পশ্চিম মেদিনীপুর, 18 জুন : বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের জেরে পণ্ড হয়ে গেল নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ৷ যদিও সরকারি আধিকারিকদের মতে শর্ট-সার্কিটের কারণেই বিদ্যুত পরিষেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে ৷ দ্রুত সমস্যাটি সমাধান করে আবারও পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন কর্মীরা ৷
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোট কর্মীদের প্রথমদিনের প্রশিক্ষণ ছিল রবিবার ৷ জেলা শহর মেদিনীপুরের কলেজিয়েট স্কুলে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছিল ৷ নির্ধারিত সময় অনুযায়ী সকাল 10টার সময় প্রশিক্ষণ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, বিদ্যুৎ পরিষেবা না-থাকায় বেলা বারোটা বেজে গেলেও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে শুরু করা যায়নি ভোট কর্মীরা ৷ দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পরেও বিদ্য়ুৎ না আসায় প্রশিক্ষণ না নিয়েই ফিরে যান ভোটকর্মীরা ৷
এদিকে 40 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে তীব্র গরমে এক প্রকার নাজেহাল শিক্ষক, রাজ্য সরকারের কর্মচারী-সহ সকল ভোটকর্মীরা । কমিশনের এই চূড়ান্ত অব্যবস্থার প্রতি রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা ৷ তাঁদের মতে বিকল্প হিসেবে জেনারেটরের ব্যবস্থা করা উচিত ছিল কমিশনের ।
বিদ্যুৎ বিভ্রাটের খবর পেয়েই দুঃখ প্রকাশ করেছেন মেদিনীপুর সদরের মহকুমা শাসক তথা দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচনী আধিকারিক কৌশিক চট্টোপাধ্যায় । এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, "সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত ঘটনা । সবকিছু ঠিকঠাক ছিল, হঠাৎ করেই একটি বড়সড় শর্ট সার্কিট হয় । বিদ্যুৎ কর্মীরা চেষ্টা করছেন ।" ঘটনার কথা জেলাশাসককে জানানো হলে তিনিও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ।
আরও পড়ুন : ঘরের লড়াই বাইরে, জেলা অফিসের বাইরে ধস্তাধস্তি তৃণমূলের
এদিকে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে অনড় ভোটকর্মীরা । যেভাবে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কমিশন সুপ্রিম কোর্টে গেছে তার বিরুদ্ধে এদিন ভোট কর্মীরা তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন । মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলে প্রশিক্ষণ নিতে আসা ভোট কর্মীরা বলেন, "আমাদের কি কমিশন গরু ছাগল ভাবে ? আমাদের জীবনের কোনও দাম নেই ? কেন্দ্রীয় বাহিনীর রায় চ্যালেঞ্জ করে, নির্লজ্জ কমিশন রাজ্য সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে, ভোট কর্মীদের জীবনের কোনও দাম নেই ?"