ETV Bharat / state

মেদিনীপুরের অত্যাচারী জেলাশাসকদের জন্য এপ্রিল ছিল নির্মম

1930-1932, পরপর তিন বছর তিন অত্যাচারী জেলাশাসক তথা পেডি, ডগলাস ও বার্জকে সমাধিস্ত করা হয় মেদিনীপুরের শেখপুরা গির্জার মাঠে । সমাধিস্থানে তাদের শ্রদ্ধা জানাতে আসতেন তাদের আত্মীয়স্বজনেরা । পেরিয়ে গেছে অনেকটা সময় । দীর্ঘ 89 বছর পর সেই সমাধিস্থল পড়ে রয়েছে অবহেলায় ও অনাদরে । যদিও অত্যাচারী ওই জেলাশাসকদের কেউই পছন্দ করতেন না । তবুও অত্যাচারী এই তিন শাসক বাংলার স্বাধীনতার ইতিহাসের এমন একটি অধ্যায় যা শত চেষ্টা করেও ভোলার নয় ।

স্বাধীনতা দিবস
author img

By

Published : Aug 15, 2019, 5:01 AM IST

Updated : Aug 21, 2019, 11:31 PM IST

মেদিনীপুর, 15 অগাস্ট : সময়টা 1931 সাল । তখন থেকেই বাংলা থেকে ইংরেজদের বিতাড়িত করার চেষ্টা শুরু হয়ে যায় জোরকদমে । সেসময় বাংলার মানুষের ওপর ইংরেজদের অত্যাচার পৌঁছেছিল চরম পর্যায় । নির্দিষ্ট করে বলাই যায়, সেসময় সবচেয়ে বেশি অত্যাচারিত হয়েছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিস্তীর্ণ অংশের বিপ্লবীরা । তাঁদের মধ্যে অন্যতম কয়েকটি নাম ক্ষুদিরাম বসু, মাতঙ্গিনী হাজরা, প্রদ্যুৎ ভট্টাচার্য, ঋষি অরবিন্দ ঘোষ, মৃগেন দত্ত ।

মেদিনীপুর জেলার বিপ্লবীদেরকে অত্যাচারের মাপকাঠিতে শীর্ষে আসে যে নাম তা হল তৎকালীন জেলাশাসক পেডি । 1930 সালে জেলাশাসক হিসাবে মেদিনীপুরে আসেন পেডি । শুরু হয় অকথ্য অত্যাচার । হিজলি নিবাসে নিরস্ত্র বন্দীদের ওপর গুলি চালানোয় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনিই । এমতবস্থায় জেলার বিপ্লবীরা অত্যাচারী পেডিকে মারার জন্য পরিকল্পনা করেন । 1931 সালের 7 এপ্রিল । মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলে প্রদর্শনী চলাকালীন বিপ্লবীরা হত্যা করলেন পেডিকে । তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করলেন বিপ্লবী বিমল দাশগুপ্ত ও বিপ্লবী জ্যোতিজীবন ঘোষ । শেষ হয় এক অত্যাচারী জেলাশাসকের অধ্যায় ।

পেডির পর জেলাশাসক হয়ে আসেন ডগলাস । অত্যাচারের মাপকাঠিতে যুক্ত হয় আরও একটি নাম । অবস্থার বদল আনতে বিপ্লবীরা প্রকাশ্যে হুমকি দেন, বাংলায় কোনও ইংরেজ জেলাশাসককে জেলাশাসক পদে থাকতে দেওয়া হবে না । এই ঘটনার পর ডগলাস একটু সতর্ক হয়েছিলেন । কিন্তু তাঁর অত্যাচার কমেনি । 1932 সালের 30 এপ্রিল । ডগলাসের পরিণতি হয় সেই পেডিরই মতো । জেলা পরিষদের সভাগৃহে সভা চলাকালীন বিপ্লবী প্রদ্যুৎ ভট্টাচার্য্য ও বিপ্লবী প্রভাংশু পাল প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে হত্যা করলেন ডগলাসকে । পরপর দুই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই ইংরেজ মহলে তৈরি হয় আতঙ্কের পরিবেশ । সেসময় ইংরেজদের মধ্যে একটি কথা বহুল প্রচলিত হয় । যা হল, "চিল্ড্রেন স্লিপ স্লিপ, অ্যানাদার এপ্রিল ইজ় কামিং ।"

