মেদিনীপুর, 12 অগস্ট : বিজেপি মহিলা মোর্চার আইন অমান্য কর্মসূচি ঘিরে উত্তপ্ত হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা ৷ ধস্তাধস্তিতে জখম হলেন মহিলা মোর্চার অন্তত 20 জন সদস্যা ৷ বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে গিয়ে কার্যত নাকানিচোবানি খেতে হল পুলিশকে ৷ কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি-সহ অন্যরা ৷ তাঁদের বক্তব্য, রাজ্য়ে ভোট পরবর্তী হিংসায় সবথেকে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন মহিলারাই ৷ তারই প্রতিবাদে এদিনের এই কর্মসূচি ৷
আরও পড়ুন : নিমতার খুনের ঘটনা প্রতিবাদে রায়গঞ্জে ধিক্কার মিছিলে বিজেপির মহিলা মোর্চা
বিজেপির অভিযোগ, রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার গঠিত হতেই হিংসা ছড়িয়েছে ৷ শুধুমাত্র বিজেপি করায় আক্রান্ত হতে হচ্ছে অসংখ্য মহিলাকে ৷ তারই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরে আইন অমান্য কর্মসূচি পালন করল বিজেপির মহিলা মোর্চা ৷ এদিন নেতৃত্বের উপস্থিতিতেই জেলাশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখান কয়েকশো মহিলা ৷ মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুলও সঙ্গে নিয়ে আসেন তাঁরা ৷ বিক্ষোভ চলাকালীন সেই কুশপুতুল নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে যায় ৷ পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বাধা দিলে শুরু হয় ধস্তাধস্তি ৷ এর জেরে মহিলা মোর্চার অন্তত 20 জন সদস্যা জখম হন ৷
আরও পড়ুন : "বাংলার নারীদের সুরক্ষা দিতে পারছে না তৃণমূল সরকার": বিজয়া রাহাতকর
আহত মহিলাদের অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছে ৷ প্রতিবাদে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন মহিলা মোর্চার সদস্যারা ৷ বিজেপি মহিলা মোর্চার নেত্রী শম্পা মণ্ডল এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমরা যখন শান্তিপূর্ণভাবে আইন অমান্য করছিলাম, সেই সময় পুলিশ আমার পোশাক ছিঁড়ে দেয় ৷ আমার চুল ধরে টানা হয় ৷ আগেও আমরা বিভিন্নভাবে আক্রান্ত হয়েছি ৷ শাসকদলের সদস্যদের হাতে আমাদের আক্রান্ত হতে হয়েছে ৷ কিন্তু থানা অভিযোগটুকু পর্যন্ত নেয়নি ৷ আমি নিজে বারবার মেদিনীপুর শহরে আক্রান্ত হয়েছি ৷ আজ আবারও আক্রান্ত হলাম পুলিশের হাতে ৷ আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং দোষীদের শাস্তি দাবি করছি ৷’’ এদিন ঘণ্টা খানেক অবস্থান বিক্ষোভ করেন বিজেপির মহিলা মোর্চার সদস্যারা ৷ পরে পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায় ৷