ETV Bharat / state

Tourist Spot in West Medinipur : 2 কোটি টাকা ব্যয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে তৈরি নয়া পর্যটন কেন্দ্র

গ্রাম্য নির্জন পরিবেশে সময় কাটাতে চাইলে চলে আসতে পারেন পশ্চিম মেদিনীপুরের ভাদুতলার ইতিহাস বিজড়িত এই স্থানে (Tourist Spot in West Medinipur) ৷ আপাতত 9টি সুসজ্জিত কটেজ নিয়ে পর্যটকদের আহ্বানের জন্য তৈরি ঐতিহাসিক এই কর্ণগড় ৷

author img

By

Published : Dec 15, 2021, 10:52 PM IST

west medinipur
কর্ণগড়

কর্ণগড়, 15 ডিসেম্বর : পশ্চিম মেদিনীপুরে রয়েছে অনেক ইতিহাস বিজড়িত স্থান ৷ তার মধ্যে অন্যতম হল কর্ণগড় ৷ কর্ণ রাজার রাজত্বের জন্যই এই এলাকার নাম কর্ণগড় ৷ ইতিহাস সমৃদ্ধ হলেও ধ্বংসস্তূপ ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই ৷ পোড়ো এই জায়গা বরাবর নির্জন ছিল বলেই দাবি বাসিন্দাদের ৷ দিনের বেলাতেও এখানে আসতেন না কেউ ৷ পাশাপাশি লোকালয় থেকে অনেকটাই দূরে হওয়ায় নানা অসামাজিক কাজকর্মের আখড়া হয়ে উঠেছিল এই স্থান ৷

পশ্চিম মেদিনীপুরের এই এলাকায় কর্ণরাজার রাজত্বের ধ্বংসাবশেষকে ঘিরে প্রায় 2 কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে উঠেছে নয়া পর্যটন কেন্দ্র (Tourist Spot in West Medinipur) ৷ অভিনেত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক জুন মালিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে এই পর্যটন কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন ৷ সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া, শিউলি সাহা, পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক ডঃ রেশমি কোমল ও পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার ৷

পশ্চিম মেদিনীপুরে নতুন পর্যটন কেন্দ্র

মেদিনীপুর শহরের অদূরে অবস্থিত কর্ণগড়ের ইতিহাস অতি প্রাচীন । কথিত আছে, রাজা ইন্দ্রকেতু এই রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন । পরবর্তীকালে তাঁর ছেলে নরেন্দ্র কেতু মনোহরগড় স্থাপন করে সেখানে বসবাস শুরু করেন । রণবীর সিংহ নামে এক লোধা সর্দারকে রাজ্যশাসনের ভার দেন তিনি । কিন্তু অপুত্রক থাকায় রণবীর অভয়া নামে এক মাঝির ছেলেকে পোষ্যপুত্র করে তার হাতে রাজ্যশাসনের ভার অর্পণ করেন ।

আরও পড়ুন : কোপাই থেকে তিলপাড়া জলাধার, বীরভূমের অন্যতম পিকনিক স্পটের তালিকা

এর পরবর্তীকালে বংশপরম্পরায় এই রাজ্যশাসন চলতে থাকে ৷ কর্ণগড়ের যাবতীয় আকর্ষণ মহামায়া মন্দির ৷ এখানে মা মহামায়ার পাশাপাশি দণ্ডেশ্বরের বিগ্রহ ও উৎকল শিল্পরীতিতে তৈরী পঞ্চমুন্ডির আসন রয়েছে । সংরক্ষণের অভাবে অনেক কিছু হারিয়ে গিয়েছে । চুয়াড় বিদ্রোহের স্মৃতি বিজড়িত রানি শিরোমণি গড়েরও এমন দশা হয়েছে ।

1755 খ্রিস্টাব্দে মৃত্যু হয় শেষ অপুত্রক রাজা অজিত সিংহের । তাঁর দুই রানি ছিলেন ভবানী ও শিরোমণি । রানি শিরোমণি ইংরেজদের বিরুদ্ধে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেওয়ায় বন্দি করা হয় তাঁকে । পরে নাড়াজোলের রাজা আনন্দলাল খানের মধ্যস্থতায় চরম সাজা না হলেও তাকে আবাস গড়ে গৃহবন্দী করে রাখা হয় ।

