ঝাড়গ্রাম, 15 অক্টোবর: ব্যাংকের এক গ্রাহককে লাঠি দিয়ে মারধরের অভিযোগে তিন সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করল নয়াগ্রাম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়াররা হলেন সঞ্জীব মাহাতো, রাকেশ মাহাতো এবং বসন্ত মাহাতো (Civic Volunteers arrested after beating bank customer)। তিনজনেরই বাড়ি নয়াগ্রাম থানার অন্তর্গত ধুমসাই গ্রামে (Dhumsai Village)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নয়াগ্রাম ব্লকের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা বিজয় শি গত শুক্রবার ধুমসাই পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের (Punjab National Bank) সিএসপি সেন্টারে গিয়েছিলেন। তিনদিন ধরে বিজয় ওই সেন্টারে গিয়ে কাজ না-হওয়ায় বাড়ি ফিরে আসছিলেন। গতকাল অর্থাৎ, শুক্রবার ফের কাজ না-হওয়ায় বিজয় উত্তেজিত হয়ে পড়েন। ব্যাঙ্কের এক কর্মীর সঙ্গে বচসা শুরু হয়। রাগের বশে সে কম্পিউটার ও টেবিল চাপড়াতে থাকে ৷ এই ঘটনা দেখে সিএসপি সেন্টারের দায়িত্বে থাকা এক সিভিক ভলেন্টিয়ার বিজয়কে সেন্টারের বাইরে বের করে আনেন। তারপর সিভিক ভলান্টিয়ারকে গালিগালাজ শুরু করেন বিজয়। সে সময় ধুমসাই বাজারে থাকা আরও দুই সিভিক ভলান্টিয়ার এসে বিজয়কে মারধর শুরু করে। নিমেষে সেই মারধরের ছবি ভাইরাল হয়ে যায় ৷
আরও পড়ুন: সিনেমা নয় ঘোর বাস্তব, গলায় ছুরি ঠেকিয়ে থানার সামনে ঠায় দাঁড়িয়ে যুবক !
খবর পেতেই রামকৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দারা ধুমসাই এলাকায় যেতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ৷ এরপর বিজয়ের দাদা ত্রিজয় শি নয়াগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে নয়াগ্রাম থানার পুলিশ জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে। শনিবার ভোররাতে ধুমসাই এলাকার বাড়ি থেকে তিন সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জীব মাহাতো, রাকেশ মাহাতো ও বসন্ত মাহাতোকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিজয় শি-কে মারধরের পর নয়াগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। শনিবার ঝাড়গ্রামের সিজেএম বিচারকের এজলাসে তোলা হলে বিচারক 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।