কেশপুর (পশ্চিম মেদিনীপুর), 4 ফেব্রুয়ারি: পাঁচ বছর আগে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections 2023) ঘিরে অশান্ত হয়েছিল বাংলা ৷ আর কয়েকমাস পরই ফের পঞ্চায়েত ভোট হতে চলেছে এই রাজ্যে ৷ এবারও কি 2018 সালের পুনরাবৃত্তি হবে ? আপাতত এই প্রশ্নই ঘুরছে গ্রাম বাংলার মানুষের মনে ৷ শনিবার এই রাজ্যের মানুষের সেই প্রশ্নের উত্তর দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Abhishek Banerjee) ৷ বললেন, ‘‘পঞ্চায়েতে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে ৷’’
যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Mamata Banerjee) দলের বিরোধীরা পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে আগেই হইচই শুরু করেছেন ৷ এবারও ভোটে শাসক দলের সন্ত্রাস হবে বলে অভিযোগ করেছে তারা ৷ সেকথা বিলক্ষণ জানেন তৃণমূল কংগ্রেসের ‘সেকেন্ড-ইন কমান্ড’ ৷ তাই তিনি এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের রাজনৈতিক সভার মঞ্চ থেকে সেই প্রসঙ্গ তুলেছেন ৷ আর সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপিকে ৷
অভিষেকের কথায়, ‘‘সিপিএম (CPIM), বিজেপি (BJP), কংগ্রেস (Congress) বলছে মনোনয়ন করতে দেবে না ৷ সিপিএমের হার্মাদ, বিজেপির জল্লাদ, কংগ্রেসের উন্মাদদের বলছি, মনোনয়ন না করাতে পারলে সরাসরি আমাকে জানাবেন ৷ আমি এসে মনোনয়ন করিয়ে দিয়ে যাব ৷’’ কয়েকমাস আগে নিজের সংসদীয় ক্ষেত্র ডায়মন্ড হারবারের মানুষের অভাব-অভিযোগ শুনতে ‘এক ডাকে অভিষেক’ বলে একটি কর্মসূচি তৈরি করেছিলেন তিনি ৷ একটি ফোন প্রকাশ্যে আনা হয়েছিল ৷ সেই ফোন নম্বরের মাধ্যমে সেখানকার মানুষ সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারতেন ৷ এদিন সেই নম্বরের প্রসঙ্গ আবার তুলেছেন অভিষেক ৷
বিরোধীদের বলেছেন যে মনোনয়ন দিতে পারলে বিরোধীরা যাতে ওই নম্বরে (78877 78877) তাঁর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেন ৷ তিনি বলেন, ‘‘মনোনয়ন করানোর দায়িত্ব আমার ৷’’ তবে এই ইস্যুতে বিরোধীদের খোঁচা দিতেও ছাড়েননি ঘাসফুল শিবিরের এই তরুণ তুর্কি ৷ তাঁর কথায়, বিরোধীদের এখন থেকে প্রার্থী বাছাই করে রাখা উচিত ৷ কারণ, তৃণমূলের লোকেরা তো বিরোধীদের হয়ে প্রার্থী হবেন না ৷
রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, অভিষেকের ভাষণে স্পষ্ট যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীরা লড়াই করার মতো পরিস্থিতিতে নেই ৷ তারা প্রার্থীই খুঁজে পাবে না ৷ তাই এখন থেকে মনোনয়ন না করাতে দেওয়ার অজুহাত দিচ্ছেন ৷ যদিও বিরোধীরা অভিষেকের এদিনের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পৌরভোটের উদাহরণ টানছে ৷ তাদের দাবি, গত বছর পৌরসভা নির্বাচনও শান্তি করার কথা বলেছিলেন অভিষেক ৷ কিন্তু ভোটের দিন শাসক দলের সন্ত্রাসে সাধারণ মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি ৷
আরও পড়ুন: পাহারাদারের নাম অভিষেক, কেশপুরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’