খাকুড়দা, 17 অক্টোবর: দিনক'য়েক পরই কালীপুজো এবং দীপাবলির (Kali Puja 2022) আনন্দে মেতে উঠবে দেশ ৷ গোটা রাজ্যের সঙ্গে আলোর রোশনাইয়ে ভরে উঠবে জঙ্গলমহলও। আর এখন চিনা লাইটের দাপটের মাঝেও মাটির প্রদীপ বানিয়ে চলেছেন কুমোর পাড়ার শিল্পীরা । কারণ এক শ্রেণির মানুষের কাছে যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে এই মাটির প্রদীপের। শিল্পীদের আশা মহামারীর খরা কাটিয়ে দু'বছর পর বাজার জমে উঠবে তাদের হাতে তৈরি মাটির প্রদীপের (Artisans hoping Clay lamps to do good business) ।
আসন্ন আলোর উৎসব দীপাবলির আগে তাই কুমোরপাড়াতে জোরকদমে চলছে মাটির প্রদীপ তৈরির কাজ । কুমোরের চরকিতে নোংরা-আবর্জনা মুক্ত স্বচ্ছ মাটিতে গড়ে উঠছে বিভিন্ন নকশার একাধিক মাপের ছোট ও বড় প্রদীপ । সেই চিত্রই ধরা পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লকের খাকুড়দাতে ।
বর্তমান আবহাওয়া অনুকূল থাকায় প্রদীপ তৈরি করতে বিশেষ বেগ পেতে হচ্ছে না মৃৎশিল্পীদের । সময়মতো প্রদীপগুলিকে তৈরি করে রৌদ্রে শুকিয়ে নিচ্ছেন তাঁরা। সেইসঙ্গে চলছে পুজোর জন্য ব্যবহৃত অন্যান্য মাটির সামগ্রী তৈরির কাজও । আর এখন থেকেই কুমোরপাড়াতে দেখা যাচ্ছে প্রদীপের চাহিদা । তাই দ্রুত ব্যস্ততার সঙ্গে চলছে সেই প্রদীপ তৈরির কাজ ।
যদিও বর্তমান বাজারে টুনি বাল্বের দাপটে হারিয়ে যেতে বসেছে মাটির প্রদীপগুলি, মনে করেছে অনেকে । তবে মৃৎশিল্পীর দাবি, যতই আধুনিক টুনি বাল্ব আসুক না কেন বাজারে, যারা মাটির জিনিস ব্যবহার করেন তাঁরা করবেনই । ফলে মাটির প্রদীপের চাহিদা বরাবরই ছিল এবং থাকবে (Kali Puja market) ।
মৃৎশিল্পী ভানুচরণ বেরা জানান, সারা বছর ধরে এই মাটির কাজ করেন তাঁরা । তবে লকডাউন পরিস্থিতিতে তাঁদের বিক্রি-বাট্টা একটু খারাপ অবস্থায় ছিল । বর্তমানে কালীপুজোর আগে থেকে প্রদীপ-সহ মাটির অন্যান্য সামগ্রীর চাহিদা বেড়েছে । সব মিলিয়ে খাকুড়দাতে শ্যামা মায়ের আরাধনা ও দীপাবলির আগে কুমোরপাড়াতে দেখা গিয়েছে ব্যস্ততার চিত্র ।
আরও পড়ুন: আবহাওয়া খারাপ, তড়িঘড়ি দিওয়ালি পুতুল তৈরিতে ব্যস্ত কুমোরপাড়া
শুধু মাটির প্রদীপ না, কুমোর পাড়ায় ইতিমধ্যেই চলছে দেওয়ালি পুতুল, মাটির তুবড়ি-সহ বিভিন্ন আলোর রোশনাই ভরা সামগ্রী তৈরির কাজ । আর এই ঝলমলে আবহাওয়াতে খাওয়া-দাওয়া ভুলে মৃৎশিল্পীরা লেগে পড়েছেন তাঁদের হস্তশিল্পের কাজে ।