আসানসোল, 20 ফেব্রুয়ারি: বুধবার থেকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে শুরু হল হিমোফিলিয়া চিকিৎসার পরিষেবা৷ দীর্ঘদিন ধরেই জেলার হিমোফিলিয়া রোগীদের দাবি ছিল, আসানসোল জেলা হাসপাতালে হিমোফিলিয়া রোগের চিকিৎসা ও ফ্যাক্টর ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরিষেবা শুরু করার৷
হিমোফিলিয়া। মূলত জিনগত রোগ। শরীরের ভিতরে বা বাইরে যে কোনও জায়গায় হতে পারে রক্তক্ষরণ। হিমোফিলিয়ার রোগীরা কোথাও সামান্য আঘাত পেলেই তা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। রক্ত বন্ধ করতে জরুরিভিত্তিতে দিতে হয় ফ্যাক্টর এইট, নাইন ইঞ্জেকশন৷ কিন্তু সরকারি হাসপাতালে এই ইঞ্জেকশন দেওয়ার সুবিধে না থাকায় এতদিন বাড়িতেই এই ফ্যাক্টর এইট বা নাইন ইঞ্জেকশন কিনে রাখতে হত রোগীদের৷
জেলায় এখনও পর্যন্ত ২৮২ জন হিমোফিলিয়া রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। যদিও হিমোফিলিয়া সোসাইটির আশঙ্কা, দক্ষিণবঙ্গে ১০০০ জনের বেশি মানুষের এই রোগ আছে। সচেতনতা ও চিকিৎসার অভাবের কারণেই এই রোগের কথা অনেকে জানেন না৷ হাসপাতালের সুপার নিখিলচন্দ্র দাস জানিয়েছেন, "আগে রোগীদের বর্ধমান কিংবা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ যেতে হত ফ্যাক্টর ইঞ্জেকশন নিতে। এবার থেকে আসানসোল জেলা হাসপাতালেই মিলবে এই ইঞ্জেকশন। আপৎকালীনভাবে এই কেন্দ্রে রোগীরা পরিষেবা পাবেন।"
এক রোগী সুশান্ত মুখোপাধ্যায় জানান, "আমাদের বাড়িতে ৫০-৬০ হাজার টাকা দামের ইঞ্জেকশন মজুত রাখতে হত। বিপদের কথা মাথায় রেখে৷ সরকারি হাসপাতালে এই পরিষেবা মিললে আমরা খুবই উপকৃত হব।"
আসানসোল জেলা হাসপাতালে হিমোফিলিয়া কেন্দ্র গড়ে ওঠায় খুশি হিমোফিলিয়া রোগীরা।