্যজুড়ে এবং রেল শহর খড়গপুর জুড়ে তৃণমূলের বোমা এবং বন্দুক কারখানা গড়ে উঠেছে । ক্ষমতায় আসার পরই আমরা সেই কারখানাগুলো অবিলম্বে বন্ধ করব । এর পাশাপাশি এই বোমা বন্দুক কারখানার যারা প্রোডিউসার, ডিরেক্টর তাদের জেলের ভাত খাওয়াব ।"
তৃণমূল ও তৃণমূল নেত্রীকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন,"বিনাশকালে বুদ্ধিনাশ । গতকাল সর্বভারতীয় নেতা নাড্ডাজিকে যেভাবে আক্রমণ করেছেন তারপরও তাঁকে নিয়ে যা উলটোপালটা বলছেন তাতে নিন্দা করার ভাষা নেই । দিদির যত বয়স হয়েছে ততই বুদ্ধি লোপ পেয়েছে । যাঁকে তিনি নেতা করার চেষ্টা করছেন তাকেই তাঁর পার্টির লোকেরা মানছেন না । তিনি খোকাবাবুকে নেতা করতে চাইছেন আর দলের কর্মীরা তা মানছে না । প্রতিদিন তাঁদেরই দলের একজন করে নেতা ফায়ারিং করছে । এরকম একটা বর্বর পার্টি আর কতদিন টিকবে তা ঠিক জানি না ।"
তিনি বলেন, "আমি শুনলাম খড়গপুরে দুই নেতার মধ্যে গুলি বিনিময় প্র্যাকটিস হয়েছে । এই প্র্যাকটিসটা ইলেকশন পর্যন্ত বাড়বে । আগে মাফিয়া, গুন্ডারা খড়গপুরে গুলি প্র্যাকটিস করত এখন তৃণমূলের নেতারা প্র্যাকটিস করছে । তবে এই সবই পরিবর্তন করে দেব যেদিন আমরা ক্ষমতায় আসব । আমি এখান থেকে দু'দুবার জিতেছি । অনেক পরিবর্তন করেছি । এরপর আপনাদের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছি যেদিন বিজেপি ক্ষমতায় আসবে সেদিন পুরো পরিবর্তন করে দেব । এখানে কোনও বোমা-বন্দুকের আওয়াজ পাওয়া যাবে না । তাই এখন থেকেই বলে যাচ্ছি যাঁরা বন্দুক-বোমা এনেছেন তাঁরা মাটির তলায় রেখে দিন । যেভাবে সুশান্ত ঘোষ রেখে দিয়েছিল মাটির তলায় । এখানে কোনও বোমা বন্দুক চলবে না । খড়গপুরের মানুষ শান্তিতে থাকতে চান তাই বিজেপিকে জিতিয়েছে ।"
উদাহরণ দিতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বিহার ও উত্তরপ্রদেশ সরকারের উদাহরণ দেন । তিনি বলেন,"বিহার ও উত্তর প্রদেশে দেখুন কীভাবে উন্নয়ন করছে এবং শান্তিতে আছে । গুন্ডামি সব বন্ধ হয়ে গিয়েছে । কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ ধীরে ধীরে কাশ্মীরে পরিণত হয়েছে ।"