দেখুন ভিডিয়ো

ডগলাসের পর আসেন ইংরেজ জেলাশাসক বার্জ । অত্যাচার অপরিবর্তিত । গত দুটি ঘটনার জেরে নিজেকে নিরাপত্তার বলয়ে ঘিরে রাখতে শুরু করেন বার্জ । এরপর আসে এপ্রিল মাস । ঘটল না কিছুই । বিপ্লবীরা মারলেন না কাউকেই । তিনি ভাবলেন, এপ্রিল মাস পেরিয়ে গেছে । ভয়ের আর কোনও কারণ নেই । কিন্তু 1933 সালে 2 সেপ্টেম্বর । মেদিনীপুর পুলিশ লাইন মাঠে চলছিল খেলা । সেখানে সন্ধ্যাবেলায় পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে আসেন ইংরেজ জেলাশাসক বার্জ । ফের ঘটে সেই ঘটনা । এবার নামদুটি বিপ্লবী অনাথবন্ধু পাঁজা ও মৃগেন দত্ত ।

1930-1932, পরপর তিন বছর তিন অত্যাচারী জেলাশাসক তথা পেডি, ডগলাস ও বার্জকে সমাধিস্ত করা হয় মেদিনীপুরের শেখপুরা গির্জার মাঠে । সমাধিস্থানে তাদের শ্রদ্ধা জানাতে আসতেন তাদের আত্মীয়স্বজনেরা । পেরিয়ে গেছে অনেকটা সময় । দীর্ঘ 89 বছর পর সেই সমাধিস্থল পড়ে রয়েছে অবহেলায় ও অনাদরে । যদিও অত্যাচারী ওই জেলাশাসকদের কেউই পছন্দ করতেন না । তবুও অত্যাচারী এই তিন শাসক বাংলার স্বাধীনতার ইতিহাসের এমন একটি অধ্যায় যা শত চেষ্টা করেও ভোলার নয় ।

এপ্রসঙ্গে ইতিহাস গবেষক ডঃ মধুপ দে-র কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "যদিও ওই তিন ইংরেজ জেলাশাসক নিজেদের কাজকর্মের জন্য কুখ্যাত ছিলেন, শাসন ও শোষণনীতি চালিয়েছিলেন বাংলার ওপর । তবুও আজ আমরা যখন ওই সমাধিস্থলের আশেপাশে যাই, মনে একটা অদ্ভূত রোমাঞ্চ হয় । সেই সময়ের কথা ভাবলেই মনে পড়ে যায় আমাদের বাংলার বিপ্লবীদের ।"

মেদিনীপুর, 15 অগাস্ট : সময়টা 1931 সাল । তখন থেকেই বাংলা থেকে ইংরেজদের বিতাড়িত করার চেষ্টা শুরু হয়ে যায় জোরকদমে । সেসময় বাংলার মানুষের ওপর ইংরেজদের অত্যাচার পৌঁছেছিল চরম পর্যায় । নির্দিষ্ট করে বলাই যায়, সেসময় সবচেয়ে বেশি অত্যাচারিত হয়েছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিস্তীর্ণ অংশের বিপ্লবীরা । তাঁদের মধ্যে অন্যতম কয়েকটি নাম ক্ষুদিরাম বসু, মাতঙ্গিনী হাজরা, প্রদ্যুৎ ভট্টাচার্য, ঋষি অরবিন্দ ঘোষ, মৃগেন দত্ত ।

মেদিনীপুর জেলার বিপ্লবীদেরকে অত্যাচারের মাপকাঠিতে শীর্ষে আসে যে নাম তা হল তৎকালীন জেলাশাসক পেডি । 1930 সালে জেলাশাসক হিসাবে মেদিনীপুরে আসেন পেডি । শুরু হয় অকথ্য অত্যাচার । হিজলি নিবাসে নিরস্ত্র বন্দীদের ওপর গুলি চালানোয় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনিই । এমতবস্থায় জেলার বিপ্লবীরা অত্যাচারী পেডিকে মারার জন্য পরিকল্পনা করেন । 1931 সালের 7 এপ্রিল । মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলে প্রদর্শনী চলাকালীন বিপ্লবীরা হত্যা করলেন পেডিকে । তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করলেন বিপ্লবী বিমল দাশগুপ্ত ও বিপ্লবী জ্যোতিজীবন ঘোষ । শেষ হয় এক অত্যাচারী জেলাশাসকের অধ্যায় ।

