পাঁশকুড়া , 19 মে : সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন ঝাড়গ্রামের সাত ব্যক্তি ও পশ্চিম মেদিনীপুরের এক কোরোনা আক্রান্ত সহ মোট আটজন । আজ বিকেল নাগাদ তাঁদের পাঁশকুড়ার কোরোনা হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয় । প্রত্যেককেই আগামী 14 দিন হোম কোয়ারানটিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই চন্দ্র মণ্ডল ।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে , 9 মে পশ্চিম মেদিনীপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত নার্স কোরোনা আক্রান্ত হয়ে ভরতি হন পাঁশকুড়ার কোরোনা হাসপাতালে । পরে 10 তারিখ বিকেল নাগাদ ঝাড়গ্রামের এলাকার এক মহিলা ও তাঁর সন্তান সহ দু’জনকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় পাঁশকুড়ার হাসপাতালে । ওইদিনই ফের ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে আরও দুই কোরোনা আক্রান্তকে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে স্থানান্তরিত করা হয় পাঁশকুড়ার কোরোনা হাসপাতালে । পরের দিন অর্থাৎ 11 তারিখে ফের কোরোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে ঝাড়গ্রাম এলাকার আরও তিন ব্যক্তির শরীরে । তাঁদেরও চিকিৎসার জন্য ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে পাঁশকুড়ার কোরোনা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় । মঙ্গলবার পর্যন্ত তাঁরা প্রত্যেকেই কোরোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন । চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠায় প্রত্যেককেই আজ হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে ।
আক্রান্তরা সুস্থ হয়ে ওঠায় 17 মে তাঁদের সোয়াব সংগ্রহ করে RG কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হলে গতকালই প্রত্যেকেরই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে । 18 তারিখে ফের তাঁদের সোয়াব সংগ্রহ করে টেস্ট করা হয় ৷ আজ সকালে সেই টেস্টের রিপোর্টও নেগেটিভ আসে । তারপরই আজ বিকেল নাগাদ পাঁশকুড়ার কোরোনা হাসপাতাল থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের এক আক্রান্ত ও ঝাড়গ্রামের সাতজন সহ মোট আটজনকে বাড়ি যাওয়ার জন্য ছুটি দেয় পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ।
এ বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই চন্দ্র মণ্ডল জানিয়েছেন , মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের আট কোরোনা আক্রান্ত ব্যক্তি চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠায় তাঁদের ছুটি দেওয়া হয়েছে । বর্তমানে পাঁশকুড়ার কোরোনা হাসপাতালে আরও ছয় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা চলছে । সংক্রমণমুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তিকেই 14 দিন হোম কোয়ারানটিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
