ETV Bharat / state

Durga Puja 2022: মিঞা বাজারের চক্রবর্তীদের দুর্গার আরাধনা হয় পটচিত্রে

মেদিনীপুর শহরের মিঞা বাজারের চক্রবর্তীদের দুর্গাপুজো জেলার অন্যতম বিখ্যাত পুজোগুলির একটি ৷ যেখানে দেবী দুর্গার আরাধনা (Durga Puja 2022) হয় পটচিত্রে ৷ আর এই পটচিত্রে দেবীর (Medinipur Chakraborty Poto Durga) রূপ ফুটিয়ে তোলেন শিল্পী সুজিত চক্রবর্তী ৷ যিনি পেশায় ক্ষীরপাই হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মী ৷

durga-puja-2022-medinipur-chakraborty-poto-durga
durga-puja-2022-medinipur-chakraborty-poto-durga
author img

By

Published : Sep 23, 2022, 9:42 PM IST

মিঞা বাজার, 23 সেপ্টেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুরের মিঞা বাজারের বিরাট রাজার ব্রাহ্মণ রাখাল চক্রবর্তীর বাড়ির পুজো ৷ যেখানে দেবী দুর্গা পূজিত হয়ে আসছেন পটচিত্রের মধ্য দিয়ে (Medinipur Chakraborty Poto Durga) ৷ আর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে 6 ফুটের পটচিত্রে দেবী দুর্গার রূপদান করেন শিল্পী তথা ক্ষীরপাই হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মী সুজিত চক্রবর্তী ৷ গত 16 বছর ধরে তিনি এই কাজ করে আসছেন ৷ এখন রাতদিন পরিশ্রম করে চলছে পটচিত্রে সপরিবার দেবী দুর্গাকে (Durga Puja 2022) ফুটিয়ে তোলার কাজ ৷

সুজিত চক্রবর্তীর আঁকা পটের দুর্গা শোভা পাবে ঐতিহ্যশালী রাখাল চক্রবর্তীর বংশধরের পুজোতে ৷ 6 ফুট বাই 6 ফুটের আকর্লিক কাগজে পটচিত্রে দেবীর স্বরূপ ফুটিয়ে তোলেন শিল্পী সুজিত চক্রবর্তী ৷ একটি মেড়ের মধ্যেই থাকবেন সিংহবাহিনী দেবী দুর্গা (Durga Puja 2022) ৷ পাশাপাশি থাকবেন লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক সরস্বতী এবং অসুর ৷ এ বারের এই মোড়কে কিছু গয়নার কাজও করেছেন সুজিত চক্রবর্তী ৷

মেদিনীপুর শহরের পরিচিত মুখ হল মিঞা বাজারের বিরাট রাজার রাজপুরোহিত রাখাল চক্রবর্তীর বাড়ি পুজো ৷ আর এই পুজো শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় 200 বছরের বেশি সময় আগে ৷ জমিদারি আমলের এই পুজোয় প্রতিমা গড়ার অনুমতি ছিল না ৷ তাই পাঁচ ফুট বাই পাঁচ ফুটের পটচিত্রে প্রথম পুজো শুরু করেন রাখাল চক্রবর্তী ৷ তিনি নিজেই ছিলেন প্রধান পুরোহিত ৷ এই পুজোর বৈশিষ্ট্য হল আমিষ ব্যঞ্জনে দেবীকে ভোগ নিবেদন ৷ প্রসাদে ল্যাটা মাছ পোড়া ৷ আর পাঁচটা জায়গার মতোই এখানকার পুজো শুরু হয় ষষ্ঠীতে ৷ ওই দিন পুজোর প্রধান নৈবেদ্য হল ভাত, রুই মাছের ঝোল-সহ পঞ্চব্যঞ্জন ৷

মিঞা বাজারের চক্রবর্তীদের দুর্গার আরাধনা হয় পটচিত্রে

আরও পড়ুন: মূর্তি পুজো নয়, বর্ধমান রাজবাড়িতে পূজিত হন পটচিত্রের ‘পটেশ্বরী দুর্গা’

এর পর সপ্তমীর ভোরে সাতটি কুয়োর জল দিয়ে অভিষেক করিয়ে মাকে মন্দিরে ঢোকানো হয় ৷ সকল সন্তানের মঙ্গল কামনায় বলির প্রচলন থাকলেও চক্রবর্তী বাড়ির পুজোয় ছাগল বা অন্য কোনও পশুর বলি দেওয়া হয় না ৷ এখন পশু বলির পরিবর্তে চালকুমড়ো বলি দিয়ে নিয়মরক্ষা করা হয় ৷ সপ্তমী থেকে নবমী টানা তিনদিন ধরে চলে মহাযজ্ঞ ৷ অষ্টমীতে 108টি নীলপদ্ম অর্পণ করে দেবীর পুজো হয় ৷ নবমীর দিন দেবীকে নিরামিষ অন্নের ভোগ দেওয়া হয় ৷ তবে, দশমীতে ফল দেওয়া হয় দেবী দুর্গাকে ৷ ওই দিন দুর্গাকে নৈবেদ্য হিসাবে ঝিঙ্গে, ল্যাটা মাছ ও শোল মাছ পোড়া অর্পণ করা হয় ৷ যদিও, প্রথা মেনে পটের দুর্গার বিসর্জন হয় দশমীতেই ৷

