বেলদা, 1 ফেব্রুয়ারি : শ্বশুর বাড়িতেই গৃহবধূর শরীরে অগ্নিসংযোগ ৷ গতকাল দুপুরে ওই যুবতিকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে গ্রামবাসীরা ৷ গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ কিন্তু শারীরিক অবস্থা গুরুতর বুঝে যুবতিকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয় ৷ কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি ৷ গতকাল রাতে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর ৷ বছর 22-এর ওই যুবতির নাম হেনা বিবি ৷ পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানার জোড়াগেরিয়া ফাঁড়ির অন্তর্গত সাবড়া এলাকার ঘটনা ৷
হেনার বাপের বাড়ির পরিবারের তরফে এই ঘটনার জন্য হেনার শাশুড়ি ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷ ইতিমধ্যেই গৃহবধূর শ্বশুর-শাশুড়িকে আটক করেছে বেলদা থানার পুলিশ ৷ চলছে তদন্ত ৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন হেনা বিবি ও তাঁর শ্বশুর-শাশুড়ি ৷ হেনার শওহরের নাম শেখ রিঙ্কু ৷ কর্মসূত্রে তিনি ভিন্নরাজ্যে থাকেন ৷ স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, দুপুরে হেনার শ্বাশুড়ির চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা জড়ো হন ৷ দেখতে পান হেনা অগ্নিদগ্ধ হয়েছে ৷ শরীরের প্রায় 80 শতাংশ পুড়ে যায় ৷ সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারা যুবতিকে উদ্ধার করে বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় ৷ সেখান থেকে তাঁকে রেফার করা হয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৷ তারপরই গতকাল রাতে মৃত্যু হয় তাঁর ৷
আরও পড়ুন : উত্তরপ্রদেশে উদ্ধার খাটিয়ায় বাঁধা দগ্ধ দেহ, পাশে খালি কার্তুজ
কী করে আগ্নিসংযোগ হল গৃহবধূর শরীরে ? পুলিশ সূত্রে খবর, সে বিষয়ে কোনও উত্তর দিতে পারেননি হেনা বিবির শাশুড়ি ৷ পুলিশি জেরায় তিনি জানিয়েছেন, কীভাবে বৌমার শরীরে আগুন লাগে আমি জানি না। আমি যখন বৌমাকে ডাকাডাকি করি তখন দেখতে পাই তাঁর শরীরে আগুন লেগে গেছে ৷ আমি তা দেখে চিৎকার করি । ওইদিন বৌমার সঙ্গে কোনও ঝগড়া-অশান্তি হয়নি বলেও পুলিশি জেরায় জানিয়েছেন হেনার শাশুড়ি ৷ তবে কী করে অগ্নি সংযোগ হল হেনার শরীরে ? নাকি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে হেনা ? তদন্ত করছে বেলদা থানার পুলিশ ৷