দাসপুর, 31 অক্টোবর: পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে রূপনারায়ণের পাড় ধসে গতকাল রাতে নদীগর্ভে 8টি বাড়ি তলিয়ে যায় ৷ ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক বাড়ি ৷ গৃহহীন হয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি এলাকা পরিদর্শনে যান মহকুমাশাসক-সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ৷ দেওয়া হয় পাশে থাকার আশ্বাসও।
জেলার দাসপুর-2 ব্লকের খেপুত গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপীগঞ্জ কালীতলা এলাকায় রূপনারায়ণের পাড় ধসে নদীগর্ভে তলিয়ে যায় 8টি বাড়ি, একাধিক বাড়িতেও ফাটল। গৃহহীন হয়ে অস্থায়ী ছাউনিতে আশ্রয় নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় এলাকাবাসীরা। রবিবার সকালেই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, বিডিও, স্থানীয় বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ঘাটালের মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস। ভেঙে পড়া বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা থেকে শুরু করে নৌকোয় চড়ে নদীপাড় পরিদর্শন করেন তিনি। ক্ষতিগ্রস্তদের সবরকম সহযোগিতা ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দেওয়া হয়। গৃহহীন পরিবারগুলির সদস্যদের আশ্রয় শিবিরে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও মহকুমাশাসক জানান।
আরও পড়ুন: ইসমাইলের হাতে মৃণ্ময়ী রূপ পান মা কালী, মুগ্ধ হিন্দু প্রতিবেশীরা
এই নদী ভাঙনের জন্য স্থানীয়রা দায়ী করছেন দিনের পর দিন অবৈধভাবে ওই এলাকায় বালি তোলাকে। একাধিক বার স্থানীয়রা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও বালি তোলা বন্ধ হয়নি বলে অভিযোগ। এদিন মহকুমাশাসক-সহ জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের আধিকারিকরা পরিদর্শনে গেলে তাঁদের কাছে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয়রা। অবৈধভাবে বালি তোলার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন মহকুমাশাসক। নদীপাড়ের বাসিন্দারা জানান, গত তিনদিন ধরে একটু একটু করে নদীর পাড়ে ফাটল শুরু হয়, শনিবার সকাল থেকে তা বাড়তে থাকে। গতকাল রাতেই পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে ৷ একাধিক বাড়িতে ফাটল ও 8টি বাড়ি নদীগর্ভে তলিয়ে যায়। কিছু জিনিসপত্র বের করা সম্ভব হলেও সব বের করা যায়নি ৷ ফলে, বাড়ির সঙ্গে অনেকের শেষ সম্বলটুকুও তলিয়ে গিয়েছে। গৃহহীন হয়ে এখন কোথায় যাবেন কীভাবে থাকবেন ভেবেই দুশ্চিন্তায় বাসিন্দারা।