পেডির পর জেলাশাসক হয়ে আসেন ডগলাস । অত্যাচারের মাপকাঠিতে যুক্ত হয় আরও একটি নাম । অবস্থার বদল আনতে বিপ্লবীরা প্রকাশ্যে হুমকি দেন, বাংলায় কোনও ইংরেজ জেলাশাসককে জেলাশাসক পদে থাকতে দেওয়া হবে না । এই ঘটনার পর ডগলাস একটু সতর্ক হয়েছিলেন । কিন্তু তাঁর অত্যাচার কমেনি । 1932 সালের 30 এপ্রিল । ডগলাসের পরিণতি হয় সেই পেডিরই মতো । জেলা পরিষদের সভাগৃহে সভা চলাকালীন বিপ্লবী প্রদ্যুৎ ভট্টাচার্য্য ও বিপ্লবী প্রভাংশু পাল প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে হত্যা করলেন ডগলাসকে । পরপর দুই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই ইংরেজ মহলে তৈরি হয় আতঙ্কের পরিবেশ । সেসময় ইংরেজদের মধ্যে একটি কথা বহুল প্রচলিত হয় । যা হল, "চিল্ড্রেন স্লিপ স্লিপ, অ্যানাদার এপ্রিল ইজ় কামিং ।"

দেখুন ভিডিয়ো

ডগলাসের পর আসেন ইংরেজ জেলাশাসক বার্জ । অত্যাচার অপরিবর্তিত । গত দুটি ঘটনার জেরে নিজেকে নিরাপত্তার বলয়ে ঘিরে রাখতে শুরু করেন বার্জ । এরপর আসে এপ্রিল মাস । ঘটল না কিছুই । বিপ্লবীরা মারলেন না কাউকেই । তিনি ভাবলেন, এপ্রিল মাস পেরিয়ে গেছে । ভয়ের আর কোনও কারণ নেই । কিন্তু 1933 সালে 2 সেপ্টেম্বর । মেদিনীপুর পুলিশ লাইন মাঠে চলছিল খেলা । সেখানে সন্ধ্যাবেলায় পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে আসেন ইংরেজ জেলাশাসক বার্জ । ফের ঘটে সেই ঘটনা । এবার নামদুটি বিপ্লবী অনাথবন্ধু পাঁজা ও মৃগেন দত্ত ।

1930-1932, পরপর তিন বছর তিন অত্যাচারী জেলাশাসক তথা পেডি, ডগলাস ও বার্জকে সমাধিস্ত করা হয় মেদিনীপুরের শেখপুরা গির্জার মাঠে । সমাধিস্থানে তাদের শ্রদ্ধা জানাতে আসতেন তাদের আত্মীয়স্বজনেরা । পেরিয়ে গেছে অনেকটা সময় । দীর্ঘ 89 বছর পর সেই সমাধিস্থল পড়ে রয়েছে অবহেলায় ও অনাদরে । যদিও অত্যাচারী ওই জেলাশাসকদের কেউই পছন্দ করতেন না । তবুও অত্যাচারী এই তিন শাসক বাংলার স্বাধীনতার ইতিহাসের এমন একটি অধ্যায় যা শত চেষ্টা করেও ভোলার নয় ।

এপ্রসঙ্গে ইতিহাস গবেষক ডঃ মধুপ দে-র কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "যদিও ওই তিন ইংরেজ জেলাশাসক নিজেদের কাজকর্মের জন্য কুখ্যাত ছিলেন, শাসন ও শোষণনীতি চালিয়েছিলেন বাংলার ওপর । তবুও আজ আমরা যখন ওই সমাধিস্থলের আশেপাশে যাই, মনে একটা অদ্ভূত রোমাঞ্চ হয় । সেই সময়ের কথা ভাবলেই মনে পড়ে যায় আমাদের বাংলার বিপ্লবীদের ।"

