ETV Bharat / state

জরায়ুর অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে কেটে বাদ মলাশয় ! জেলবন্দি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ফের আদালতে রোগী - Doctor cuts colon

Allegation against Doctor: জরায়ুর অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে এক রোগীর মলাশয়ই কেটে বাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠল চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ৷ তাঁর শাস্তির দাবি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়ছেন রোগী ৷

ETV Bharat
ETV Bharat
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 31, 2023, 3:22 PM IST

Updated : Dec 31, 2023, 4:31 PM IST

জরায়ুর অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে কেটে বাদ মলাশয় !

মেদিনীপুর, 31 ডিসেম্বর: জরায়ুর অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে রোগীর কোলন অর্থাৎ মলাশয়টিই কেটে বাদ দিয়েছেন চিকিৎসক ! মেদিনীপুরের যে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে, তিনি বর্তমানে 14 দিনের জেল হেফাজতে রয়েছেন ৷ সে ক্ষেত্রেও অভিযোগ ভুল চিকিৎসার ৷ মায়ের মৃত্যুতে ওই স্বনামধন্য চিকিৎসক ও তাঁর নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে আদালতের সামনে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে সরব হয়েছিলেন এক গৃহবধূ ৷ যার জেরে অন্তর্বর্তী জামিন পাওয়া সত্ত্বেও আদালতের নির্দেশে জেলবন্দি হতে হয় অভিযুক্ত চিকিৎসককে ৷ এই ঘটনার 24 ঘণ্টা কাটতে না কাটতে ফের তাঁর বিরুদ্ধে উঠল গুরুতর অভিযোগ ৷ তাঁর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন রোগীর আত্মীয়রা ৷

পশ্চিম মেদিনীপুরের পাশের জেলা ঝাড়গ্রামের অলক্তা খামরুই গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে জরায়ুর অস্ত্রোপচারের জন্য মেদিনীপুর শহরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হন । তাঁর অভিযোগ, সেই সময় ভুল চিকিৎসার শিকার হন তিনি । প্রায় 7 মাস তাঁকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় ৷ জরায়ুর অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে চিকিৎসক তাঁর কোলন কেটে বাদ দিয়ে দেন বলে অভিযোগ ৷ পরে চেন্নাই গিয়ে পুনরায় অস্ত্রোপচার করাতে হয় তাঁকে ।

সেই ঘটনার প্রায় ছয় মাস পর অর্থাৎ চলতি বছরের মে মাসে মেদিনীপুর কোতোয়ালী থানায় ডা. কাঞ্চন ধাড়া, ডা. সন্ধ্যা মণ্ডল ধাড়া, ডা. এসবি পাণ্ডে, সমর দাস-সহ তাঁদের নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ দায়ের হয় । অভিযোগ, এই ঘটনার পর এতদিন কেটে গেলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও রকম পদক্ষেপ করা হচ্ছে না ।

উল্লেখ্য, গত দুদিন আগে একই ঘটনার শিকার আরও এক ভুক্তভোগী তথা মৃত রোগীর স্বামী স্বপন খামরুই ও মেয়ে কেয়া মাইতি বিচারের আশায় মেদিনীপুর জেলা আদালতে প্ল্যাকার্ড হাতে ধর্নায় বসেছিলেন । সে দিনই সন্ধ্যায় অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক । এই দেখে শনিবার সন্ধ্যায় অলক্তা খামরুই ও তাঁর পরিবার মেদিনীপুর জেলা আদালতে উপস্থিত হয়ে ওই একই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান ও তাঁর উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেন ।

এ দিন অলক্তা খামরুই বলেন, "গত সেপ্টেম্বর মাসে আমার ইউটেরাসের অপারেশনের জন্য কাঞ্চন ধাড়ার আন্ডারে ভর্তি হই একটি নার্সিংহোমে ।সেখানেই ওই অভিযুক্ত ডাক্তার আমার ইউটেরাসের অপারেশন করতে গিয়ে কোলন কেটে দিয়েছেন এবং তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন । এই ঘটনায় আমার জীবন সংশয় হয় । পরবর্তীকালে কোনওক্রমে চেন্নাই গিয়ে এই ভুল ট্রিটমেন্টের সঠিক চিকিৎসা করে আসি । ওই অভিযুক্ত চিকিৎসক নার্সিংহোমের প্যাডে লিখে মেনে নিয়েছিলেন যে, তিনি ভুল চিকিৎসা করেছেন । আমরা চাই, ওই অভিযুক্ত চিকিৎসকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক ।"

রোগীর আইনজীবী রূপেশ রায় বলেন, এই ডাক্তারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে এবং উনি জেনেশুনেই এমন চিকিৎসা করে রোগীদের মেরে দিয়েছেন ৷ কোথাও আবার আক্রান্ত করে দিয়েছেন । আমরা তাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি । যাতে সঠিক বিচার হয় এবং অভিযুক্ত চিকিৎসকের শাস্তি হয় ।

আরও পড়ুন:

গাফিলতিতে রোগীমৃত্যু ! অন্তর্বর্তী জামিনের 24 ঘণ্টার মধ্যেই জেল হেফাজতে অভিযুক্ত চিকিৎসক

কেন্দ্রের নয়া পরিবহণ আইনের প্রতিবাদে জাতীয় সড়কে অবরোধ ট্রাকচালকদের, লাঠিচার্জ পুলিশের

এক যুগ ফেরার থাকার পর বীরভূম থেকে গ্রেফতার 'মাওবাদী', উদ্ধার অস্ত্রও

জরায়ুর অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে কেটে বাদ মলাশয় !