রাখাল চক্রবর্তীর আমলে মহা ধুমধাম করে বিসর্জন করা হত চক্রবর্তী বাড়ির ঠাকুর ৷ ঝলমলে শোভাযাত্রায় থাকত সুসজ্জিত হস্তিবাহিনী ৷ আজ আর অবশ্য বিসর্জনে হাতি আনা হয় না ৷ তবে ঢাক, ঢোল বাজিয়ে আজও দেবী দুর্গার নিরঞ্জন হয় ৷ গত 200 বছরের অধিক এ ভাবেই পুজোয় কিছু কিছু পরিবর্তন এসেছে মিঞা বাজারের চক্রবর্তী বাড়ির দুর্গাপুজোয় ৷

মিঞা বাজার, 23 সেপ্টেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুরের মিঞা বাজারের বিরাট রাজার ব্রাহ্মণ রাখাল চক্রবর্তীর বাড়ির পুজো ৷ যেখানে দেবী দুর্গা পূজিত হয়ে আসছেন পটচিত্রের মধ্য দিয়ে (Medinipur Chakraborty Poto Durga) ৷ আর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে 6 ফুটের পটচিত্রে দেবী দুর্গার রূপদান করেন শিল্পী তথা ক্ষীরপাই হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মী সুজিত চক্রবর্তী ৷ গত 16 বছর ধরে তিনি এই কাজ করে আসছেন ৷ এখন রাতদিন পরিশ্রম করে চলছে পটচিত্রে সপরিবার দেবী দুর্গাকে (Durga Puja 2022) ফুটিয়ে তোলার কাজ ৷

সুজিত চক্রবর্তীর আঁকা পটের দুর্গা শোভা পাবে ঐতিহ্যশালী রাখাল চক্রবর্তীর বংশধরের পুজোতে ৷ 6 ফুট বাই 6 ফুটের আকর্লিক কাগজে পটচিত্রে দেবীর স্বরূপ ফুটিয়ে তোলেন শিল্পী সুজিত চক্রবর্তী ৷ একটি মেড়ের মধ্যেই থাকবেন সিংহবাহিনী দেবী দুর্গা (Durga Puja 2022) ৷ পাশাপাশি থাকবেন লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক সরস্বতী এবং অসুর ৷ এ বারের এই মোড়কে কিছু গয়নার কাজও করেছেন সুজিত চক্রবর্তী ৷

মেদিনীপুর শহরের পরিচিত মুখ হল মিঞা বাজারের বিরাট রাজার রাজপুরোহিত রাখাল চক্রবর্তীর বাড়ি পুজো ৷ আর এই পুজো শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় 200 বছরের বেশি সময় আগে ৷ জমিদারি আমলের এই পুজোয় প্রতিমা গড়ার অনুমতি ছিল না ৷ তাই পাঁচ ফুট বাই পাঁচ ফুটের পটচিত্রে প্রথম পুজো শুরু করেন রাখাল চক্রবর্তী ৷ তিনি নিজেই ছিলেন প্রধান পুরোহিত ৷ এই পুজোর বৈশিষ্ট্য হল আমিষ ব্যঞ্জনে দেবীকে ভোগ নিবেদন ৷ প্রসাদে ল্যাটা মাছ পোড়া ৷ আর পাঁচটা জায়গার মতোই এখানকার পুজো শুরু হয় ষষ্ঠীতে ৷ ওই দিন পুজোর প্রধান নৈবেদ্য হল ভাত, রুই মাছের ঝোল-সহ পঞ্চব্যঞ্জন ৷

মিঞা বাজারের চক্রবর্তীদের দুর্গার আরাধনা হয় পটচিত্রে

আরও পড়ুন: মূর্তি পুজো নয়, বর্ধমান রাজবাড়িতে পূজিত হন পটচিত্রের ‘পটেশ্বরী দুর্গা’

এর পর সপ্তমীর ভোরে সাতটি কুয়োর জল দিয়ে অভিষেক করিয়ে মাকে মন্দিরে ঢোকানো হয় ৷ সকল সন্তানের মঙ্গল কামনায় বলির প্রচলন থাকলেও চক্রবর্তী বাড়ির পুজোয় ছাগল বা অন্য কোনও পশুর বলি দেওয়া হয় না ৷ এখন পশু বলির পরিবর্তে চালকুমড়ো বলি দিয়ে নিয়মরক্ষা করা হয় ৷ সপ্তমী থেকে নবমী টানা তিনদিন ধরে চলে মহাযজ্ঞ ৷ অষ্টমীতে 108টি নীলপদ্ম অর্পণ করে দেবীর পুজো হয় ৷ নবমীর দিন দেবীকে নিরামিষ অন্নের ভোগ দেওয়া হয় ৷ তবে, দশমীতে ফল দেওয়া হয় দেবী দুর্গাকে ৷ ওই দিন দুর্গাকে নৈবেদ্য হিসাবে ঝিঙ্গে, ল্যাটা মাছ ও শোল মাছ পোড়া অর্পণ করা হয় ৷ যদিও, প্রথা মেনে পটের দুর্গার বিসর্জন হয় দশমীতেই ৷

রাখাল চক্রবর্তীর আমলে মহা ধুমধাম করে বিসর্জন করা হত চক্রবর্তী বাড়ির ঠাকুর ৷ ঝলমলে শোভাযাত্রায় থাকত সুসজ্জিত হস্তিবাহিনী ৷ আজ আর অবশ্য বিসর্জনে হাতি আনা হয় না ৷ তবে ঢাক, ঢোল বাজিয়ে আজও দেবী দুর্গার নিরঞ্জন হয় ৷ গত 200 বছরের অধিক এ ভাবেই পুজোয় কিছু কিছু পরিবর্তন এসেছে মিঞা বাজারের চক্রবর্তী বাড়ির দুর্গাপুজোয় ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.