পিংলা, 22 অগস্ট: 2015 সালে পিংলায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে 13 জনের মৃত্যুর মামলায় আজ সাজা ঘোষণা করল মেদিনীপুর আদালত ৷ দোষী সাব্যস্ত নিমাই মাইতি, রঞ্জন মাইতি এবং শেখ সুরজকে 15 বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ৷ পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার ব্রাহ্মণবাড় গ্রামে বেআইনি বাজি কারখানার বিস্ফোরণের সেই মামলায় 8 বছর পর সাজা ঘোষণা করল আদালত ৷ সাজাপ্রাপ্ত নিমাইয়ের স্ত্রীর দাবি, তাঁর স্বামীর সঙ্গে সুবিচার হয়নি ৷ তাঁরা রাজনীতির শিকার বলে অভিযোগ করেছেন সুলেখা মাইতি ৷ তিনি উচ্চ-আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন ৷
সরকারি আইনজীবী দেবাশিস মাইতি বলেন, ‘‘গত 2015 সালের 6 মে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মারা যায় 13 জন ৷ সেই ঘটনায় চলা মামলার শেষ পর্বে আজ সাজা ঘোষণা করল আদালত ৷ মূলত এই 3 জনের 15 বছরের সাজা ঘোষণা হয়েছে ৷ মোট 11 দফা সাজা ঘোষণা হয়েছে তাদের ৷ এই ঘটনায় মুর্শিদাবাদের শেখ সুরজের সঙ্গে পিংলার ব্রাহ্মণবাড় গ্রামের নিমাই মাইতি ও রঞ্জন মাইতি জড়িত ৷’’
তিনি জানিয়েছেন, অতিরিক্ত জেলা দায়রার বিচারক সেলিম সাহিল গত শনিবার তিন অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন ৷ আজ দোষীদের 15 বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং 10 হাজার টাকার জরিমানা করেছেন ৷ জরিমানার টাকা অনাদায়ে আরও 6 মাস কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে দোষী রঞ্জন মাইতি, নিমাই মাইতি এবং শেখ সুরজকে ৷
আরও পড়ুন: ভয়াবহ বিস্ফোরণে উড়ে গেল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ছাদ
8 বছর আগে ওই ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ব্রাহ্মণবাড়-সহ আশেপাশের গ্রাম ৷ যে ঘটনায় 13 জনের মৃত্যু হয় এবং আরও অনেকে আহত হয়েছিলেন ৷ বেআইনি বাজি কারখানা চালানো এবং বিস্ফোরণের মামলায় গ্রেফতার হন রঞ্জন মাইতি, নিমাই মাইতি এবং শেখ সুরজ ৷ এই মামলায় সিআইডি-কে তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল ৷ তদন্ত শেষে মামলার দীর্ঘ শুনানি চলে ৷ বাদি ও বিবাদি পক্ষের বক্তব্য এবং সাক্ষীদের বক্তব্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে দোষীদের সাজা ঘোষণা হল ৷
কিন্তু, সাজাপ্রাপ্ত নিমাই মাইতির স্ত্রী এই ঘটনায় চক্রান্তের অভিযোগ করেছেন ৷ তিনি জানান, রাজনীতির শিকার হয়েছেন তাঁর স্বামী ৷ তাঁর স্বামী তৃণমূল করেন ৷ আর যারা নিমাই মাইতিকে ফাঁসিয়েছে, তারা বর্তমানে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত ৷ এমনকি তদন্তকারী সিআইডি আধিকারিকরা পুরো চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন নিমাই মাইতির স্ত্রী সুলেখা ৷ তাঁকে 20 লক্ষ টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলে জানান ৷ তিনি হাইকোর্টে যাওয়ার কথা বলেছেন ৷