মেদিনীপুর, 31 ডিসেম্বর: জরায়ুর অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে রোগীর কোলন অর্থাৎ মলাশয়টিই কেটে বাদ দিয়েছেন চিকিৎসক ! মেদিনীপুরের যে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে, তিনি বর্তমানে 14 দিনের জেল হেফাজতে রয়েছেন ৷ সে ক্ষেত্রেও অভিযোগ ভুল চিকিৎসার ৷ মায়ের মৃত্যুতে ওই স্বনামধন্য চিকিৎসক ও তাঁর নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে আদালতের সামনে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে সরব হয়েছিলেন এক গৃহবধূ ৷ যার জেরে অন্তর্বর্তী জামিন পাওয়া সত্ত্বেও আদালতের নির্দেশে জেলবন্দি হতে হয় অভিযুক্ত চিকিৎসককে ৷ এই ঘটনার 24 ঘণ্টা কাটতে না কাটতে ফের তাঁর বিরুদ্ধে উঠল গুরুতর অভিযোগ ৷ তাঁর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন রোগীর আত্মীয়রা ৷

পশ্চিম মেদিনীপুরের পাশের জেলা ঝাড়গ্রামের অলক্তা খামরুই গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে জরায়ুর অস্ত্রোপচারের জন্য মেদিনীপুর শহরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হন । তাঁর অভিযোগ, সেই সময় ভুল চিকিৎসার শিকার হন তিনি । প্রায় 7 মাস তাঁকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় ৷ জরায়ুর অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে চিকিৎসক তাঁর কোলন কেটে বাদ দিয়ে দেন বলে অভিযোগ ৷ পরে চেন্নাই গিয়ে পুনরায় অস্ত্রোপচার করাতে হয় তাঁকে ।

সেই ঘটনার প্রায় ছয় মাস পর অর্থাৎ চলতি বছরের মে মাসে মেদিনীপুর কোতোয়ালী থানায় ডা. কাঞ্চন ধাড়া, ডা. সন্ধ্যা মণ্ডল ধাড়া, ডা. এসবি পাণ্ডে, সমর দাস-সহ তাঁদের নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ দায়ের হয় । অভিযোগ, এই ঘটনার পর এতদিন কেটে গেলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও রকম পদক্ষেপ করা হচ্ছে না ।

উল্লেখ্য, গত দুদিন আগে একই ঘটনার শিকার আরও এক ভুক্তভোগী তথা মৃত রোগীর স্বামী স্বপন খামরুই ও মেয়ে কেয়া মাইতি বিচারের আশায় মেদিনীপুর জেলা আদালতে প্ল্যাকার্ড হাতে ধর্নায় বসেছিলেন । সে দিনই সন্ধ্যায় অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক । এই দেখে শনিবার সন্ধ্যায় অলক্তা খামরুই ও তাঁর পরিবার মেদিনীপুর জেলা আদালতে উপস্থিত হয়ে ওই একই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান ও তাঁর উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেন ।

এ দিন অলক্তা খামরুই বলেন, "গত সেপ্টেম্বর মাসে আমার ইউটেরাসের অপারেশনের জন্য কাঞ্চন ধাড়ার আন্ডারে ভর্তি হই একটি নার্সিংহোমে ।সেখানেই ওই অভিযুক্ত ডাক্তার আমার ইউটেরাসের অপারেশন করতে গিয়ে কোলন কেটে দিয়েছেন এবং তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন । এই ঘটনায় আমার জীবন সংশয় হয় । পরবর্তীকালে কোনওক্রমে চেন্নাই গিয়ে এই ভুল ট্রিটমেন্টের সঠিক চিকিৎসা করে আসি । ওই অভিযুক্ত চিকিৎসক নার্সিংহোমের প্যাডে লিখে মেনে নিয়েছিলেন যে, তিনি ভুল চিকিৎসা করেছেন । আমরা চাই, ওই অভিযুক্ত চিকিৎসকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক ।"

রোগীর আইনজীবী রূপেশ রায় বলেন, এই ডাক্তারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে এবং উনি জেনেশুনেই এমন চিকিৎসা করে রোগীদের মেরে দিয়েছেন ৷ কোথাও আবার আক্রান্ত করে দিয়েছেন । আমরা তাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি । যাতে সঠিক বিচার হয় এবং অভিযুক্ত চিকিৎসকের শাস্তি হয় ।

আরও পড়ুন:

গাফিলতিতে রোগীমৃত্যু ! অন্তর্বর্তী জামিনের 24 ঘণ্টার মধ্যেই জেল হেফাজতে অভিযুক্ত চিকিৎসক

কেন্দ্রের নয়া পরিবহণ আইনের প্রতিবাদে জাতীয় সড়কে অবরোধ ট্রাকচালকদের, লাঠিচার্জ পুলিশের

এক যুগ ফেরার থাকার পর বীরভূম থেকে গ্রেফতার 'মাওবাদী', উদ্ধার অস্ত্রও

Last Updated : Dec 31, 2023, 4:31 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.