Intro:তিন কুখ্যাত ইংরেজ জেলাশাসক কে হুমকি দিয়ে প্রকাশ্য দিবালকে গুলি করে হত্যা করেছিল জেলার বিপ্লবীরা ,73 তম স্বাধীনতার প্রাক্কালে তাদের সমাধির কাছ দিয়ে গেলে আজ ও শিহরণ জাগায়


Body:তিন কুখ্যাত ইংরেজ জেলাশাসক কে হুমকি দিয়ে প্রকাশ্য দিবালকে গুলি করে হত্যা করেছিল জেলার বিপ্লবীরা ,73 তম স্বাধীনতার প্রাক্কালে তাদের সমাধির কাছ দিয়ে গেলে আজ ও শিহরণ জাগায় l

সালটা হবে হাজার 1931 সাল নাগাদ ,তখন বাংলায় ইংরেজদের কে তাড়ানোর একটা হিড়িক শুরু হয়েছে l যদিও সে সময় সবচেয়ে বেশি অত্যাচার চালিয়েছিল ইংরেজরা এ বাংলায়, এ বাংলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি অত্যাচারিত হয়েছে বাংলার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিস্তীর্ণ অংশের বিপ্লবীরা l বিশেষ করে ক্ষুদিরাম বসু, মাতঙ্গিনী হাজরা ,প্রদ্যুৎ ভট্টাচার্য ,ঋষি অরবিন্দ ঘোষ ,মৃগেন দত্তরা l সেই সময় ইংরেজ জেলাশাসক যারা এসেছিলেন তারাই বাংলার বিপ্লবী দের উপর তীব্র অত্যাচার নামিয়ে এনেছিল l বিশেষভাবে এই জেলার জেলা শাসক হিসেবে অত্যাচারে সর্ব প্রথমে নাম রয়েছে ইংরেজ কুখ্যাত জেলাশাসক পেডি , 1930সালে এই জেলার জেলা শাসক হিসেবে আসেন ইংরেজ জেলাশাসক পেডি l পেডি জেলাশাসক হয়েই অত্যাচার শুরু করে l বিশেষ করে এই সময় হিজলি নিবাসে নিরস্ত বন্দিদের ওপর গুলি চালানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভূমিকা ছিল পেডির l এমতঅবস্থায় পেডি কে মারতে তৈরি হতে শুরু করল বাংলার বিপ্লবীরা l 1931 সালে 7ই এপ্রিল মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলে প্রদর্শনী চলাকালীন বিপ্লবী বিমল দাশগুপ্ত ও বিপ্লবী জ্যোতি জীবন ঘোষ সরাসরি সন্ধ্যেবেলায় হত্যা করলেন পেডি কে গুলি করে l এই ঘটনার পর ফের জেলাশাসক হয়ে আসেন ডগলাস l ডগলাস ইংরেজ জেলাশাসক হয়ে পেডির মতো অত্যাচারীর ভূমিকা নেন ,এই বাংলার বিপ্লবী দের উপর তিনি ও ব্যাপক অত্যাচার শুরু করেন l তখন বিপ্লবীরাও মনে প্রাণে এবং প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বসে বাংলায় কোন ইংরেজ জেলাশাসককে জেলাশাসক পদে থাকতে দেবেন না l ডগলাস প্রথম থেকে একটু সতর্ক হয়েছিলেন কিন্তু 1 932 সালে 30 শে এপ্রিল ঠিক এক বছর পর জেলা পরিষদের সভা গৃহে সভা চলাকালীন বাংলার বীর বিপ্লবী প্রদ্যুৎ ভট্টাচার্য্য ও প্রভাংশু পাল তাকে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে হত্যা করেন l এই ঘটনায় সেই সময় ইংরেজ মহলে পড়ে গিয়েছিল আতঙ্কের পরিবেশ l ইংরেজদের মধ্যে একটি কথা সেই সময় ব্যাপক প্রচলিত হয় চিল্ড্রেন স্লিপ স্লিপ ,অ্যানাদার এপ্রিল ইজ কামিং l ডগলাসের পর ফের জেলার জেলাশাসক হয়ে আসেন ইংরেজ জেলাশাসক বার্জ l পরপর দু'বছর ইংরেজ জেলাশাসক হত্যার ঘটনায় ইংরেজ মহলে আতঙ্কের পরিবেশ ছিল বাংলা বিপ্লবীদের ঘিরে l তাই ইংরেজ জেলাশাসক বার্জ জেলাশাসক হয়ে আসা মাত্রই প্রথম থেকে সাবধানতা অবলম্বন করে l তিনি যেখানেই যেতেন সেখানেই অনেক প্রহরী নিয়ে যেতেন l বিশেষ করে পরপর দু'বছর এপ্রিল মাসে যেভাবে দুই ইংরেজ কুখ্যাত জেলাশাসক কে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় তাতে ভয় পেয়ে এপ্রিল মাস টা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন জেলাশাসক বার্জ l 1933 সালে এপ্রিল মাসে বিপ্লবীরা বার্জ কে গুলি করে মারলেন না ,বার্জ্ ভাবলো এপ্রিল মাস পেরিয়ে গিয়েছে তাই আর ভয়ের কোন কারণ নেই l কিন্তু 1933 সালে 2রা সেপ্টেম্বর মেদিনীপুর পুলিশ লাইন মাঠে একটি খেলা চলছিল l সেখানে সন্ধ্যেবেলায় পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠান আসেন ইংরেজ জেলাশাসক বার্জ l সেখানেই গাড়ি থেকে নেমে যখন তিনি মঞ্চে উঠছিলেন সেই সময় তাকে প্রকাশ্যে গুলি করেন বাংলার বিপ্লবী অনাথবন্ধু পাঁজা ও মৃগেন দত্ত l