মেদিনীপুর শহরের উত্তর দিকে প্রায় 18 কিলোমিটার দূরে কর্ণ রাজবংশের রাজধানীর প্রমাণ পাওয়া যায় । যার প্রধান গড় ছিল কর্ণগড় । মেদিনীপুরের প্রায় 12 কিলোমিটার উত্তর থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার ব্যাস ধরে বিস্তৃত ছিল এই রাজধানী । জঙ্গলের ভিতর দিয়ে জলস্রোত নদীর আকার ধারণ করে যেখান দিয়ে বয়ে যেত সেটিই ছিল গড়ের অন্দরমহল । গড়ের দুই দিক দিয়ে নদীটি প্রবাহিত হয়ে এক সঙ্গে মিলিত হত পারাং নদী । অনেকটা পরিখার মতো । গড়ের মধ্যেই ছিল কুল দেবতা ও অধিদেবতা দণ্ডেশ্বর এবং মা ভগবতী মহামায়া । তবে রানি শিরোমণির স্মরণে মেদিনীপুর শহরে গেস্ট হাউস ও ভারতীয় রেল আদ্রা-হাওড়া প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালু করলেও রাজা কর্ণের স্মরণে কোনও কিছুই চালু নেই ৷

আরও পড়ুন : সরকারি উদ্যোগের অভাব, পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারল না কর্ণসুবর্ণ

কর্ণ রাজার এই ভগ্ন গড়কেই এবার নতুন রূপ দিতে উঠে পড়ে লেগেছে জেলা প্রশাসন । ভগ্ন রাজবাড়ি ও হাওয়া খানা মন্দির-সহ রাজপ্রাসাদের ধ্বংসস্তূপকে ঘিরে পর্যটন গড়ে তুলতে মুখ্যমন্ত্রী কোটি টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন ৷ সেই টাকা দিয়েই প্রায় 35 একর এলাকা ঘিরে গড়ে তোলা হয়েছে এই পর্যটন কেন্দ্র ৷ আপাতত 9টি কটেজ নিয়ে যাত্রা শুরু হল এই পর্যটন কেন্দ্রের ৷

এই কটেজ থেকে রানির দিঘির মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করবেন পর্যটকরা ৷ 2022-এর জানুয়ারির 15 তারিখ থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে কর্ণগড় । থাকছে অনলাইনে বুকিংয়ের ব্যবস্থাও ।
পোড়ো এই জায়গা বরাবর নির্জন ছিল বলেই দাবি বাসিন্দাদের ৷ সরকারিভাবে এখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে ওঠায় খুশি সকলেই ৷ শুধু পর্যটন কেন্দ্র হচ্ছে বলে নয় ৷ এলাকার ছেলেমেয়েদের কর্মসংস্থান হবে ভেবেও খুশি বাপি ঘোষ ও জিতেন মিদ্দাদের মতো স্থানীয় বাসিন্দারা ৷

আরও পড়ুন : ঐতিহাসিক বানগড়কে সংস্কার করে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার দাবি

এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তি অমল চন্দ্র মণ্ডলের কথায়, ছোটবেলায় বাপ-ঠাকুরদার সময় থেকে শুনে আসছি কর্ণগড়ের বিভিন্ন কাহিনি । একদিকে রাজা কর্ণের যেমন কাহিনি রয়েছে, তেমনি রয়েছে রানি শিরোমণির কাহিনি । এই দুই কাহিনির পাশাপাশি ধ্বংসস্তূপে চাপা রয়েছে বহু রাজ-রাজড়াদের না বলা কথা । দীর্ঘদিনের ধ্বংসস্তূপে ইট ছাড়া কিছুই বেঁচে ছিল না । সম্প্রতি প্রশাসনের উদ্যোগে এখানে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে ওঠায় একদিকে যেমন ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের উৎসাহ দেওয়া হবে, অপরদিকে এলাকার মানুষের কর্মক্ষেত্রের সুবিধা হবে ও জেলার ইতিহাসকে অতি সহজেই রক্ষা করা যাবে ৷

জেলাশাসক ডঃ রেশমি কোমল বলেন, " প্রায় 2 কোটি টাকায় 35 একর জায়গা ঘিরে প্রোজেক্টের উপর গড়ে উঠেছে কর্ণগড় টুরিস্ট স্পট । আগামী 15 জানুয়ারি থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে । বাইরের রাজ্যে পর্যটকদের পাশাপাশি এ রাজ্যের পর্যটকদের জন্যও থাকছে কোভিড বিধিনিষেধের ব্যবস্থা ৷ ইতিমধ্যেই 22জন বেকার যুবক-যুবতীর হাতে কর্মসংস্থানের সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়েছে ৷ আগামী দিনে এই স্পট বিস্তৃতি লাভ করলে আরও মানুষের কর্মসংস্থান হবে এখানে ৷"

