মেদিনীপুর, 21 জুন: পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলকে হারাতে এক জোট হওয়ার ডাক বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষের। তাঁর কথায়, "আমরা দরকার হলে রামধনু জোট করব কিন্তু তৃণমূলকে হারাতে সবাইকেই এগিয়ে আসার আসতে হবে।" কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে তিনি বলেন, "প্রতি বুথে দু'কোম্পানি করে সেন্ট্রাল বাহিনী দরকার। প্রয়োজনে আমরা আবার আদালতে যাব।" বুধবার মেদিনীপুরে যোগ দিবস সংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন দিলীপ । সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা জানান মেদিনীপুরের সাংসদ ৷
প্রসঙ্গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক হয়েছে 8 জুলাই। তার আগে শেষ হয়েছে মনোনয়ন পর্ব। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনও পেরিয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় রাজ্যের সঙ্গেই বিরোধীদের ভয় দেখানো, মনোনয়ন জোর করে প্রত্যাহার করানো এসব অশান্তি লেগেই রয়েছে। অভিযোগের তির শাসকদলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি তুলেছে আদালতে গিয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রেখে শীর্ষ আদালতও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়ায় জেলা পিছু এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
কিন্তু তাতে কি চিঁড়ে ভিজবে! আদৌ কি নিরাপত্তা পাওয়া যাবে? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে খোদ বিজেপি নেতৃত্ব এবং তারই সঙ্গে বিরোধী সিপিএম, কংগ্রেস ও বিভিন্ন আঞ্চলিক দলগুলিও। যদিও এই অশান্তির পরিবেশে একসঙ্গে লড়ার ডাক বিজেপি সর্বভারতীয় সহসভাপতির। এদিন তিনি মেদিনীপুরে এসে তাঁদের কর্মসূচি শেষ করে বলেন, "রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যারাই বিরোধিতা করবে তাদেরকেই আহ্বান রইল একজোট হওয়ার।"
আরও পড়ুন: জয়ের পরই রংবদল ! বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেই তৃণমূলে যোগ বিজেপি প্রার্থীর
পঞ্চায়েতে মনোনয়ন নিয়ে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, "এত বাধা সত্ত্বেও আমরা প্রায় 52-53 হাজার প্রার্থী দিয়েছি। আর আমরা সেই লড়াই চালিয়ে যাব। তবে তৃণমূল অনেকাংশে চেষ্টা করেছে জোর করে আমাদের প্রার্থী প্রত্যাহার করতে ৷ কিন্তু তারপরও আমরা লড়াই করব।" ভোটে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে তিনি দাবি করেন, প্রায় দেড় থেকে দু'হাজার বুথ রয়েছে। প্রতি বুথে দু'কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া উচিত। দরকার পড়লে আবার আদালতে যাওয়া হবে। এদিন মেদিনীপুর ছাড়াও খড়গপুর, মোহনপুর-সহ বিভিন্ন জায়গায় বৈঠকের সূচি নিয়ে জেলা সফরে এসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা ৷