এইভাবে পরপর তিন বছর তিন কুখ্যাত ইংরেজ জেলাশাসককে তাদের উচিত শিক্ষা দিতে বাংলার বিপ্লবীরা প্রকাশ্যে গুলি করে l সেই ইংরেজ দের অর্থাৎ পেডি, ডগলাস এবং বার্জের সমাধি করা হয় মেদিনীপুরের শেখপুরা গির্জার মাঠে l সেই সময় এই তিন ইংরেজ জেলাশাসকের সমাধিস্থলে স্মরণ করতে এবং শ্রদ্ধা জানাতে ইংরেজরা আসতেন এবং পেডি ডগলাস ও বার্জের আত্মীয়স্বজনেরা ওই সমাধিস্থল এই সম্মান জানাতেন কিন্তু সালটা পেরিয়ে আস্তে আস্তে স্বাধীনতার পর দীর্ঘ 72 বছর পর আজও সেই সমাধিস্থল পড়ে রয়েছে অবহেলা এবং অনাদরে l যদিও কুখ্যাত জেলাশাসককে কেউই পছন্দ করেন না কিন্তু ইতিহাসের একটা অধ্যায় যা কোনদিন অস্বীকার করা যাবে না l ইতিহাস গবেষক ডঃ মধুপ দে জানান যদি ও ওই 3 ইংরেজ জেলাশাসক কুখ্যাত ছিলেন ,নিজেদের কাজকর্মের জন্য l তারা শাসন ও শোষণ নীতি চালিয়েছিলেন বাংলার বিপ্লবী দের উপর l তবুও আজ আমরা যখন সে সমাধিস্থল এর আশেপাশে যায় আমাদের মনে একটা রোমাঞ্চকর সৃষ্টি হয় অর্থাৎ আমরা এখনো রোমাঞ্চিত হই l সেই সময়ের কথা ভাবলেই মনে পড়ে যায় আমাদের বাংলার বিপ্লবী দের সেই স্মৃতি l আজ গাছপালা এবং নোংরা আবর্জনার মধ্য দিয়ে পড়ে রয়েছে তিন ইংরেজ জেলাশাসকের সমাধিস্থল ,যা 73 তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে রোমাঞ্চকর পরিবেশের সৃষ্টি করেছে এই জেলার মানুষদের l


Conclusion:তিন কুখ্যাত ইংরেজ জেলাশাসক কে হুমকি দিয়ে প্রকাশ্য দিবালকে গুলি করে হত্যা করেছিল জেলার বিপ্লবীরা ,73 তম স্বাধীনতার প্রাক্কালে তাদের সমাধির কাছ দিয়ে গেলে আজ ও শিহরণ জাগায়
Last Updated : Aug 21, 2019, 11:31 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.