ঘাটাল,28 জানুয়ারি : একদিকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় অন্যদিকে সারের কালোবাজারি ৷ এই দুয়ের মধ্যে পড়ে রীতিমতো বিপাকে পশ্চিম মেদিনীপুরের কৃষকরা । মাত্র একটি দোকানে মিলছে সরকারি মূল্য়ে সার, তাও আবার বরাদ্দ মাত্র এক প্যাকেট ৷ তাই সার কিনতে গভীর রাত থেকে দোকানের সামনে ভিড় জমাতে হচ্ছে তাঁদের । অন্য সব দোকানে দাম আকাশছোঁয়া । তাই করোনার ভয় উপেক্ষা করেই গভীর রাত থেকে লম্বা লাইনে ঘাটাল এলাকার কৃষকরা ।
রাসায়নিক সার নিয়ে কালোবাজারির ছবি আগেও ধরা পড়েছে ঘাটাল মহকুমার চন্দ্রকোনায় । তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদও জানিয়েছিলেন কৃষকরা । অন্যান্য জেলাতেও কৃষকরা আন্দোলনের পথ বেছে নিয়েছেন ৷ কিন্তু তার মধ্যেও কালোবাজারি অব্যাহত । সারের কালোবাজারি বন্ধ করতে বেশ কয়েকটি দোকানে অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন ৷ কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি । কৃষকদের অভিযোগ, একে বন্যায় বিপুল ক্ষতি হয়েছে সকলের, তার উপর এভাবে সারের কালোবাজারি চলতে থাকলে চাষবাস কিভাবে করবেন তাঁরা ?(Farmers complain of black marketing of fertilizers)
আরও পড়ুন: রোগে নষ্ট হচ্ছে বিঘার পর বিঘা জমির আলু, মাথায় হাত বাঁকুড়ার চাষিদের
কৃষকদের দাবি, সরকারের ঠিক করা দামের থেকে অনেক বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে সারের প্যাকেট । বিভাস দে নামে এক প্রবীণ কৃষক জানান, রাত আড়াইটে থেকে সারের দোকানের সামনে লাইন দিয়েছেন তিনি । কিন্তু সার বিক্রেতা জানিয়ে দিয়েছেন, এক প্যাকেটের বেশি রাসায়নিক সার দেওয়া হবে না একজনকে । অপরদিকে সার বিক্রেতারা অবশ্য সমস্ত দোষ চাপাচ্ছেন ডিস্ট্রিবিউটারদের ওপর ৷ স্থানীয় সার ব্যবসায়ী দীপক সাহা জানান, বারবার বলা সত্ত্বেও ডিস্ট্রিবিউটার মাল দিচ্ছে না ৷ এছাড়া যেটুকু সার মিলছে তাও চড়া দামে ৷ তাই তাঁদের বাধ্য হয়ে দাম বাড়াতে হচ্ছে ৷