মনসুকা, 1 মে : টাকার বিনিময়ে শিক্ষক বদলির ঘটনায় কড়া অবস্থান নিয়েছে হাইকোর্ট । আর হাইকোর্টের নির্দেশেই ঘাটালের মনসুকা লক্ষ্মী নারায়ণ হাইস্কুলে সিআইডির টিম এল (CID at Mansuka Lakshmi Narayan High School) ৷ নেওয়া হল শিক্ষকের বয়ান । এ বিষয়ে 30 দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছিল হাইকোর্ট ।
জানা গিয়েছে, শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল থানার মনসুকা লক্ষ্মী নারায়ণ হাইস্কুলে যায় সিআইডির চার সদস্যর একটি টিম ৷ দলের নেতৃত্বে ছিলেন একজন ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসার । সূত্রের খবর, এদিন ঘাটালের মনসুকার ওই স্কুলে সিআইডির টিম পৌঁছে কথা বলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়ন্ত পালের সঙ্গে ৷ রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয় বলে জানা গিয়েছে । পাশাপাশি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য অভিযুক্ত অসিত গোস্বামীর সঙ্গে কথা বলে সিআইডির টিম ।
আরও পড়ুন : শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত মামলায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
উল্লেখ্য, ঘাটালের মনসুকা লক্ষ্মী নারায়ণ হাইস্কুলের এক সহকারী শিক্ষক গণেশ রজক তাঁর বদলির জন্য স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য অসিত গোস্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন । বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে দু'জনের কথপোকথনের ফোন রেকডিং প্রকাশ্য আসে । যাতে বদলির জন্য গণেশ রজককে 1 লক্ষ 25 হাজার টাকা দাবি করেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্য অসিত গোস্বামী বলে অভিযোগ করেন গণেশ রজক । ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন তিনি ।
গত 20 এপ্রিল হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে সেই মামলার শুনানি হয় । অভিযোগকারী শিক্ষকের আইনজীবী এজলাসে একটি অডিয়ো রেকর্ডিং পেশ করেন ৷ তা এজলাসে বসেই শোনেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় । সেখানে কথপোকথনে বদলির জন্য টাকার প্রসঙ্গ শোনা যায় । তারপরই সিআইডিকে এই মামলার তদন্তের নির্দেশ দেন এবং 30 দিনের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট তলব করেন বিচারপতি । সেই ঘটনার তদন্ত করতেই সিআইডি সংশ্লিষ্ট স্কুলে হানা দেয় ।