মেদিনীপুর, 4 ডিসেম্বর: 8 বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল বছর চল্লিশের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের কোতোয়ালি থানা এলাকায়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।
এলাকাবাসীদের দাবি , "রবিবার বিকেলে ওই এলাকায় যখন শাসকদলের মিছিল হচ্ছিল সেই সময় এলাকারই এক বাসিন্দা সোমনাথ মণ্ডল দু'জন নাবালিকাকে (একজন 7 বছর, আরেকজন 8 বছর) তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর তারা কাঁদতে কাঁদতে বাড়ির ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে। দুই নাবালিকার মধ্যে একজনের শরীর রক্তে ভেসে যাচ্ছিল।"
এলাকাবাসীদের নজরে বিষয়টি আসতেই সকলে মিলে সোমনাথ মণ্ডলের বাড়িতে যান এবং দেখেন তার ঘরের ভিতর যে খাটটি রয়েছে তা রক্তে পরিপূর্ণ। তৎক্ষণাৎ খবর দেওয়া হয় মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানায়। পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত সোমনাথ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে। অন্যদিকে, নির্যাতিতা নাবালিকা এবং তার পরিবারের লোকরা মেদিনীপুর মহিলা থানায় সোমনাথ মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায়। পরে ওই নাবালিকাকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসা চলছে তার ৷ অন্যদিকে, কোতোয়ালি থানা ঘিরে অভিযুক্ত সোমনাথ মণ্ডলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখাতে থাকেন এলাকার বাসিন্দারা। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
কোতোয়ালি থানার আইসি আতিবুর রহমান এ নিয়ে বলেন, "গতকাল রাতে এরকম ঘটনা ঘটেছে ৷ এই ঘটনায় আমরা অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে নিয়ে এসেছি ৷ পকসো মামলায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে ৷ আজ, সোমবার অভিযুক্তকে কোর্টে তোলা হবে ৷"
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, "আমরা মিছিলের জন্য তোড়জোর করছিলাম ঠিক তখনই এই মর্মান্তিক খবর আসে। ওই লোকটি ডিফেন্সে চাকরি করে বলে শুনেছি। দুই নাবালিকার মধ্যে একজনের সঙ্গে ও এমন করেছে ৷ তার অবস্থা খুবই খারাপ। আমরা চাই দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।" আরেক প্রতিবেশী বলেন, "পুলিশ ওকে গ্রেফতার করার আগে আমাদের হাতে তুলে দিতে পারত। আমরা ওকে গণধোলাই দিয়ে বুঝিয়ে দিতাম নারকীয় ঘটনা ঘটানোর শাস্তি কী হয়। এই ধরনের নোংরামো যারা করে পাড়ায় তাদের প্রকাশ্যেই মারা উচিত।"
গোটা ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ।
আরও পড়ুন: