কেশিয়াড়ি, 24 জুন : রাত জেগে লাইনে দাঁড়িয়েও মেলেনি করোনার টিকা ৷ উপরন্তু, প্রশাসনের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে ছড়ায় বিভ্রান্তি ৷ যদিও এই ঘটনায় তাদের তরফে কোনও ভুল হয়নি বলেই নাকি দাবি করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ৷ বুধবারের ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে ৷
রাতভর লম্বা লাইনে অপেক্ষার পরও করোনার টিকা পাননি এলাকার বাসিন্দারা ৷ আর তার জেরেই অশান্তি ছড়ায় কেশিয়াড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল চত্বরে ৷ অপেক্ষারতদের দাবি, তাঁদের অনেকেই আগের রাত থেকে টিকার লাইনে এসে দাঁড়িয়েছেন ৷ কিন্তু পরে আমজনতার মধ্যে কেবলমাত্র ষাটোর্ধ্বদেরই টিকা দেওয়া হবে বলে হাসপাতালের তরফে জানানো হয় ৷ আর 18 থেকে 44 বছর বয়সীদের মধ্যে কেবলমাত্র সুপার স্প্রেডাররাই ভ্য়াকসিন পাবেন বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৷ এই বিষয়ে প্রশাসনের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তিও দেখানো হয় টিকা নিতে আসা মানুষজনকে ৷ আর সেকথা জানার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অপেক্ষারতরা ৷ হাসপাতাল চত্বরেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা ৷
আরও পড়ুন : ট্রেকিং করে দুকপা জনজাতির টিকাকরণ আলিপুরদুয়ার জেলাশাসকের
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, বুধবার কাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, সেই সংক্রান্ত একটা বিজ্ঞপ্তি মঙ্গলবারই জারি করেছিল তারা ৷ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, মোট 300 জন বুধবার ভ্যাকসিন পাবেন ৷ যাঁদের মধ্যে 18 থেকে 44 বছর বয়সী 100 জনকে টিকা দেওয়া হবে। এবং সেক্ষেত্রেও যাঁরা সুপার স্প্রেডার, তাঁদেরই টিকা দেওয়া হবে বা তাঁরাই টিকাকরণে অগ্রাধিকার পাবেন ৷
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যুক্তি, স্থানীয় বাসিন্দারা পুরো বিজ্ঞপ্তি ভালো করে না পড়েই টিকা নিতে চলে আসেন ৷ আর তার জেরেই ছড়ায় বিভ্রান্তি ৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এই হাসপাতালে বুধবার পর্যন্ত 18 থেকে 44 বছর বয়সীদের (সাধারণ বাসিন্দাদের ক্ষেত্রে) টিকাকরণ চালুই হয়নি ৷ বিজ্ঞপ্তিতে সে কথা উল্লেখও করা আছে। কিন্তু, তা না দেখেই অহেতুক অনেকে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন ৷
আরও পড়ুন : কাঁথির সুন্নিজামে মসজিদে খোলা হল করোনা টিকাকরণ কেন্দ্র
অন্যদিকে, ভ্যাকসিন নিতে আসা মানুষজনের অভিযোগ, রাত দু’টো থেকে লাইন দিতে হচ্ছে ৷ সকাল পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও কিছু জানানো হয়নি ৷ বেলা সাড়ে ন’টার পর ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের তালিকা অনুযায়ী ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৷ পাঁচ শতাধিক মানুষ হাজির হয়েছিলেন টিকা নেওয়ার জন্য । শারীরিক দূরত্ববিধি মানার কোনও বালাই ছিল না ৷ অথচ সেসব দেখার কেউ নেই ৷ স্থানীয়দের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের জন্যই টিকাকরণ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে ৷ তবে এই বিষয়ে হাসপাতালের তরফে কেউ কোনও কথা বলতে চাননি ৷