কেশপুর, 17 ডিসেম্বর: বিয়ের আসর বসেছিল ছেলের বাড়িতে। আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে বিয়েও হয়ে যায় ৷ কিন্তু বাধ সাধল সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট। আর তাতেই মেয়ের বাবার সঙ্গে বর গেলেন শ্রীঘরে । ছেলের বাবা পলাতক ।
এক নাবালিকাকে বিয়ে (Minor Marriage Case) করতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত শ্রীঘরে গেলেন বর ৷ সহযাত্রী শ্বশুর ৷ ঘটনাস্থল কেশপুর । জানা গিয়েছে, সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীর সঙ্গে বিয়ে করতে গিয়েছিলেন কেশপুর কাঁচগেড়িয়া এলাকার বাসিন্দা বছর আঠারোর ভোম্বল দে'র । নিয়ম রীতি অনুসারে সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীর সঙ্গে বিয়ে সম্পন্ন হয় । যদিও মেয়ের বাড়ি বেলদা ৷ তবে কোনওভাবেই যাতে কাকপক্ষী টের না-পায় তার জন্যই বিয়ের আয়োজন করা হয় ছেলের বাড়িতে । রীতি মেনে মালা বদল, সিঁদুর দানের মধ্যে সম্পন্ন হয় বিয়ে ৷ কিন্তু বাধ সাধে বিয়ের পর সোশাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট ঘিরে । কারণ বিয়ের পরই ওই মেয়ে এবং ছেলে দু'জনের বিয়ের ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে । আর সেই ছবি ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত । এই ঘটনায় ছবি দিয়ে পুলিশে অভিযোগ করেন কেউ ৷ পাশাপাশি জানানো হয় সদর মহকুমা শাসক এবং চাইল্ড লাইনকেও।
এরপরই আনন্দপুর থানার পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আসরে নামে । তারপর রাতে গ্রেফতার করা হয় নাবালিকার বাবা এবং বর ভোম্বল দে-কে । তবে এই ঘটনায় পর পালিয়ে যান ছেলের বাবা । ধৃতদের মেদিনীপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের পাঁচদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন । পুলিশ ইতিমধ্যে বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে ।
আরও পড়ুন: বিয়ের সাজে আদালতে বর-কনে! পাত্র আর পুরোহিতকে 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ
নাবালিকাকে তার মায়ের সঙ্গে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয় । যদিও ওই নাবালিকা দাবি করে তার বয়স 18 বছর হয়ে গিয়েছে ৷ কিন্তু সেই বিষয় খতিয়ে দেখতে দেখতে ইতিমধ্যে পুলিশ ওই নাবালিকার স্কুলের তথ্য সংগ্রহ করে । ছেলে 18 বছর হলেও বিয়ের উপযুক্ত বয়স (21) না-হওয়ায় দোষী সাব্যস্ত হয়।