শীতের মরসুমে কোভিড আবহে ভিড় এড়িয়ে আপনার দুদিনের গন্তব্য হতে প্রস্তুত পশ্চিম মেদিনীপুরের কর্ণগড় ৷

আরও পড়ুন : ডাকছে পুরুলিয়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পর্যটক টানতে উদ্যোগ

কর্ণগড়, 15 ডিসেম্বর : পশ্চিম মেদিনীপুরে রয়েছে অনেক ইতিহাস বিজড়িত স্থান ৷ তার মধ্যে অন্যতম হল কর্ণগড় ৷ কর্ণ রাজার রাজত্বের জন্যই এই এলাকার নাম কর্ণগড় ৷ ইতিহাস সমৃদ্ধ হলেও ধ্বংসস্তূপ ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই ৷ পোড়ো এই জায়গা বরাবর নির্জন ছিল বলেই দাবি বাসিন্দাদের ৷ দিনের বেলাতেও এখানে আসতেন না কেউ ৷ পাশাপাশি লোকালয় থেকে অনেকটাই দূরে হওয়ায় নানা অসামাজিক কাজকর্মের আখড়া হয়ে উঠেছিল এই স্থান ৷

পশ্চিম মেদিনীপুরের এই এলাকায় কর্ণরাজার রাজত্বের ধ্বংসাবশেষকে ঘিরে প্রায় 2 কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে উঠেছে নয়া পর্যটন কেন্দ্র (Tourist Spot in West Medinipur) ৷ অভিনেত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক জুন মালিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে এই পর্যটন কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন ৷ সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া, শিউলি সাহা, পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক ডঃ রেশমি কোমল ও পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার ৷

পশ্চিম মেদিনীপুরে নতুন পর্যটন কেন্দ্র

মেদিনীপুর শহরের অদূরে অবস্থিত কর্ণগড়ের ইতিহাস অতি প্রাচীন । কথিত আছে, রাজা ইন্দ্রকেতু এই রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন । পরবর্তীকালে তাঁর ছেলে নরেন্দ্র কেতু মনোহরগড় স্থাপন করে সেখানে বসবাস শুরু করেন । রণবীর সিংহ নামে এক লোধা সর্দারকে রাজ্যশাসনের ভার দেন তিনি । কিন্তু অপুত্রক থাকায় রণবীর অভয়া নামে এক মাঝির ছেলেকে পোষ্যপুত্র করে তার হাতে রাজ্যশাসনের ভার অর্পণ করেন ।

আরও পড়ুন : কোপাই থেকে তিলপাড়া জলাধার, বীরভূমের অন্যতম পিকনিক স্পটের তালিকা

এর পরবর্তীকালে বংশপরম্পরায় এই রাজ্যশাসন চলতে থাকে ৷ কর্ণগড়ের যাবতীয় আকর্ষণ মহামায়া মন্দির ৷ এখানে মা মহামায়ার পাশাপাশি দণ্ডেশ্বরের বিগ্রহ ও উৎকল শিল্পরীতিতে তৈরী পঞ্চমুন্ডির আসন রয়েছে । সংরক্ষণের অভাবে অনেক কিছু হারিয়ে গিয়েছে । চুয়াড় বিদ্রোহের স্মৃতি বিজড়িত রানি শিরোমণি গড়েরও এমন দশা হয়েছে ।

1755 খ্রিস্টাব্দে মৃত্যু হয় শেষ অপুত্রক রাজা অজিত সিংহের । তাঁর দুই রানি ছিলেন ভবানী ও শিরোমণি । রানি শিরোমণি ইংরেজদের বিরুদ্ধে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেওয়ায় বন্দি করা হয় তাঁকে । পরে নাড়াজোলের রাজা আনন্দলাল খানের মধ্যস্থতায় চরম সাজা না হলেও তাকে আবাস গড়ে গৃহবন্দী করে রাখা হয় ।

মেদিনীপুর শহরের উত্তর দিকে প্রায় 18 কিলোমিটার দূরে কর্ণ রাজবংশের রাজধানীর প্রমাণ পাওয়া যায় । যার প্রধান গড় ছিল কর্ণগড় । মেদিনীপুরের প্রায় 12 কিলোমিটার উত্তর থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার ব্যাস ধরে বিস্তৃত ছিল এই রাজধানী । জঙ্গলের ভিতর দিয়ে জলস্রোত নদীর আকার ধারণ করে যেখান দিয়ে বয়ে যেত সেটিই ছিল গড়ের অন্দরমহল । গড়ের দুই দিক দিয়ে নদীটি প্রবাহিত হয়ে এক সঙ্গে মিলিত হত পারাং নদী । অনেকটা পরিখার মতো । গড়ের মধ্যেই ছিল কুল দেবতা ও অধিদেবতা দণ্ডেশ্বর এবং মা ভগবতী মহামায়া । তবে রানি শিরোমণির স্মরণে মেদিনীপুর শহরে গেস্ট হাউস ও ভারতীয় রেল আদ্রা-হাওড়া প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালু করলেও রাজা কর্ণের স্মরণে কোনও কিছুই চালু নেই ৷

আরও পড়ুন : সরকারি উদ্যোগের অভাব, পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারল না কর্ণসুবর্ণ

কর্ণ রাজার এই ভগ্ন গড়কেই এবার নতুন রূপ দিতে উঠে পড়ে লেগেছে জেলা প্রশাসন । ভগ্ন রাজবাড়ি ও হাওয়া খানা মন্দির-সহ রাজপ্রাসাদের ধ্বংসস্তূপকে ঘিরে পর্যটন গড়ে তুলতে মুখ্যমন্ত্রী কোটি টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন ৷ সেই টাকা দিয়েই প্রায় 35 একর এলাকা ঘিরে গড়ে তোলা হয়েছে এই পর্যটন কেন্দ্র ৷ আপাতত 9টি কটেজ নিয়ে যাত্রা শুরু হল এই পর্যটন কেন্দ্রের ৷

এই কটেজ থেকে রানির দিঘির মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করবেন পর্যটকরা ৷ 2022-এর জানুয়ারির 15 তারিখ থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে কর্ণগড় । থাকছে অনলাইনে বুকিংয়ের ব্যবস্থাও ।
পোড়ো এই জায়গা বরাবর নির্জন ছিল বলেই দাবি বাসিন্দাদের ৷ সরকারিভাবে এখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে ওঠায় খুশি সকলেই ৷ শুধু পর্যটন কেন্দ্র হচ্ছে বলে নয় ৷ এলাকার ছেলেমেয়েদের কর্মসংস্থান হবে ভেবেও খুশি বাপি ঘোষ ও জিতেন মিদ্দাদের মতো স্থানীয় বাসিন্দারা ৷

আরও পড়ুন : ঐতিহাসিক বানগড়কে সংস্কার করে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার দাবি

এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তি অমল চন্দ্র মণ্ডলের কথায়, ছোটবেলায় বাপ-ঠাকুরদার সময় থেকে শুনে আসছি কর্ণগড়ের বিভিন্ন কাহিনি । একদিকে রাজা কর্ণের যেমন কাহিনি রয়েছে, তেমনি রয়েছে রানি শিরোমণির কাহিনি । এই দুই কাহিনির পাশাপাশি ধ্বংসস্তূপে চাপা রয়েছে বহু রাজ-রাজড়াদের না বলা কথা । দীর্ঘদিনের ধ্বংসস্তূপে ইট ছাড়া কিছুই বেঁচে ছিল না । সম্প্রতি প্রশাসনের উদ্যোগে এখানে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে ওঠায় একদিকে যেমন ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের উৎসাহ দেওয়া হবে, অপরদিকে এলাকার মানুষের কর্মক্ষেত্রের সুবিধা হবে ও জেলার ইতিহাসকে অতি সহজেই রক্ষা করা যাবে ৷

জেলাশাসক ডঃ রেশমি কোমল বলেন, " প্রায় 2 কোটি টাকায় 35 একর জায়গা ঘিরে প্রোজেক্টের উপর গড়ে উঠেছে কর্ণগড় টুরিস্ট স্পট । আগামী 15 জানুয়ারি থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে । বাইরের রাজ্যে পর্যটকদের পাশাপাশি এ রাজ্যের পর্যটকদের জন্যও থাকছে কোভিড বিধিনিষেধের ব্যবস্থা ৷ ইতিমধ্যেই 22জন বেকার যুবক-যুবতীর হাতে কর্মসংস্থানের সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়েছে ৷ আগামী দিনে এই স্পট বিস্তৃতি লাভ করলে আরও মানুষের কর্মসংস্থান হবে এখানে ৷"

শীতের মরসুমে কোভিড আবহে ভিড় এড়িয়ে আপনার দুদিনের গন্তব্য হতে প্রস্তুত পশ্চিম মেদিনীপুরের কর্ণগড় ৷

আরও পড়ুন : ডাকছে পুরুলিয়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পর্যটক টানতে উদ্যোগ

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.